মহারানী


মহারানী 
দেবপ্রসাদ জানা

হঠাৎ যদি মনে হয়
রুক্ষ, ধূসর, শুষ্ক কাঁটাঝোপে
ভাঙা এক মনো রাজ্য গড়ি।
তার মধ্যান্তরে সে এক টুকরো সবুজ গ্রাম।
ঊষর ভূমির মধ্যে হঠাৎ ঘন তৃণভূমি, 
ছোট গাছ আর জলে সিংহের খামারবাড়ি। 
পশুপালক বঙ্গ ললনার খুব পছন্দের। 
অক্লান্ত পরিশ্রমের শেষে-
পোষ্যদের মাইলের পর মাইল অভব্য শব্দের 
গোটা একটা বাংলা সিনেমার কথোপকথন।
সামান্য ঘাসপাতা আর জলের -
সামান্য সামাজিক অনুরক্তি।
মহারানী এক পশুপালক, 
গোটা দেশের গাধা গুলো নিজে খাইয়ে পরিয়ে, 
অমানুষ হবার প্রলোভন দিচ্ছেন।
একএকটা প্রাণী নিয়ে ঘুরছে গ্রামে গ্রামে। 
গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ। ক্রুদ্ধ। সন্ত্রস্ত। 
পশুর দল যে কোন সময়ে- 
ফসলের জমিতে ঢুকে পড়তে পারে। 
যা খাবে, তার থেকে বেশি ধ্বংস করবে। 
কিন্তু কী করা যাবে? 
এ তো আর নিছক পশুপালক নয়।
সেই দম্ভেই রানীর এক প্রাণীর নিয়ন্ত্রণ করা।
এই সংসারে ফসল ধরে রাখা কষ্টকর হলে,
প্রতি সংসারে প্রতি রানীর তা মুষ্টিবদ্ধ।


Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ