Posts

Showing posts from 2021

শিব

 শিব বিশ্বের উদ্ভব যিনি,সৃষ্টি স্হিতি লয়। গৌরী গিরিরাজকন্যা, উমা তার পতি। তত্ত্বজ্ঞ,যাঁর কীর্তির,কোনো অন্ত নয়। যিনি মায়ার আশ্রয়,অন্তহীন জ্যোতি। বন্দনা করিব সেই,স্বরূপ অচিন্ত্য। বিমল বোধস্বরূপ,ভগবান শিব। হে শান্তস্বরূপ,অনাদি অনন্ত, বিশ্বসৃষ্টি তার খেলা,আমি ক্ষুদ্র জীব। জগতের পিতা তিনি,ভগবান শিব। ধ্যানমগ্ন উদাসীন,চর্মবস্ত্র ধারী। ভিক্ষা মাগি দিন চলে,এতই গরীব। সর্প চন্দ্র অলঙ্কার,কৈলাসে আচরি। জয়ধ্বনি করি তার, প্রসন্ন পূর্বক। আমি তার অনুগত,শিবের সেবক।

শকুন্তলা

 শকুন্তলা ১ বিশ্বামিত্রের তপস্যা,করিবারে ভঙ্গ। মেনকারে তার কাছে,করিল প্রেরণ। দেবরাজ ইন্দ্র ভয়ে,ছাড়িলেন সঙ্গ। অপ্সরা মেনকা তার,করিল স্মরণ। সংযম হারিয়ে ঋষি বিশ্বামিত্র জাগে। মেনকার রূপে হলো,বিচলিত মন। তার সাথে বিশ্বামিত্র,মেলে প্রেমরাগে। গান্ধর্ব বিবাহে তারা,হইল বন্ধন। বিশ্বামিত্রের ঔরসে,অপ্সরা মেনকা- গর্ভবতী হয়ে দিল,জন্ম শকুন্তলা। তপস্যার পুণ্যফল, হয়ে গেল বৃথা সেই রাগে বিশ্বামিত্র,শেষ করে খেলা। পরিত্যাগ করে তারে,চলে যান বনে। শিশুকন্যা শকুন্তলা,পড়ে থাকে বনে। ২ কম্ব ঋষি সেই কন্যা করিল উদ্ধার। পক্ষীবৃত ছিল বনে,বিশ্বামিত্র কন্যা। লালন পালন করে,কম্ব ঋষি তার। শকুন্তলা নাম দিয়ে,করিলেন ধন্যা। দিনে দিনে বড় হয়,মিষ্টি শকুন্তলা। প্রকৃতির মতো করে,সহজ সরল। সুন্দরী রূপসী কন্যা,বনে করে খেলা। সখীদের নেত্রমনি,এ দেশে বিরল। ষোড়শী শকুন্তলার,রূপের বাহার। দেখে যেন মনে হয়,স্বর্গের অপ্সরা। মেনকার গর্ভজাত,রূপ পায় মার। ফুলের মতন করে,রূপের পসরা। কম্ব ঋষির দোরে যে,রূপ রোসনাই। পশুপক্ষী সকলের, সঙ্গ তার চাই। ৩ কম্বের অরন্যে আসে,ঝড়ের বাতাস। দুরন্ত অশ্বের দৌড়,দুষ্মন্ত রাজার। সখ করে মৃগয়ায়, আসে বারমাস। ঘন অরন্যে করেন...

ধূসর পাখি

 ধূসর পাখি হৃদয় গভীরে যারে,রেখেছিলে নাগর- ভালোবেসে,রেখেছিলে বুকে প্রেয়সীর উচ্ছ্বসিত মুক্তোর হাসি নিমজ্জিত মায়াবী স্মৃতির আবেশে। নিগূঢ় অপরূপ আপ্যয়নে- হৃদয়ের উত্তাপে, আদর সম্ভাবনে,গোপনে। জীবনরসে মত্ত সেই সন্ধায়- নাগপাশে বেঁধেছিলে মনে। দিগন্ত মরীচিকায়,তারে- রাতের অন্ধকারে ঘোর নীল আলোয়, তার মুক্ত অবয়ব,যেন মনের কুটিরে তৃষ্ণাকাঙ্খিতে সিঞ্চিত করি,  সুপ্ত আবেগে পরিব্যাপ্তিত ভ্রমি  স্পর্শ রশ্মি শিহরিয়ায়- শাশ্বত ধূসর পাখিটা, দিগন্ত থেকে।

রজনীগন্ধা

 রজনীগন্ধা গাছের আড়ালে ফুল,ঘন অন্ধকারে- ফুলের গন্ধে ব্যাকুল,মরমী বাতাস। ফুটেছে অমানিশার,নিশীথ আঁধারে, রজনীগন্ধায় ভাসে,সোহাগ সুবাস। ক্লান্ত শূণ্যতার পাশে,উদাসী আকাশ। ভাঙ্গামেঘ থরেথরে,সাজানো বিছানো। মত্ত হয়ে উড়িতেছে,যেন সাদা হাঁস। স্বপ্নময় তটিনীর,জীবন গোছানো। স্বপ্নময় দু'নয়নে,কাঁদে ব্যর্থ নিশি। ঘোমটার ফাঁকে যেন,পূর্ণিমার চাঁদ। ষোড়শী রজনীগন্ধা,সাজে পূর্ণ শশী। সন্ধ্যায় সমীরে চাঁদ,করে প্রতিবাদ। একদিন সাদাফুল, চাঁদ হয়েছিল। আঁধারে প্রকৃতি তারে,ভালোবেসেছিল।

পৃথিবীর রঙ

 পৃথিবীর রঙ দেবপ্রসাদ জানা ফুটপাতের ওপর বসে- মালাইচাকির ওপর ভর দিয়ে- মানচিত্র আঁকছে ,যে লোকটা,  তাকে আমরা চিনি সকলে, সে পৃথিবীকে কেটে কেটে ভাগ করে দিচ্ছে, কালো পেন্সিলের আঁচড়ে। নানা রঙে আলাদা করছে,গোটা পৃথিবী। এ ভাগটা আমাদের,ও ভাগটা তোমাদের। সারা পৃথিবীর প্রায় সত্তরভাগ জল, নীল রঙে রাঙিয়ে দিচ্ছে স্তব্ধ গভীর - সেই মহা অনন্ত। গভীরে কেঁপে উঠি,  ক্ষুধার্ত সেই মহা অনন্তের  নিচে নেমে গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে, কবে এই অনন্তে ডুবে যাবে সব। শরীরে রক্ত চলার,চাকার শব্দ শুনেছি  আত্মগোপন করা বধির নির্জনতা, কারো ইশারায় পৃথিবীর রঙ বদলাবে একদিন।              ______________

প্রশ্ন

 প্রশ্ন প্রাণবন্ত এক পাথর পৃথিবী নানা রঙে রাঙিয়ে দিচ্ছে,যে চিত্রকর। তার হাতে সোনাই এর তুলি। আকাশে গাঢ় অন্ধকার নেমে আসলে। আকাশে অজস্র প্রদীপ জ্বেলে দিচ্ছে- যে মায়ের হাত। আর - তার নিচের অন্ধকারে,গহ্বর।  অজস্র নক্ষত্র টিপ টিপ করে জ্বলছে। দূর থেকে দেখা,পৃথিবীর প্রতি ঘরে  জ্বলে থাকা প্রদীপের মতো, আমি তাকিয়ে আছি সেই  দিকে। কত আলো আকাশে হেঁটে বেড়াচ্ছে। আমার চোখের তারায়,ভেসে উঠছে। গ্রহ নক্ষত্রের কত মানচিত্র মনের আয়নায়, যত দেখি ভাবনারা বিস্মিত হয় অবাক হয়ে! ভাবনারা একটা প্রশ্ন লিখে দিয়েছে মনের খাতায়- উত্তর পাচ্ছি না, এই অন্ধকার আকাশে কে দিল নীল রঙ? ঐ খোলা শূণ্যতায় কে ছুঁড়ে দিল এত বল? এই পাথর পৃথিবীর গায়ে কে দিল এঁকে? কোন চিত্রকর? এত প্রাণ কে দিল?  এত জল কে নিয়ে এল বয়ে?

দাক্ষায়নী সতী

 সতীর বিবাহ দক্ষরাজার কনিষ্ট,কন্যা দাক্ষায়নী। বিবাহ করিতে চায়,ভিক্ষু মহাদেবে। দক্ষরাজের অমতে সতী,সীমন্তিনী তপস্যায় তুষ্ট করে,আকাঙ্ক্ষিত শিবে। উদারচিত্ত ঋত্বিক,উদাসীন মনে। চাল নাই চুলা নাই,ভিখারী মহেশ। রাজার দুলালী সতী,রাখিবে কেমনে? পড়িল বিপদে ভোলা,রুক্ষ পরিবেশ। বিপদের কথা শুনে,হাসে সতীমাতা স্বামীগৃহ নিজ গৃহ, শ্মশাণে কাননে। স্বামীধর্ম সতীধর্ম,করেছে বিধাতা। এত কেন ভয় পাও,প্রিয় মনে মনে। শ্মশাণচারী মহেশ,হইল সংসারী। আকন্দের মালা গলে,চলে জটাধারী। গৃহিনী সতী ঘর নাই,বাড়ি নাই,নাই দাসদাসী শ্বশুর বাড়িতে নেই,শ্বশুর শাশুড়ি। ভুতপ্রেত,সাপব্যাঙ,সব কিছু বেশী হাসাহাসি করে সব,ঐ বাপের বাড়ি। শীত গ্রীষ্ম বর্ষাকাল,কষ্ট করে রই। খোলা আকাশের নিচে,কেমন সংসার? মন্দার পর্বতে চলো,প্রাসাদ বানাই। জানালায় বসে দেখো,প্রকৃত বাহার। শ্মশানের ছাই ছেড়ে,গরমপোষাক। শীতের কামড় থেকে,পাবে অব্যহতি গ্রীষ্মের প্রখর তাপ,দূরে চলে যাক। সুন্দর প্রাসাদ হলে,কি এমন ক্ষতি? সতীর সুবাক্যে শিব,হলো আনমনা। কেমনে সফল হবে, সতীর কামনা। শিবের ভাবনা শ্মশানচারী সন্যাসী,আমি জটাধারী। ব্যাঘ্রচর্ম পরে ঘুরি,বনের ভিতর। ধ্যানধর্ম ভূতপ্রেত, নগন্য ভিখারী। স...

রজনীগন্ধা

 রজনীগন্ধা একবার রজনীগন্ধা ফুল নিয়ে গেছিলাম তোমার কাছে,ভালোবেসে তোমায় দেবো। তুমি বলেছিলে,আজ কি আমার মৃত্যুদিন? তোমার নিভৃত সংলাপে কালো মেঘ ঘনীভূত হয়। আমি হারিয়ে ফেলি আমার আমাকে। ধূসর পোশাকে এতটাই উদাসীন থাকি আমি, কোন বর্ণময় ফুলের গন্ধ- আমার মলিনত্বক ভেদ করতে চায় না। রজনীগন্ধা প্রেমের প্রতীক নয়। লাল গোলাপ- ওই লাল গোলাপের লাল রঙ,  আমি দেখিনি,বুঝিনি কখনো। একদিন-প্রচ্ছন্ন আড়ালে গোলাপের  একটা কাঁটা বিঁধেছিল বুকে, এক ফোঁটা রক্ত গোলাপের ঠোঁটে লাগিয়ে, তোমাকে দিয়েছিলেম ভালোবেসে।  আমার বুকের রক্তে লাল ওই গোলাপ, তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে গেছে একদিন। তোমার হৃদয়ে জ্যোৎস্না ভরে দিয়েছি কতদিন। কত রজনী কাটিয়েছি তোমাকে বুকে বেঁধে, কত রজনী হাত ধরে,নদীর কুলে হেঁটেছি। আর ভালোবেসেছি। কত রজনীগন্ধার মালা তোমার গলায় দিয়ে, হেমন্তের চাঁদ দেখেছি,সাগরের তীরে, দেখেছি একবিন্দু আলোর সাঁতার কাটা। আজ সেই রজনীগন্ধাই এনেছো আমার, শেষ যাত্রার দিনে।

গণেশ

 গণেশ একদন্ত মহাকায় লম্বোদর গজা বিঘ্নবিনাশক দেবতা,হেরম্ব স্মরণে। নমো নমো গজানন গণপতি রাজা। খর্ব স্থূলাদেহে গজা,সৌন্দর্য বদনে। গন্ধলুব্ধ দেবতারে,করিনু স্মরণ। জন্মের কাহিনী তারে,নানা রূপ দেয়। বুদ্ধিসিদ্ধি তার দুই দেহ আবরণ। শিবপুত্র বিনায়ক,সদা সবিনয়। গজমুণ্ড বুদ্ধি শক্তি চরিত্রে বিশ্বস্ত। একদন্ত বিদারিতা, মন্থর মনস্বী সুতাসুত গণপতি সিদ্ধিপ্রদ স্বহস্ত । চর্তুভুজ গণেশায়, কন্দর্প তেজস্বী। মুষিক বাহন যিনি,সুরলোক বাসি। মাতঙ্গ মুখ মণ্ডল,পয়োনিধি হাসি। ওঁ গাং গণেশায় নমঃ 

গণেশের জন্ম

 গণেশের জন্ম ১ স্নান ঘরে,স্নান করে,দূর্গতি নাশিনী। নন্দী দ্বারে পাহারায়,শিব অনুগত। আদেশ করিল মাতা,শোনো মোর বানী। দেবদৈত্য প্রিয়জন,রাখিবে বিরত। অসময়ে শিব সেথা,করে আগমন। নন্দী তারে বাধা দেয়,করিতে প্রবেশ। হাসিয়া কহিল শিব,করিব দর্শন। তব মাতা,পত্নী মোর,দয়িত মহেশ। মোরে কেন বাধা দাও,সামান্য বাহন। জানো নাকি দেবীগৌরী,মোর অর্ধাঙ্গিনী  তারকাছে যেতে কেন করিছ বারণ? এইক্ষণে যেতে দাও,হবে প্রাণ হানি। ভয়ে নন্দী পথ দেয়,ভেতরে যাবার। বেঘোরে এবার বুঝি,প্রাণ যায় তার।। ২ শিবের ঘরনী গৌরী,রেগেই আগুন। আদেশ অমান্য করে,সাহসের সনে। নন্দীর দণ্ডার্হ দণ্ড, কি হবে বলুন। দণ্ডনীয় অপরাধ,করিল কেমনে? ক্রোধে লাল শৈবলিনী,দেখে দণ্ডবৎ। ভয়ে কাঁপে দ্বারিনন্দী,ভুল করে চালে। ক্ষমা করো দূর্গামাতা,দেই নাক খৎ। এরকম কাজ আর,করিব না ভূলে। দেবশ্রেষ্ঠ মহেশ্বর,রবে অপেক্ষায়? নিজগৃহে প্রবেশের,তার অধিকার। কেমনে বাঁধিব তারে,কোন অভিপ্রায়? দেব নয় দৈত্য নয়,সে শ্রেষ্ট সবার। যুক্তি তার মন্দ নয়,কহে মহেশ্বর। কেন ক্রোধ পুষে রাখো,মনের ভিতর। ৩ উপাস্য দেবতা তার,অনুনয় করে। কেমনে রাখিবে রাগ,দনুজদলনী। অভিমান ছিল বটে, শিবের উপরে। সকলের গণ আছে,সে ক...

শূর্পনখা

 শূর্পনখা ১ বিশ্রবা ও নিকষার কন্যা শূর্পনখা। জন্মকালে মীনাক্ষী ও দীক্ষা,চন্দ্রকনা। চাঁদের আকৃতি নখ বলে চন্দ্রনখা। মাতামহী কেতুমতি,সম সুদর্শনা। বিদ্যুজ্জিহ্বা স্বামী,দানবের গোত্রে। কলকেয় দানবেরে,গোপনে বিবাহ। রাক্ষস রাবণ ক্রুদ্ধ,শত্রুতার সুত্রে দানব কুলে বিবাহ,ভ্রাতা গাত্রদাহ। শূর্পনখা সনে তার বড় অভিমান। অসবর্ণ বিবাহের কঠিন বিরোধ। সম্পর্ক করিল ত্যাগ রাক্ষস রাবণ। শাস্তি তারে দিতে গিয়ে,এল প্রতিরোধ। মন্দোদরী বাধা দেন,তিষ্ট দশানন। দানবকুলে আত্মীয়,করুন বরণ। ২ রসাতল জয় করে,রাক্ষস রাবণ। ভগিনীর সঙ্গে দেখা,করিতে গেলেন। ভগ্নীপতি বিদ্যুজ্জিহ্বা,রাগের কারণ। আক্রমণ করে তারে,মারতে গেলেন। শূর্পনখার কপাল মন্দ,সেইক্ষণে, রাবণের হাতে তার স্বামীর মরন। অকালে বিধবা হয়ে,ভারতের বনে। বৈমাত্রেয় ভাই তার,খর ও দূষণ। বৈধব্যকালে দীক্ষার,পুত্র আগমন। শাম্ভূ নামে পুত্র সেই,বিধবার কোলে। লক্ষ্মণের হাতে যার,অকাল মরণ। পুত্রহারা শূর্পনখা,কি আছে কপালে? শোকাতুরা শূর্পনখা, ভ্রমণের কালে। পঞ্চবটীবনে তিনি শ্রীরাম দেখিলে। ৩ হে শ্রীরাম,রাবণের ছোট বোন আমি, রূপে গুণে সুদর্শনা,চন্দ্রকনা সম। আমি তব রূপে মুগ্ধ, দীপ্ত যুবা তুমি। আমার প...

অন্ধকাসুর

অন্ধকাসুর ১ বরাহ পুরাণ' মতে, কৃতিবাস শিব হাতির চামড়া তার, দেহের বসন। তন্ত্রসার' শাস্ত্র মতে,অন্য এক জীব। বাঘের চামড়া তার,অঙ্গের ভূষণ। কৈলাসে দেবীপার্বতী,শিবের ঘরনী। চক্ষু মুদে ধরেছিল, স্বয়ম্ভু শিবের, অসুর নাশিনী দূর্গা, বুঝতে পারেনি এত তেজ অগ্নি ছিল,ভিখারী শিবের। শিবঘাম পড়ে জন্মে,বিশাল অসুর। অন্ধ সে,অন্ধকাসুর,ভীষণ সাহস। হিরণ্যাক্ষ বর চেয়ে, স্মরনে প্রভুর। শিবের বরে পাইল,অন্ধক রাক্ষস। শিবের পুত্র হলেও,হিরণ্যাক্ষ পিতা। চরিত্রে রাক্ষস তিনি,মনেতে ক্রুরতা। ২  বরাহ পূরাণ নিয়ে, বলিব জরুর। কৃতিবাস নাম তার, কেমনে হইল। সে-বার অন্ধক নামে, এই যে অসুর। মহা মাতব্বর হয়ে, মাথায় উঠিল। অন্ধ হলেও,অসুর তিনি, প্রতিপক্ষ। দেবগনে অত্যধিক করে অত্যাচার। ভুতপ্রেত দেবদৈত্য, সবেতেই দক্ষ। ইন্দ্রের সভায় বলে, স্বর্গরাজ্য তার। ব্রহ্মার বরেই তার, হাঁক ডাক যত। কঠোর তপস্যা করে, করেছিল তুষ্ট। ব্রহ্মার বর পাইয়া, রাবনের মত। দেবদৈত সকলেরে, দিয়েছিল কষ্ট। ব্রহ্মার আশিসে তিনি, মহা বলবান। শিবের হাতেই তার, মৃত্যুর বিধান। ৩ তিন শর্ত অন্ধকের, মরণের গন্ডি। একমাত্র শিব-ছাড়া, মৃত্যু নাই হয়। বর মাগে বুদ্ধি করে, এই ছিল ফন্দি। অস্...

শিবের অনুচর

 শিবের অনুচর ১ মহাদের অনুচর,ভৃঙ্গী মহাকাল। দ্বাররক্ষা করে তারা,কৈলাসের দ্বারে। হঠাৎ দেখিল তারা,এমন কপাল। শিব পাৰ্বতী যেথায়,রতিক্রীড়া করে। ক্রদ্ধ হয়ে হরগৌরী,দিলে অভিশাপ। মনুষ্যযোনিতে তারে,জন্ম নিতে হবে। ভৃঙ্গী,মহাকাল মিলে,করিল আলাপ। শিবানীর গর্ভে তারা,ওই জন্ম লবে। শিব ও শিবানী তার,শুনিল প্রার্থনা। মানুষ রূপে তারাও,অবতার নেবে- দক্ষপৌত্র,পৌষ্য,তার পুত্রের বন্দনা পূর্ণ করে,পুত্র রূপে,শিব জন্ম লবে। ইক্ষাকুবংশীয় হবে,শিবের শিবানী। চন্দ্ৰশেখর তারই, চির অর্ধাঙ্গিনী।  ২ চন্দ্ৰশেখর নামের,দক্ষ বংশগতি। বানর দুটি পুত্রের,জন্ম দিল তারা। রাজা কুকুৎস্থ কন্যা,নাম তারাবতী। বেতাল ভৈরব নামে,ফেলে ছিল সাড়া। শিবের ধনরক্ষক, কুলীন কুবের। কৈলাসে অলকাপুরী,তার বাসস্থান। যক্ষদের মহারাজ,যক্ষ সম্পদের। শিবের অনুচর সে,পাইল সম্মান। কালিকাপুরাণ মতে,বামনপুরাণে। অপর এক কাহিনী,মুখে মুখে ঘোরে। অন্ধকাসুর নিধন,শিব উপাখ্যানে। অন্ধক সেখান শিবে,পদাঘাত করে ।  চৌচির মাথা শিবের,পড়ে রক্তধারা। বেতাল ভৈরব জন্মে,উপাখ্যান সেরা। ৩ ভৈরব,লম্বিতরাজ, ভৃঙ্গী মহাকাল। গণদেবতারা ছিল,শিব অনুচর। অধিপতি গণপতি,নন্দী ও বেতাল। গণেশের বা...

রুদ্র-শিব

 রুদ্র-শিব  ১ মহাযোগী মহাদেব, ভীষণ পাগল। তার কোন সখ নেই,সংসারী সন্ন্যাসী। সর্বজ্ঞানী,মহাঋষি, স্থির অবিচল। কামহীন,স্থিরমতি, প্রচণ্ড বিশ্বাসী। কামুক ভাব জাগাতে,কামদেব এসে, ভস্মীভূত হয়েছিল,কামদেব সেথা। মৎস্যপুরাণ মতে,শিবের সকাশে- কার্তিকের জন্মকালে,আছে সেই গাথা। ব্ৰহ্মার হৃদয় হতে,কামদেব এসে ব্ৰহ্মা নিজে,তার শরে,জর্জরিত হয়। নিজ কন্যা শতরূপা,প্রেম স্রোতে ভাসে। কামদেবের ওপর, অভিশাপ দেয়। ব্ৰহ্মা বিষ্ণু উভয়ই,ব্যভিচারে লিপ্ত। কোন নারী পারে শিবে?করে কামে যুক্ত। ২ শিবের রেতঃ ধরবে,কার আছে শক্তি?  কার্তিকের জন্মকালে,মহেশের রেতঃ। আকাশ গঙ্গার মতো, কারো নেই শক্তি। তিনিও ব্যর্থ হয়েই, ফেলে দেয় রেতঃ। লিঙ্গরূপে পুজো হয়,মন্দিরে গৃহেতে। ব্ৰহ্মচৰ্য পালনের  চৈত্রমাসে শিব। লিঙ্গরূপে পূজা পায় গাজনের ব্রতে। প্রাণের অধিক মানে,পৃথিবীর জীব। নেশাগ্রস্ত ভোলানাথ,মনোরম দেব সর্বদা তুষ্ট থাকেন বেলপাতা ফুলে। যৌনাচার ব্যাভিচারে বাকি সব দেব। একবাক্যে শিবনাথ,সব থাকে ভুলে। দেবতারা কত শত,দেবীদের সনে। কামকার্যে মগ্ন থাকে,দেখি অধ্যয়নে। ৩ ধান ভানতে শিবের গীত বঙ্গদেশে শিবজায়া শিবানীর প্রচুর আদর। শিবরাত্রে জল...

ভোরের আদরে

 ভোরের আদরে দেবপ্রসাদ জানা ২৬.১০.২০২১ রাত্রি শেষে প্রতিদিন,বোধের ভিতরে- অন্ধকার জমা হয়,বিপন্ন বিস্ময়ে। ভোরের আলোয় গড়া,অদ্ভুত আঁধারে। তৃষ্ণার্ত শেকড় খোঁজে,মাটির নিলয়ে। প্রেমের আগুন লাগে,তৃষ্ণার শিকড়ে, গভীর প্রত্যয়ে ফুল,ভোমরের খোঁজে। রক্তে ওঠে আলোড়ন,নীরব অন্তরে। সত্তার শূন্য প্রান্তরে,শঙ্খধ্বনি বাজে। অপেক্ষায় রাত যায়,দিন আসে মনে। সূর্যের আলো,রাঙিয়ে দিয়ে যায় দিন। আলোকিত হয় ভুমি,পাখির কূজনে। কল-কাকলির ছন্দে, মুখরিত দিন। অভিমানী ধরনী যে,ভালোবাসা চায়। ভোরের আদরে মাটি,গুন গুন গায়।

নীরব ক্যানভাসে

 নীরব ক্যানভাসে দেবপ্রসাদ জানা সবুজ পাতায় ঘুম দিয়েছে শিশির। পদ্মপাতায় জলের ছবি,যার চোখে। সরাসরি কিছুক্ষণ, মূক ও বধির। সর্বদাই ইন্দ্রজাল,আত্মমগ্ন রাখে। স্থানচ্যুত ভাবনার, জীবন্ত প্রকাশ। মধ্যরাতে দৃশ্যমান, অশরীরী  বায়ু। ঘুরপাক খেতে থাকে,শরীরি বাতাস। শেষরাতে বেড়ে যায়,চুম্বকের আয়ু। আদিম স্বরের স্পর্শ,ছুঁয়েছিল একা। তুলির টানে অস্থির মডেলের মেয়ে। চুম্বকের মতো তার,শরীরি মল্লিকা। দেহের অমৃত খায়,একা একা পেয়ে।  একখানা স্নিগ্ধসাদা,ক্যানভাস বলে- নানারঙে ভরে দিও, অবসর পেলে।

অমৃতলোক

 অমৃতলোক দেবপ্রসাদ জানা মরণ আমার কাছে,অমৃত,আলোক। শোক নেই,তাপ নেই,শুধু ভালোবাসা। বিরহ শূন্য জীবন,অলৌকিক শোক। নব জীবনের স্পর্শ, নবীনের আশা। ব্যথা,মান,অভিমান,হৃদয়ের ভাষা ব্যথিত হৃদয় মূল্য,দেয় কতখানি? জীবন্ত,না মৃত,জানি না কি প্রত্যাশা। শোক যত বড় হয়,বাড়ে আত্মগ্লানী। জীবন ছিনিয়ে আনা,সমাধীর পাশে। জীবনের দামে,কেনা যায়,প্রতিপত্তি। মৃত্যুর শীতল ছোঁয়া ঐ,বৈশাখ মাসে। স্বর্গ সুখের মরণ, বেদনার মুক্তি। বাঁচার অদম্য ইচ্ছা,সাজে উপাচারে, আঙুলে আঙুল দিয়ে,চায় প্রতিবারে।।

জীবনের কবিতা

  জীবনের কবিতা      হৃদয়ে আঘাত পেলে,লিখেছি অনেক।   কষ্টের কলম ভারী   লিখতে শেখায়। যন্ত্রণারা লিখে ফেলে কবিতা যতেক মনের কষ্ট লেখার প্রেরণা যোগায়।   ক্ষতের পরিধি যত, বাড়তে থাকবে কলম চলতে থাকে,শুধু অবিরত।   লেখার ভাবনা তত,কলমে আসবে নিজের খেয়ালে চলে, জীবনের মত।   অশ্রু জলে ভিজে যায় মনের আয়না   শুকনো হচ্ছে কালি, দিন প্রতিদিন।   দুঃখগুলো হয়ে ওঠে,জীবনের দেনা।                                            এক থাকে না চলার গতি,চিরদিন ।                                             মনের শক্তিকে ঘিরে ফেলুক বে...

বীরাঙ্গনা

 বীরাঙ্গনা দেবপ্রসাদ জানা তোমার ঠোঁটের কোনে,চপল ভনিতা। কখনো শীতল দেহে,হোমানল তাপ। তোমার ভেতর জ্বলে,হোমকুণ্ড যথা। হিমবাহে ঢেলে দাও, তোমার উত্তাপ। বুকের পাঁজরে রাখা,দেহামৃত সুধা। অনাঙ্কুরিত বীজের, জীবন সঞ্চার। জ্ঞানকুম্ভে ভরে দাও,বিশ্বের অভিধা। বিদ্রোহের অগ্নি জ্বেলে,করেছ বিচার। কখনো বীরাঙ্গনার বেশে,অসি হাতে। রাতের আঁধার ডেকে,করো মন্ত্রমুগ্ধ। তুলে ধরো তরবারী মুক্ত আঙিনাতে। অন্যায় অবিচারের করো বাক্ যুদ্ধ। নিভৃতে সংলাপ চলে,শূন্যের প্লাবনে। নির্বাক পৃথিবী ডাকে হৃদয় স্পন্দনে।

নীরব ক্যানভাসে

 নীরব ক্যানভাসে দেবপ্রসাদ জানা সবুজ পাতায় ঘুম দিয়েছে শিশির। পদ্মপাতায় জলের ছবি,যার চোখে। সরাসরি কিছুক্ষণ, মূক ও বধির। সর্বদাই ইন্দ্রজাল,আত্মমগ্ন রাখে। স্থানচ্যুত ভাবনার, জীবন্ত প্রকাশ। মধ্যরাতে দৃশ্যমান, অশরীরী  বায়ু। ঘুরপাক খেতে থাকে,শরীরি বাতাস। শেষরাতে বেড়ে যায়,চুম্বকের আয়ু। আদিম স্বরের স্পর্শ,ছুঁয়েছিল একা। তুলির টানে অস্থির মডেলের মেয়ে। চুম্বকের মতো তার,শরীরি মল্লিকা। দেহের অমৃত খায়,একা একা পেয়ে।  একখানা স্নিগ্ধসাদা,ক্যানভাস বলে- নানারঙে ভরে দিও, অবসর পেলে।

প্রতিধ্বনি

 প্রতিধ্বনি  দেবপ্রসাদ জানা ২৩.১০.২০২১ অন্তরে প্রতিধ্বনি হলে বুঝি- নিথর নীরবতায় কাঁপছে পৃথিবী। অবিরাম বজ্রপাতে, নীলাভ আলো- আছড়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে। শব্দ পিছিয়ে পড়ে। সময়ের দৌড়ে,আলো অনেক এগিয়ে থাকে। ঠিক ভাবনার মতো।  একছুটে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে- আর এক প্রান্তে। ছুটে চলে মন,আলোর গতিতে, আত্মা পেছনে থেকে যায়,বরাবর। আর বোধ, বোধের ভিতরে- অবোধ। ভিতরে জেগে ওঠে, শুন্যতার পাহাড়।  শুধু বিন্দু বিন্দু অস্ফুট চোখের জল। বিবেকের অন্তরযাপনে, হতাশায় অস্থির আত্মার পাখিটা।

প্রতিবন্ধ

 প্রতিবন্ধ  দেবপ্রসাদ জানা মাতাল এক তরণী হিমযুগ পার হয়ে,চলেছে দিগন্তে ভেসে,টলমল যে তরী ঘুরে এসেছে,সমস্ত শহর। পাথরের মতো গোটা শহরের মাঝে যেন অভিশাপ বসে হাসছে,নির্বাক ক্রুরতমা উল্লাসের হাসি,তিলোত্তমা। আগুনে জ্বলছে পেট, উনুনে উড়ছে,  ছাই,শূন্য হাঁড়ি শূন্য-ভিক্ষের ঝুলিও।  তোমরা যারা বড়াই করো ফেসবুকে- ছবি তুলে পোষ্ট করো,হাসি হাসি মুখে, দেখে এসো,মোটা চাল,কতদিন চলে? পথগুলো শূন্যতায় কাঁপে,জিভ চুষে - তৃষ্ণা মেটাচ্ছে মানুষ,তবু দরজার - পাল্লা ভেঙে,কেউ গলা তুলে রাজপথে  এসে বলতে পারে নি,অন্ন দাও অর্থ দাও দেবী,তার চেয়ে শান্তি দাও মনে। হনুমানের মতন,বুক চিরে কেন? দেখাতে পারছে না যে,বুকের ভিতরে, কোন দেবী দেবতারা,বসবাস করে। টাকা,দুই টাকা করে জমানো ভাণ্ডার- খানা ভেঙ্গে চুরচুর হয়ে গেছে কবে, সামান্য পয়সা নাড়া দিলে কি পড়বে? গৃহলক্ষী অন্নপূর্ণা, আমায় একটা  দুধের প্যাকেট দাও,ক্ষুধায় তৃষ্ণায় আর বিশ্বের ছড়ানো ভাইরাস টায়- একেবারে কর্দমাক্ত হয়ে আছি দেখো। আপাতত জিভটার আত্মাটাকে ভরি, একটু শানিয়ে নেই, লক্ষ্মীর পাঁচালি, "শোনো শোনো সর্বজনে শোনো দিয়া মন। অপূর্ব কাহিনী এক করিব বর্ণন। সকাল বিক...

ভাবনার ঢেউ

 ভাবনার ঢেউ দেবপ্রসাদ জানা উত্তাল তরঙ্গ বলে,এসো মোর প্রাণে। তাই বুঝি ভেসে যায়,উদাসীন মন। মাতাল বাতাস খেলে,তরঙ্গের সনে। বালুতটে আছাড়িয়া পড়ে সারাক্ষন। সমুদ্রের নীল জলে,ভাঁটিয়ালী গান। সাগরের পেট চিরে,নৌকা চলে ধীরে। শুক্তোর বুকে মুক্তোর,নিত্য অভিযান। একভাবে ঢেউ উঠে,পারে এসে পড়ে। রাত বলে,সাগরের বুক কাঁপে ভয়ে। সমুদ্রের বুকে ভাসে,দুঃস্বপ্নের আলো। ঢেউয়ের চুড়া ধরে,দূরে যায় বয়ে। আবার এসোগো ফিরে, না বলাই ভালো। কিছুক্ষন থেমে গেলে,ভাবনার ঢেউ। শুধু যেন মনে হয়,আপনার কেউ।

যতটুকু পাবো

 যতটুকু পাবো দেবপ্রসাদ জানা জানি, যতটুকু পাবো,সব নয় মোর। দিতে হবে জনেজনে,এক মুঠ করে। যতটুকু নেবো আমি দিয়ে মুষ্টি জোর অকারণে অতিরিক্ত থাকবে কি করে? দেয়ানেয়া লীলাচলে,সমাজে সবার। ঘূর্ণমান পৃথিবীতে,গোলাকার সব। যতটুকু প্রাপ্য নিতে,হবে প্রতিবার। আমি চাই আমি চাই কেন কলরব? ঢেউ ভাঙ্গা খেলা বুঝি,অবসান হবে। মুছে যাবে দুঃস্বপ্নের,ভয় লেগে থাকা  সমস্ত দুখের দিন,    মুছে দেবে যবে। সেইদিন নয়ালোক পেয়ে যাবে দেখা। তাহলেই ভাবনার আকাশে-বাতাসে নষ্ট খেলা থেমে যাবে,আনন্দ হরষে।

মাধ্যমিকে প্রথম ছেলে

 মাধ্যমিকে প্রথম ছেলে দেবপ্রসাদ জানা মাধ্যমিকের প্রথম ছেলে,সব বিষয়ে ভালো। বাংলা ভুগোল ইতিহাসে নাইন্টি নাইন পেলো। অঙ্ক বিজ্ঞান ইংরেজি। পাকাপক্ত ধরে বাজি। একশোর মধ্যে একশো পেয়ে মুখ করেছে আলো। মাধ্যমিকের প্রথম ছেলে সব বিষয়ে ভালো। মায়ের ফোনে যখন তখন ম্যাসেজ টুংটান লিঙ্ক এসেছে অঙ্ক করার,জারি ফরমান। খাতা ছেড়ে ফোন ধরেছে  লকডাউনে পড়া বেড়েছে ঘরের মাস্টার প্রশ্ন লিখে ওয়াটস অ্যাপে দিলো। মাধ্যমিকের প্রথম ছেলে,সব বিষয়ে ভালো। সারাদিনে নানান প্রশ্ন লুকিয়ে লুকিয়ে পড়া। গুগুল খুলে এক নিমিষে -তাও যাবে ধরা। অনলাইনে অনেক পড়া। ফোনটাকে যাবে না ছাড়া। প্রজেক্ট ছিলো ইউটিউবে,কেমন করে পেলো মাধ্যমিকের প্রথম ছেলে,সব বিষয়ে ভালো। অনলাইনে টেষ্ট পরীক্ষা,হাসির ফোয়ারা। প্রশ্নগুলো ভাবার আগেই বই খুলে সারা। প্রশ্ন গুলো দেখে দেখে বুঝিনা আমি,কি শেখে? ভাবতে ভাবতে মনের ঘরে,ঢেউ এসে গেলো। মাধ্যমিকের প্রথম ছেলে, সব বিষয়ে ভালো। ফোন রাখার স্ট্যান্ড কিনেছে,গোলাকার আলো। ভিডিও কলে সবাই মিলে,      গল্প জুড়ে  দিলো। ব্যাকগ্রাউন্ডটা ভালো নয়, বন্ধুবান্ধব সব  মন্দ কয়। দেওয়াল খানা রঙ করতে,হাজার টাকা গেলো। মাধ...

মানুষের মতো

 মানুষের মতো দেবপ্রসাদ জানা গলে যাচ্ছে বরফের,সর্বোচ্চ পাহাড়। বেড়ে যাচ্ছে সাগরের জলের উচ্চতা। মৃত্যুর পাখিরা ওঁত পেতে আছে তার- যমদূত চঞ্চু নিয়ে,দিতেছে বারতা। একটু একটু করে,আলোর শরীরে- অন্ধকার বাসা বেঁধে,নিয়েছে অলক্ষ্যে। কর্পূরের মত উবে যাবে,আলো ওরে। অন্ধকার ভরে যাবে,আলোকের বক্ষে। দুষ্টু মানুষের ভিড়,বেড়ে গেছে এত, কোনমতে বেঁচে থাকা,শেষ হয়ে যাবে। তবুও মানুষ খুঁজি,মানুষের মত। মনের মত মানুষ,নিশ্চয়ই পাবে? এসো না সকলে মিলে,হাতে হাত ধরি। মনের সকল দ্বার,খুলে কাজ করি।

চেয়ে আছো সাগরে

 চেয়ে আছো সাগরে দেবপ্রসাদ জানা কেন তুমি চেয়ে আছো,অসীম সাগরে ভাবছ,দেখবে মোরে সাগর সঙ্গমে। অমাবস‍্যার এমন, ঘোর অন্ধকারে- কেন চেয়ে আছো প্রিয়া? মরি যে শরমে। এই পৃথিবী চায়নি মোরে কোনোদিন                                অবিশ্বাসে বেচে থাকা, যায় না নীরবে। হারিয়ে যাচ্ছিল মোর, আশা প্রতিদিন। লুকিয়ে রেখেছি প্রিয়া তোমাকে গরবে। তুমি বনফুল হয়ে, ফুটেছিলে বনে। যন্ত্রণায় জ্বলছিলে তুমি অন্তহীন। আপনজন ভেবেছি আমি যেই ক্ষনে। হৃদয়ে কেটেছ দাগ, হয়েছ স্বাধীন। আর কেন অপেক্ষায়,গুনিতেছ দিন। সাগরের তলদেশ, হয়েছি বিলীন।

সীতার অগ্নিপরীক্ষা

 সীতার অগ্নিপরীক্ষা  দেবপ্রসাদ জানা ১ শ্রীলঙ্কায় যুদ্ধ শেষে,এল সেইক্ষন। উদ্ধার করিতে হবে,মাতাসীতারানী। হনুমান বিভীষনে,করিল আবেদন। সীতামাতা কোনখানে,কহ ধর্মজ্ঞানী। রাজপদে অভিসিক্ত,বন্ধু বিভীষণ। শ্রীরামের আপ্যয়ন,করে যথা বিধি। সীতামাতা অপেক্ষায়,মনে আলোড়ন। তুচ্ছ লাগে আপ্যয়ন,জ্বালা দেয় গদি। রামের হৃদয় কাঁদে,সীতা দেখিবারে, উন্মুখ উদ্বেগে পূর্ণ,মন কথা কয়। সোনার হরিন লাগি,হারায় সীতারে, প্রতীক্ষায় রত তার,ব্যাকুল হৃদয়। আলুথালু বেশে সীতা,অশোক বাগানে। স্বামীর আশ্রয়ে যাবে,ব্যাকুল ক্রন্দনে। ২ বিভীষণ সবিনয়,করে নিবেদন। এমন বেসে,কেমনে?প্রভুর সম্মুখে। জীর্ণশীর্ণ বেশ দেখি,অযোধ্যা নন্দন। দুখের অন্ত রবে না,প্রভুর তরফে। অবশেষে রাজবেশে,এলো সীতা,হাসি। বিভীষণ শিবিকার,আগে আগে চলে। আগমনবার্তা দেয়, যত দাসদাসী। সপার্ষদ রাম বসে,আঁখি নাহি টলে। ওহে বন্ধু বিভীষন, শুনো মোর বানী অধিক নিকট মোর,পানে নাহি আসো। রূপে গুণে সরস্বতী,জনক নন্দিনী। এত কেন ত্বরা করি,সুখস্রোতে ভাসো। রাজকন্যা রাজরানী,জানকী বিস্ময়ে। অবাক নয়নে চায়, সীতা ভয়ে ভয়ে। ৩ গাম্ভীর্যময় প্রকৃতি করিছে বিরাজ। সকলের দৃষ্টি এবে সীতায় নিবদ্ধ। রামসীতার মিলন, ...

ইতিহাস হবে

 ইতিহাস হবে দেবপ্রসাদ জানা না এখনো কলম,থেমে যায় নি  এখনো তোমার বিরহে চলে কলম এখনো রাগের বসে বলে- ইতিহাস হবো,  গঙ্গোত্রীর গভীর জলে, বাঁচার প্রতিজ্ঞা ভেঙ্গে,তোমার শোকে পথ চেয়ে বসে আছে, তোমারই তরে, জীবন যাই হোক,  চির সুখের পাঠ‍্যসূচী, লিখে চলে, লিখে চলে বেদনার পাঠ। তুমি তার প্রাণে থাকবে চির জীবন্ত হয়ে, তুমি তার ভালোবাসার প্রতীক হয়ে- প্রতিদিন আগুন হয়ে পুড়িয়ে দেবে মলিনতা। তুমি অনন্ত আকাশ হয়ে ভেসে যাবে নীল দিগন্তে। তুমি থাকবে আলোর ভূবনে, চির জলন্ত,শব্দ তৈরী করবে, তুমি কলমের হাত ধরে নিয়ে যাবে  উচ্চতার শিখরে,সেই সাহিত্যের পর্বতে। তুমি বিদগ্ধ প্রাণে জোগাবে,অফুরন্ত ভালোবাসা। সেই চির অনন্তের চাওয়া-পাওয়া, সেই মধুর জীবন,  জীবন্ত ইতিহাসে থাকবে লেখা। আর আমি কলমের আগুন হয়ে জ্বলব, তুমি রবে নীরবে ওই বাতাসে মিশে। আর কলম চলবে জীবনের সাদা পাতায়, কত বর্তমান অতীত হবে, হবে ইতিহাস।    

আঁধার রাত

 আঁধারের রাত দেবপ্রসাদ জানা আঁধারের রাত,কেটে যাবে একদিন। পুব দিকে সোনা রোদ,উঠেছে দেখবে। রাত শেষে রবি, কথা কহিবে সেদিন। মনের মাঝে,সুরের ঝঙ্কার বাজবে। ভয় ছেড়ে,কাজে লেগে যাও মনোরমা। যত ব্যথা মনে আছে,ঝেড়ে ফেলে দাও। দেখবে ভালোবাসার নাই কোনো সীমা। প্রিয়া মোর,অশ্রু ভরা আঁখি মুছে নাও। ভালো যদি বাসো তবে,মন খুলে রাখো। হৃদয় মাঝারে যদি,ব্যথা পাও প্রিয়া। সে ব্যথায় ক্ষমা দিয়ে,একবার দেখো। মনের দুয়ার খুলে, দেবে গো অভয়া। সুখী হবে এ সংসারে,ভুল নাই কোনো। মন পাবে ভালো রবে, সুখী হবে জেনো।

না তুমি কিছুই বলোনি

 না তুমি কিছুই বলোনি  দেবপ্রসাদ জানা ১১.১০.২০২১ ডাকবাক্সে অনেকদিন পড়ে আছে, আমার দেওয়া শেষ চিঠিটা- তুমি দেখোনি। ও বাক্সে আর চিঠি আসে না- ও বাক্সে আর আলো পড়ে না। অন্ধকার, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে- তোমার জন্য লেখা শব্দ গুলোর। তুমি বোঝনি। খামের ওপরে ধুলো পড়ে লাল হয়ে গেছে, খামে যত্ন করে আটকানো আঁঠার - শক্তি চলে গেছে, এবার খুলে যাবে। একবার মনে করে,দেখো চিঠিটা। ওটাতে আমার হৃদয় লোকানো আছে। যেটা তুমি ভেঙ্গে ছিলে অনায়াসে - হারিয়ে দিয়েছিলে আমায়। তুমি শোনোনি। তোমার হাতে মোবাইল এসেছে, দামি মোবাইল - কত ছবি তুলেছ তুমি- দিয়েছ ফেসবুকে। ওয়াটস্অ্যাপে ডিপি করেছ, শুনেছি। ফেসবুকে তোমার সুখের সংসারে - আপডেট দেখি- আমার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট - তুমি অ্যাক্সপ্ট করোনি, পড়ে আছে অবহেলায়। ম্যাসেঞ্জারে, অনেক হাই লিখেছি না তুমি কিছুই বলোনি।

আর আসো নি

 আর আসো নি দেবপ্রসাদ জানা ১২.১০.২০২১ হ্যাঁ আরো একবার, তোমার সেই গায়ের মিষ্টি গন্ধটা পেলাম। বাতাস মিলে মিশে একাকার হয়েছে যেন, সাথে সেই দিন কাটানোর দিনগুলি, বুকে করে নিয়ে বেঁচে আছি এতদিন। সত্যি ! বেঁচে আছি কি?  প্রশ্ন জাগছে মনে। তোমার সেই সাজানো বাগান? কৃষ্ণ চুড়া গাছে লাল ফুল ফুটছে এখন। তুমি বলেছিলে লাল ফুল ফুটলে,  ভালোবাসা গাঢ় হয়। সত্যি কি তাই? ঘরের কোনে রাখা তোমার সেই সেতার, যেটা তুমি একবারও ধরে দেখনি, বলেছিলে বিয়ের পর বাজাবে, তাই কিনেছিলে আদর করে, সেটা আজকাল-  অকারণেই নিজে নিজে বেজে ওঠে। সেতারের ভেতরে ইঁদুরে বাসা করেছে, সংসার পেতেছে, কিন্তু আমরা পারিনি,   ইঁদুর গুলো পেতেছে। তাই সেতার খানা বেজে উঠছে। আমার গানটা হয়নি, তোমার হয়েছিল আমার ঘাড়ে চেপে, নাম হলো তোমার, সহ গায়ক হলো, আর আমার মনের কোমল মাটিতে নেচে নেচে,  একদিন,  তোমার পায়ের তলার মাটি শক্ত করে নিলে।তারপর কত যে শুকিয়েছে, নিষ্পাপ নিরোপরাধ আমার মনের অভিমান- হিংসা মনে করে,  দিনের আলোয় ফোটার আগেই-  একদিন রাতের তারার মতো লুকিয়ে গেলে। আর আসনি।   

মা বলেছিল!

 মা বলেছিল  দেবপ্রসাদ জানা ১৩.১০.২০২১ আমাদের সময় - পুজোয় একটা করে মাল পটাতাম। কথাটা বলেই, সুতপা চুপ করে গেল। কি বলছে সে? অদ্রিজা বলল- মাল! তা বলতে পারিস। ওরা যখন আমাদের মাল বলে।  তবে তোর কথা আর বলিস না। প্রেমের বই লিখলে,একটা মহাভারত হতো। প্রতি পুজোয় প্রতিদিন- সপ্তমী অষ্টমী নবমী একটা করে- ফুচকা,পাপড়ি চাট,রেস্টুরেন্টে কবিরাজি, অনাদির মোগলাই,সিরাজের বিরিয়ানী - কাবাব, একটা পয়সা লাগতো না  সব বয়ফ্রেন্ড- বলেই হাঃ হাঃ করে হেসে উঠল অদ্রিজা। এতক্ষন সুর্পনা তার মা আর মায়ের বন্ধুর কথা - শুনছিল।  সে প্রেম বৈধ না অবৈধ? জানে না সুর্পনা, তার মা যদি এত কিছু করে, তার কি এমন দোষ? তাও জানে না সুর্পনা,  তাহলে কেন সে অনিমেষকে, অভদ্র বদমাইস বলল? একটু না হয় ছোঁয়াছুঁয়ি করছিল, অদ্রিজা আন্টি বলছিল তখনো- সুতপা তুই বলতিস- ভালোবাসবো অথচ ছোঁয়াছুঁয়ি থাকবে না? আলতো আদর আর মিষ্টি চুমু না হলে প্রেম, তার কথা গুলো বেশ লাগছিল। তার মা! এত সেকেলে একটা মহিলা, কথা বলতে গেলে এখন কেঁপে ওঠে। অনিমেষের হাতের স্পর্শ বেশ লেগেছিল তার। তাকে পাশে জড়িয়ে, কোমরের ওপরে হাত দিয়ে- হালকা চাপ- কখনো কখনো একটু কুনুয়ের...

সতীদাহের ঘাটে

 সতীদাহের ঘাটে দেবপ্রসাদ জানা ১৪.১০.২০২১ দুই সত্তার বিপরীত মুখী স্রোত - বিপন্ন বিস্ময়ে অন্তঃস্থিত চেতনার জগতে, রচনা করে অন্তর্গত শূন্যতায়- আর এক বোধ, আর এক প্রেম। যদিও,সে কথা বলে না, ম্যাসেজ করে না,  কোটেশন পাঠায় না, ফুল দিয়ে সুপ্রভাত বলে না। আগে বলতো, কিন্তু কি যে হলো? হঠাৎ করে কেমন পাল্টে গেল। আকাশের ওপর দিয়ে উড়ে গেল পাখির মতো। সেদিন আসবে বলেও, আসেনি - আমাদের চির পরিচিত সেই ঘাটে, সতীদাহের ঘাটে- আমি অপেক্ষা করে করে, প্রহরী বটের মতো নদীর ধারে,স্মৃতিঘন চেতনায় ক্রমশ হারিয়ে  যাওয়ার আগে ফিরে গেলাম, সে এলো না। কি জানি সে কি ভুলে গেছে? এই সেই ঘাট যেখানে একদিন - জ্যান্ত চিতায় তুলে পুড়িয়ে মেরে ছিল, ওর দেহ, জলজ্যান্ত ফুটফুটে অষ্টাদশী। দেহজ সুষমায় রূপালী জোছনা। আমি দেখছিলাম, শুনছিলাম তোমার আর্তনাদ। আমি অসহায় - হাত পা বাঁধা অবস্থায়। ওই ঘাটে। ওই সতীদাহের ঘাটে,বৃদ্ধ বটবৃক্ষের ডালে। কতরকম খারাপ ভাবনা হয়,জানো? তবু সে বোঝে না।  সতীদাহ এখনো রাস্তায় - মাঠে ঘাটে প্রান্তরে- আকচার হচ্ছে, যদি আসার পথে একটা ফাঁকা মাঠ পড়ে? আসতে গিয়ে যদি,কোনো- বদমাইস - হয়তো তাকে, শ্লীলতাহানি করে, তেল ঢেলে পু...

বজ্রপাতে

 বজ্রপাতে দেবপ্রসাদ জানা ১৬.১০.২০২১ কেঁপে উঠি তার আত্মার বুকফাটা কান্নায় বাজ পড়ে মরু মাঝে,তরুশাখে,দাবানলে দগ্ধ। বাতাসে পোড়া চামড়ার গন্ধ, বসন্তের রাতে,নীলাকাশে ভাসে কালো ধোঁয়া। আঁধার আকাশে নিদাঘ সন্তাপে-  স্তব্ধতার গভীর ইশারা বিশাল প্রান্তরে।  থরথর কাঁপে জীবন তরণী,অনন্ত সাগরে।  ঝড় ওঠে,চমকি আলোয় খেলে যায়, বাজের হুংকার।  হ্যাঁ তার ঝলসে যাওয়া শরীরের আগুন  বলে যায় চিতা কেন সাজাও? আর কেন ঝলসে দিতে চাও আত্মার পাখিটারে? চিরবিদায়ের বানী, বাজতে দাও কানে- শুনতে দাও মৃত্যুর আর্তনাদ।  আত্মার বুকে বাজুক বেদনার সুর। চিরবিরহীর মত, প্রতিদিনের মিলন হোক-আদরে। আরো একটা বাজ পড়বে মনে। পাইন গাছটার হৃদয়ে,  পতির পীরিতে- আদরে বড় মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। সুশীতল ছায়ায়,  বৃক্ষতলে বসে কাঁদুক আত্মা সারাদিন। আত্মার পাখি হৃদয়ে লেগেছে- আগুন লেগেছে কালোদীঘির জলে ||  বসন্তের ফুল বলে,শোনো কৃষ্ণচূড়া, রূপের প্রকাশে সারা বিশ্বের এক আকাশ মায়া ঢেলে দাও কেন দেহ পরে। জানি বসন্তের বাঁকা চাঁদ,নীল আকাশে দুখের তিমির ভাসে।  নয়নের তারা, শ্রবণের শ্রুতি,  দেহের নিশ্বাসে। মনের আনন্দ...

প্রিয়াহীন

 প্রিয়াহীন দেবপ্রসাদ জানা বুকের বাঁ পাশে,এক টুকরো হৃদয়। বুকের খাঁচায় বাঁধা, করে ধুকপুক। সারাদিন সারারাত কত কথা কয়। মনের আঘাতে মন,ধরে রাখে বুক। শ্রাবণের বারি ধারা করে টিপটিপ। ঝিরঝির ঝিরঝির,ইলশে গুঁড়ির। প্রেমের বাতাস লেগে,নিবে যায় দীপ। একা ঘরে প্রিয়তমা,মূক ও বধির। ঘোমটায় ঢাকা ছিল,সোনালী রোদ্দুর। লুকিয়ে দেখেছে মন,আকাশের বুক। হৃদয়ের পাটাতনে,খেলা সুমধুর। স্পর্শকাতর হৃদয়, করে ধুকপুক। ব্যথিত হৃদয়ে গাঁথা,তীক্ষ্ণ আলপিন। প্রিয়া হীন এ হৃদয়,চলে কতদিন।

চলো তবে

 চলো তবে দেবপ্রসাদ জানা কারো এসেছে নজরে? জানা নেই ঠিক তবে চোখ চেয়ে দেখা, মজা করে বেশ প্রাপ্তি ভোরাই ওজরে! ভুলে ভরা দিক নিরীহ আদেশে লেখা, মৌন অবশেষ।  উন্মাদ দিগন্ত রেখা, স্তব্ধ বোধি রেশ। মত্ত হত্যালীলা মাতে! অযথা হেলায়। মরেছে মানুষ একা, রক্তে রাঙা দেশ। বেঁচেছে শূন্যতা খাতে, মূক অবেলায়! তাসের ঘরের সাথে,কৌলীন্য খেলায়। সম্পর্কের স্বাধীনতা? অবাধ তোষণে। প্রতিকূলে গৌণ পাতে! ডুবন্ত ভেলায়। আগে ফুরায় দীনতা, অস্থির শোষণে।  চলো সবে ধ্বজা তুলে, সমন্বয়ে মাতি। ভালোবেসে ব্রতী মূলে,আসুক প্রগতি।।

দেবীদূর্গা

 ।। দেবী দূর্গা।। দেবপ্রসাদ জানা    ১৭.৯.২০২০ দেবী দূর্গা কহে তার,বীর পৌত্রগনে। দু হাজার বিশ,বিশ্ব ভরলো করোনা। হলাহল মহা বিষ,ভরে দিল চীনে। মৃত্যুর মিছিল চলে,ভীষন ভাবনা। গনেশের পুত্র কহে,"প্রশ্ন মোর মনে- "এমন দূর্গতি কেন,এলো পৃথিবীতে"? "ওরা সব অনাচার,ভরে ছিল মনে" দিকে দিকে অত্যাচার,ছিল ভোর হতে। মহালয়া হলে পরে,যেতে হবে নাকি। ভয়ে ভয়ে দূর্গা কহে,বিপদের দিন। ভোরবেলা শাঁখ বাজে,ছয়দিন বাকি। ধূপ ধুনো পরিমলে,করোনা মলিন? নারে বাবা যাব নারে,এত তাড়াতাড়ি। একমাস পরে হলে,তবে যেতে পারি। ====== এই কবিতাটার জন্য কিছু প্রশ্ন ছিল অনেকের। তাই আজ তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচের তথ্য টি দিলাম। সিদ্ধিদাতা গনেশ ও পরিবার। ==== বাঙালির মূর্তি চিন্তায় গণেশের কোনও বউ নেই। যদিও অনেকেই বলেন, ‘কেন কলাবউ তো আছে!’ কিন্তু কলাবউ গণেশের স্ত্রী নয়। কলাবউ শস্যশালিনী দেবী দুর্গার প্রতীক। গণেশ ব্রহ্মচারী স্বরূপ হলেও গণেশেরও স্ত্রী-পুত্র কন্যা রয়েছে।  ১।। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে: গণেশ দেবী তুলসীর অভিশাপের ফলে ‘মহাষষ্ঠী’র পাণিগ্রহণ করলেও তাঁর কোনও সন্তানাদি হয়নি। গণেশ কামশাস্ত্রের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শুধু সিদ...

প্রিয়তমা গো

 প্রিয়তমা গো দেবপ্রসাদ জানা ১৯.১০.২০২১ প্রিয়তমাগো দোহাই,তব অভিমানে, হাজার নগরী স্তব্ধ, হৃদয় আবেগে- তোমার প্রেম,রাখবো,চিরকাল মনে। ছেড়ো না হাত সজনী,মিথ্যা অনুরাগে। কত শত কবি,লেখে তোমার হৃদয়ে। রিক্ত প্রেমের কলঙ্ক মেখে,দিবালোকে। রাতের পরে, রাতের চাদর চাপিয়ে। শব্দমালা গেঁথে,স্পর্শ করে কবিতাকে। ভুল যেওনা,তোমার নিত্য প্রতিক্ষায়। স্বপ্ন ভাঙ্গে,রক্তেরাঙা পলাশের বনে। প্রেমিকার রূপে মুগ্ধ হয়ে,কবিতায়। ঢেলে দেয় সে অমৃত,প্রেমিকার মনে। হৃদয়ের রক্ত ঝরা,নিদারুন ব্যথা। কলমের শোক যেন দিতেছে বারতা।

ছড়া

 প্রেমের ছড়া হয়েছে সকাল চোখ মেলো দেখো বাগানের হাল। প্রভাত সূর্য এসেছে সেথা আবার আসবে কাল। শুভ সকাল। শুভ সকাল। বুকের কষ্ট বুকে নিয়ে মনের আনা গোনা। মৃত্যু বড় চেনা লাগে জীবন অচেনা। জীবন মানে হাসি কান্না জীবন একটা খেলা। আজ আছি কাল নেই বয়ে যাবে বেলা। জীবন মৃত্যু একসাথে  চলে পাশাপাশি। কেউ আগে,কেউ পরে। নদে যাবে ভাসি। তুমি আমি কেউ নয় শুধু মরীচিকা। যেতে হবে ওই পথে এই ভাগ্যলেখা। গোকুলে গোপাল এলো  করিতে লীলা। শুভ্রদীপের বাড়িতে তাই  বসেছে মেলা। জয় গোপাল জয় গোপাল বলছে সবাই। এমন সুন্দর রূপ তাঁর  কোথা গেলে পাই। তুমি তো ছিলে আমার হয়ে। চলে গেলে কেন,বলে কয়ে। এতদিন এতমাস ফাল্গুনী ছিল পলাশের। আজ সে দেখো বউ, সেজেছে সৌভিকের। স্মৃতিরা জেগে থাকে মনে স্বপ্নরা মরে ভোরের আলোয়। মনের মন্দিরে রেখেছি ঢেকে দেবীর কৃপা যেন না বেরোয়। বন্ধু ভালো আছো তো অনেকদিন হয়নি কথা। সুপ্রভাত আর শুভরাত্রী  এক নিয়মিত প্রথা। প্রেমের কবিতা মোরে করেছে বিবাগী। হৃদয়ে লেগেছে নেশা তাই প্রেম মাগি। সকালটা ভালো হোক প্রেমের বচনে। এসেছে শরৎ সখী এই প্রেমাঙ্গনে। স্বপ্নেরা জেগে থাকে সারারাত  স্বপ্ন দেখবে বলে। আলোআঁধ...

কর্মমুখী শিক্ষা

 কর্মমুখী শিক্ষা দেবপ্রসাদ জানা ২১.১০.২০২১ নেপোলিয়ন বলেছিলেন, ‘Give me an educated mother; I will give you an educated nation.’ অর্থাৎ তোমরা আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিব।  যে জাতি যতো বেশি শিক্ষিত,সে জাতি ততো বেশি উন্নত। শিক্ষাই পারে কোনো দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে। তাই সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন মানুষেরও এগিয়ে আসা উচিত। তাহলেই দেশ ও জাতি অন্ধকার থেকে মুক্তি পাবে এবং জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব হবে। বিশেষ করে মায়েদের, মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে শিক্ষা একটি। আর এই শিক্ষা মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা শিক্ষাই মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক উন্নতির ফলে কর্মসংস্থানের ধারণা ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। নতুন নতুন কাজের দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। অথচ আমরা সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারছি না। ফলে  বিশেষ শিক্ষা অপরিহার্য হয়ে পড়ছে।  সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কর্মমুখী শিক্ষাই এখন অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। কর্মমুখী শিক্ষা এমন এ...

শুধু কি প্রেম?

 শুধু কি প্রেম? দেবপ্রসাদ জানা ২২.১০.২০২১ একটা প্রেমের কবিতায় যখন মন ডুবে যায়, ভেসে যায় সাগরের পানে,  গোধূলির রঙে যখন মন হারিয়ে যায়- সন্ধ্যা বেলার ডাকে হয়ে যাই নিখোঁজ। তার হাতে হাত রেখে- তাকে পেয়েছি নিজের মাঝে। অনুভূতিরা থেকেছে তৃষিত, আবেগী জীবনের কিছুটা থেকেছে প্রতীক্ষারত। মুহূর্তরা পেয়েছে তার নিমন্ত্রণ, নিজস্বতায় যখন হেঁটেছে মন প্রেমের -  সমান্তরাল পথে।  তোমরা তখন ভেবেছ,বলেছ- ডুবে ডুবে জল খাচ্ছো কবি? আরে!  শুধু কি ডুবে থাকলে হয়?  অক্সিজেন লাগে না? তাই উঠতে হয়। লিখতে লিখতে  কলম থেমে যায়, হাত কেঁপে যায়। মনের সমুদ্রে টান পড়ে যায়,আদুরে শব্দ। হারিয়ে যায় সেই অনুভূতিপ্রবণ প্রেম। কলমের আঁচড় লাগে সমাজের বুকে, রাজনীতি আর অসভ্যতার অলিন্দে- গর্জে ওঠে, অশালীন ভাষায়। কামার্ত,তৃষ্ণার্ত পশুগুলোর বুক - ক্ষতবীক্ষত করতে থাকে কলমে আঁচড়ে। আর এক গৃহ যুদ্ধের পরিমণ্ডলে অবতীর্ণ হয়, সেই প্রেমিক কলম। বদলে যায় একটা সমাজ।

মানুষের মতো

 মানুষের মতো দেবপ্রসাদ জানা গলে যাচ্ছে বরফের,সর্বোচ্চ পাহাড়। বেড়ে যাচ্ছে সাগরের জলের উচ্চতা। মৃত্যুর পাখিরা ওঁত পেতে আছে তার- যমদূত চঞ্চু নিয়ে,দিতেছে বারতা। একটু একটু করে,আলোর শরীরে- অন্ধকার বাসা বেঁধে,নিয়েছে অলক্ষ্যে। কর্পূরের মত উবে যাবে,আলো ওরে। অন্ধকার ভরে যাবে,আলোকের বক্ষে। দুষ্টু মানুষের ভিড়,বেড়ে গেছে এত, কোনমতে বেঁচে থাকা,শেষ হয়ে যাবে। তবুও মানুষ খুঁজি,মানুষের মত। মনের মত মানুষ,নিশ্চয়ই পাবে? এসো না সকলে মিলে,হাতে হাত ধরি। মনের সকল দ্বার,খুলে কাজ করি।

ভালো

 ভালো  দেবপ্রসাদ জানা প্রিয়তমা..গো দোহাই,তব অভিমানে, হাজার নগরী স্তব্ধ, হৃদয় আবেগে- তোমার প্রেম,রাখবো,চিরকাল মনে। ছেড়ো না হাত সজনী,মিথ্যা অনুরাগে কত শত কবি লেখে,তোমার হৃদয়ে। রিক্ত প্রেমের কলঙ্ক মেখে,দিবালোকে। রাতের পরে, রাতের চাদর চাপিয়ে। শব্দমালা গেঁথে,স্পর্শ করে কবিতাকে। ভুল ভেবোনা,তোমার ভালোলাগাটাকে স্বপ্ন করে, রঙমাখা পলাশের বনে। প্রেমিকার রূপে মুগ্ধ হয়ে,কবিতায়। ঢেলে দেয় সে অমৃত,প্রেমিকার মনে। হৃদয়ের রক্ত ঝরা,নিদারুন ব্যথা। কলমের শোক যেন দিতেছে বারতা।

চেয়ে আছো সাগরে

 চেয়ে আছো সাগরে দেবপ্রসাদ জানা কেন তুমি চেয়ে আছো,অসীম সাগরে ভাবছ,দেখবে মোরে সাগর সঙ্গমে। অমাবস‍্যার এমন, ঘোর অন্ধকারে- কেন চেয়ে আছো প্রিয়া? মরি যে শরমে। এই পৃথিবী চায়নি মোরে কোনোদিন                                                      অবিশ্বাসে বেচে থাকা, যায় না নীরবে। হারিয়ে যাচ্ছিল মোর, আশা প্রতিদিন। লুকিয়ে রেখেছি প্রিয়া তোমাকে গরবে। তুমি বনফুল হয়ে, ফুটেছিলে বনে। যন্ত্রণায় জ্বলছিলে তুমি অন্তহীন। আপনজন ভেবেছি আমি যেই ক্ষনে। হৃদয়ে কেটেছ দাগ, হয়েছ স্বাধীন। আর কেন অপেক্ষায়,গুনিতেছ দিন। সাগরের তলদেশ, হয়েছি বিলীন।

সীতার অগ্নিপরীক্ষা

 সীতার অগ্নিপরীক্ষা  দেবপ্রসাদ জানা ১ শ্রীলঙ্কায় যুদ্ধ শেষে এল সেইক্ষন উদ্ধার করিতে হবে মাতাসীতারানী হনুমান বিভীষনে করিল আবেদন সীতামাতা কোনখানে কহ ধর্মজ্ঞানী। রাজপদে অভিসিক্ত বন্ধু বিভীষণ। শ্রীরামের আপ্যয়ন করে যথা বিধি। সীতামাতা অপেক্ষায় মনে আলোড়ন। তুচ্ছ লাগে আপ্যয়ন জ্বালা দেয় গদি। রামের হৃদয় কাঁদে,সীতা দেখিবারে, উন্মুখ উদ্বেগে পূর্ণ,মন কথা কয়। সোনার হরিন লাগি,হারায় সীতারে, প্রতীক্ষায় রত তার,ব্যাকুল হৃদয়। আলুথালু বেশে সীতা অশোক বাগানে। স্বামীর আশ্রয়ে যাবে,ব্যাকুল ক্রন্দনে। ২ বিভীষণ সবিনয়,করে নিবেদন এমন বেসে,কেমনে?প্রভুর সম্মুখে। জীর্ণশীর্ণ বেশ দেখি,অযোধ্যা নন্দন। দুখের অন্ত রবে না,প্রভুর তরফে। অবশেষে রাজবেশে এলো সীতা,হাসি। বিভীষণ শিবিকার,আগে আগে চলে। আগমনবার্তা দেয়, যত দাসদাসী। সপার্ষদ রাম বসে,আঁখি নাহি টলে। ওহে বন্ধু বিভীষন, শুনো মোর বানী অধিক নিকট মোর,পানে নাহি আসো। রূপে গুণে সরস্বতী,জনক নন্দিনী। এত কেন ত্বরা করি,সুখস্রোতে ভাসো। রাজকন্যা রাজরানী,জানকী বিস্ময়ে। অবাক নয়নে চায়, সীতা ভয়ে ভয়ে। ৩ গাম্ভীর্যময় প্রকৃতি করিছে বিরাজ। সকলের দৃষ্টি এবে সীতায় নিবদ্ধ। রামসীতার মিলন, দেখব...

শ্রীরাধার প্রেমে

 শ্রীরাধার প্রেমে  দেবপ্রসাদ জানা তোমার স্তব্ধ অন্তরে এত অভিমান  বিরহে কাঁদিছে রাধা,যমুনার তটে। মোহনের বাঁশি গাহে,সুমধুর গান। অরূপ অতল সুর,ঘোরে পথে ঘাটে। বলো কোন মধুময়,কোন শুভক্ষনে। তোমার চরণ ছুঁয়ে, যায় ধুলিকণা। শিশির স্নাত ফুল দি,তোমার চরণে। উতপ্ত মরু সূর্যের এমন বাসনা। গায়ে মাখি মধুসুধা,কপালে চন্দন। সৃজন সম্মুখ পানে,চলে শ্যাম রাই। লীলাধামে ঢেউ তুলে,হইল বোধন। সখীসনে দোলখাবে,শ্রীরাধা কানাই। স্বর্গ মর্ত্য পাতালের,সৃষ্টিকর্তা দোলে। রাধার প্রেমে কানাই,চরাচর ভোলে।

জেগে ওঠো বীর

 জেগে ওঠো বীর দেবপ্রসাদ জানা মৃত্যু নিয়ে ভয় যেনো,অনন্তকালের নিবিড় স্বপ্নের নীল,মরণের যাত্রা। কত বীর উচ্চ শির,দিয়েছে নিজের। অস্ত্র ধরে, যুদ্ধ করে,তার শেষ যাত্রা। খুশি মনে গেছে রণে,প্রীতি সনে হেসে। দেখো চেয়ে ইতিহাসে,রক্ত দিয়ে লেখা। তপোবনে জনে জনে,রূপে ভালোবাসে। গন্ধর্ব বিবাহ প্রথা, সেই হতে শেখা। অশ্রু ঝরে আঁখি হতে,দান করে প্রাণ, একা বীর রক্ষা করে,রাজ্য ভরা প্রজা। প্রাণ যদি যায় যাক, রাখে তার মান। মৃত্যু দিয়ে নাম ডাক,মৃত্যু নয় সোজা। মানযশ নামডাক, মৃত্যু দিয়ে ঘেরা। মরণের মাঝে আছে,সব সেরা সেরা।

সুন্দরের খেলা

 সুন্দরের খেলা দেবপ্রসাদ জানা  সবুজ পাতার ঘুম, স্থির শূন্যময়। মেঘবলাকার বুকে,প্রবাহিত বারি। জীবন প্রবাহ সুখে, ভারি বর্ণময়। খুঁজেছি অনন্তকাল,কলাবতী নারী। থেকেছি প্রবাহ ঘিরে,দিগন্ত হারায়ে। ধ্বনিময় পদশব্দে,প্রতিটি প্রহরে। মেঘতৃষা অন্যরূপে,আমারই গাঁয়ে। জীবন পেয়েছে তারে,ভিন্ন এক ঘরে। উপেক্ষার জ্বালা লাগে,আঁধার সৈকতে। ছন্দের পতন ঘটে,নদীর প্রবাহে। পর্ণ কুটিরের মায়া,কেটে যায় রাতে। পুড়িয়ে বিবেক মন, নিজ অন্তর্দাহে। সুন্দর গিয়েছে চলে,সেই শেষবেলা। সবুজ পাতায় চলে, সুন্দরের খেলা।

উষ্ণতার জীব

 উষ্ণতার জীব দেবপ্রসাদ জানা উষ্ণতার উষ্ট্রাস্পর্শ,ছুঁয়েছে জীবন, বাসনার পাখি সব,দয়া মায়াহীন। আচ্ছাদনের আশ্রয়ে,রয়েছে মরণ। সমগ্র চেতনা মনে, অনুভূতি হীন। রয়েছি নিজেই সেই,বেষ্টিত অঞ্চলে। উষ্ণতা পারদ স্থম্ভে,  বিরুদ্ধ প্রয়াস। বিভাজনে জীবকুল,সভ্যতার কলে। ঘনীভূত জীবনের,বিভাজন গ্রাস। রেখাটানা জীবনটা,অবসর পায়। লক্ষ্যহীন জীবন যে,বিশ্রাম বিহীন। নিজের হৃদয় ভরে,স্পর্শ বেদনায়। ভিন্নরূপ আস্বাদনে,জীবন মলিন। ঘনীভূত বাসনার,অবস্থা কঠিন। শেষরাতে হতে হয়,দেহের অধীন।

আত্মহত্যা

 আত্মহত্যা  দেবপ্রসাদ জানা তুমি ভয়ঙ্কর,তুমি নিঃশব্দে এসেছো। সম্মুখে দাঁড়িয়ে মৃত্যু,তবুও মরি না। চোখের আড়ালে তুমি,তবু বসে আছো। সব মৃতদেহ,কেটে তদন্ত করি না। অন্ধকারে জেগে থাকে শরীর,আবেগে। কি আছে জীবনে?ওই আত্মহত্যা ছাড়া। প্রতিযোগিতায় বাড়ে, তার  গতিবেগ। কোন খেলায় মাতল, যত ছন্নছাড়া। এ অফিস ও অফিস,ঘুরে ঘুরে দিন। পার হয়ে যাক তার , বয়সের সীমা। কোথায় চাকরি পাবে?কেউ বলে দিন। পথের আক্রোশে সাজে,পাথর প্রতিমা। ইঞ্জিনিয়ার ছেলেটা,চপ ভাজে ভোরে। হতাশার ব্যগে,ডিগ্রী আত্মহত্যা করে।

বদলে নেওয়া চাই

 বদলে নেওয়া চাই দেবপ্রসাদ জানা ২৩.৯.২০২১ এই পারে ভালো নয়,ওই পারে দেখি। পাইলে পাইতে পারি,মানিক রতন। সেবা না মেওয়া খাবো,ভাবনায় রাখি। গদি ধরে বসে রব, করিব যতন। লাল নীল যাই হোক, পাই যদি মধু। ফুলে ফুলে উড়ে যাব,ভোমরের মতো। মধু তুলে বধু চাক,ভরে নেবো শুধু। খুশী হবে প্রিয়তমা,নায়িকারা যতো। একপাশে রত্নকোষ,এক পাশে নেশা। রাত গুলো দিন হবে, জ্বলবে এলিডি। বিদেশের মদ গুলো,বদলাবে ভাষা। অন্য এক গ্রহে যাবো,বাড়বে পরিধি। চেয়ারের নিচে রবে,গুপ্ত সেই ধন। মরুক না যুদ্ধ করে,বোকা জনগন।

রাগ করে বউ

 রাগ করে বউ  দেবপ্রসাদ জানা রাস্তাঘাট জল থৈ থৈ,খানাখন্দ পথ। কাশফুল মাথা নেড়ে,ডাক দিল তাও। ভোর হলো দোর খুলে,বের করো রথ। আলো নিয়ে,অন্ধকার দূর করে যাও। উপায় নাই উৎসবে,জল করে খেলা। শরতের মেঘে নাই,ছাতা ধরে কেউ। নাইতো কোন বর্ষাতি,বারান্দায় মেলা। ওরে বৃষ্টি থাম তুই, রাগ করে বউ। করিস কেন বজ্জাতি,শরতের ঘরে। কাশফুলের শরমে,মাথা নুয়ে গেছে। পাকাধান ডুবে গেছে,চাষি ভয়ে মরে। কেমনে বছর যাবে,ছেলেপুলে আছে। চলে যা সামনে পূজো,ঝরিস না আর। শারদীয়া নীলাকাশ রাঙুক আবার।           

বীরাঙ্গনা

 বীরাঙ্গনা দেবপ্রসাদ জানা তোমার ঠোঁটের কোনে,চপল ভনিতা। কখনো শীতল দেহে,হোমানল তাপ। তোমার ভেতর জ্বলে,হোমকুণ্ড যথা। হিমবাহে ঢেলে দাও, তোমার উত্তাপ। বুকের পাঁজরে রাখা,দেহামৃত সুধা। অনাঙ্কুরিত বীজের, জীবন সঞ্চার। জ্ঞানকুম্ভে ভরে দাও,বিশ্বের অভিধা। বিদ্রোহের অগ্নি জ্বেলে,করেছ বিচার। কখনো বীরাঙ্গনার বেশে,অসি হাতে। রাতের আঁধার ডেকে,করো মন্ত্রমুগ্ধ। তুলে ধরো তরবারী মুক্ত আঙিনাতে। অন্যায় অবিচারের করো বাক্ যুদ্ধ। নিভৃতে সংলাপ চলে,শূন্যের প্লাবনে। নির্বাক পৃথিবী ডাকে হৃদয় স্পন্দনে।

এক আশা

 এক আশা দেবপ্রসাদ জানা কি হবে গো অনুলেখা, সুপ্রভাতি ফুল। লাল নীল সাদা কালো ফুলের বাহারে। কখনো কি পাবো ওই মোমের পুতুল? সকাল সন্ধ্যায় কেন,মনে পড়ে মোরে? তোমার আঁচলে ঢাকা,অমূল্য রতন। স্বর্গ সুখ লুকিয়েছ,বুকের ভিতর। কার তরে এত করো,আদর যতন। কেন তুমি বেঁধেছিলে পরবাসী ঘর। আজ বুঝি অনিহায়,ভরেছে জীবন নতুনের পক্ষ নাও,স্বাদ বদলাও। এক মুখ,এক দেহ মানে না যে মন। নয়া সুর নয়া তালে,জীবন বাঁচাও? ঠিক নয় ভালো নয় পরকীয়া নেশা এক চিত্ত একমন,এক হোক আশা।

কায়াহীন

 কায়াহীন দেবপ্রসাদ জানা আমি যে স্বপ্নপ্রহরী,প্রেতাত্মার ছায়া। বাতাসে ভেসে বেড়াই,কায়াহীন হয়ে। আঁধারে লুকিয়ে দেখি,কার কত মায়া? স্বপনের পথে হাঁটি,থাকি রয়ে সয়ে। ক্ষুধার তীক্ষ্ম থাবায়,শরীর মলিন। অবশ হয়েছে স্নায়ু,নীরবে নিথর। লালসার চাপে পিষে,মেরেছ যেদিন। সেই থেকে কায়াহীন,গুনেছি প্রহর। রসাল নারী দেহের,ব্যবসা বিশাল। মজুত করেছে ঘরে,লাভের আশায়। প্রেমিকের হাত ধরে,এই মোর হাল। এখান প্রাণের বাতি,নিভে ছিল হায়। অতৃপ্ত সেই আত্মার,ভয়ানক রূপ। অদৃশ্য অদৃষ্ট দেখে,বিধাতাও চুপ।

ভালো

 ভালো  দেবপ্রসাদ জানা প্রিয়তমা..গো দোহাই,তব অভিমানে, হাজার নগরী স্তব্ধ, হৃদয় আবেগে- তোমার প্রেম,রাখবো,চিরকাল মনে। ছেড়ো না হাত সজনী,মিথ্যা অনুরাগে কত শত কবি লেখে,তোমার হৃদয়ে। রিক্ত প্রেমের কলঙ্ক মেখে,দিবালোকে। রাতের পরে, রাতের চাদর চাপিয়ে। শব্দমালা গেঁথে,স্পর্শ করে কবিতাকে। ভুল ভেবোনা,তোমার ভালোলাগাটাকে স্বপ্ন করে, রঙমাখা পলাশের বনে। প্রেমিকার রূপে মুগ্ধ হয়ে,কবিতায়। ঢেলে দেয় সে অমৃত,প্রেমিকার মনে। হৃদয়ের রক্ত ঝরা,নিদারুন ব্যথা। কলমের শোক যেন দিতেছে বারতা।

প্রতিবন্ধ

 প্রতিবন্ধ  দেবপ্রসাদ জানা মাতাল এক তরণী হিমযুগ পার হয়ে,চলেছে দিগন্তে ভেসে,টলমল যে তরী ঘুরে এসেছে,সমস্ত শহর। পাথরের মতো গোটা শহরের মাঝে যেন অভিশাপ বসে হাসছে,নির্বাক ক্রুরতমা উল্লাসের হাসি,তিলোত্তমা। আগুনে জ্বলছে পেট, উনুনে উড়ছে,  ছাই,শূন্য হাঁড়ি শূন্য-ভিক্ষের ঝুলিও।  তোমরা যারা বড়াই করো ফেসবুকে- ছবি তুলে পোষ্ট করো,হাসি হাসি মুখে, দেখে এসো,মোটা চাল,কতদিন চলে? পথগুলো শূন্যতায় কাঁপে,জিভ চুষে - তৃষ্ণা মেটাচ্ছে মানুষ,তবু দরজার - পাল্লা ভেঙে,কেউ গলা তুলে রাজপথে  এসে বলতে পারে নি,অন্ন দাও অর্থ দাও দেবী,তার চেয়ে শান্তি দাও মনে। হনুমানের মতন,বুক চিরে কেন? দেখাতে পারছে না যে,বুকের ভিতরে, কোন দেবী দেবতারা,বসবাস করে। টাকা,দুই টাকা করে জমানো ভাণ্ডার- খানা ভেঙ্গে চুরচুর হয়ে গেছে কবে, সামান্য পয়সা নাড়া দিলে কি পড়বে? গৃহলক্ষী অন্নপূর্ণা, আমায় একটা  দুধের প্যাকেট দাও,ক্ষুধায় তৃষ্ণায় আর বিশ্বের ছড়ানো ভাইরাস টায়- একেবারে কর্দমাক্ত হয়ে আছি দেখো। আপাতত জিভটার আত্মাটাকে ভরি, একটু শানিয়ে নেই, লক্ষ্মীর পাঁচালি, "শোনো শোনো সর্বজনে শোনো দিয়া মন। অপূর্ব কাহিনী এক করিব বর্ণন। সকাল বিক...

ভাবনার ঢেউ

 ভাবনার ঢেউ দেবপ্রসাদ জানা উত্তাল তরঙ্গ বলে,এসো মোর প্রাণে। তাই বুঝি ভেসে যায়,উদাসীন মন। মাতাল বাতাস খেলে,তরঙ্গের সনে। বালুতটে আছাড়িয়া পড়ে সারাক্ষন। সমুদ্রের নীল জলে,ভাঁটিয়ালী গান। সাগরের পেট চিরে,নৌকা চলে ধীরে। শুক্তোর বুকে মুক্তোর,নিত্য অভিযান। একভাবে ঢেউ উঠে,পারে এসে পড়ে। রাত বলে,সাগরের বুক কাঁপে ভয়ে। সমুদ্রের বুকে ভাসে,দুঃস্বপ্নের আলো। ঢেউয়ের চুড়া ধরে,দূরে যায় বয়ে। আবার এসোগো ফিরে, না বলাই ভালো। কিছুক্ষন থেমে গেলে,ভাবনার ঢেউ। শুধু যেন মনে হয়,আপনার কেউ।

মানুষের মতো

 মানুষের মতো দেবপ্রসাদ জানা গলে যাচ্ছে বরফের,সর্বোচ্চ পাহাড়। বেড়ে যাচ্ছে সাগরের জলের উচ্চতা। মৃত্যুর পাখিরা ওঁত পেতে আছে তার- যমদূত চঞ্চু নিয়ে,দিতেছে বারতা। একটু একটু করে,আলোর শরীরে- অন্ধকার বাসা বেঁধে,নিয়েছে অলক্ষ্যে। কর্পূরের মত উবে যাবে,আলো ওরে। অন্ধকার ভরে যাবে,আলোকের বক্ষে। দুষ্টু মানুষের ভিড়,বেড়ে গেছে এত, কোনমতে বেঁচে থাকা,শেষ হয়ে যাবে। তবুও মানুষ খুঁজি,মানুষের মত। মনের মত মানুষ,নিশ্চয়ই পাবে? এসো না সকলে মিলে,হাতে হাত ধরি। মনের সকল দ্বার,খুলে কাজ করি।

মাধ্যমিকে প্রথম ছেলে

মাধ্যমিকে প্রথম ছেলে দেবপ্রসাদ জানা মাধ্যমিকের প্রথম ছেলে,সব বিষয়ে ভালো। বাংলা ভুগোল ইতিহাসে নাইন্টি নাইন পেলো। অঙ্ক বিজ্ঞান ইংরেজি। পাকাপক্ত ধরে বাজি। একশোর মধ্যে একশো পেয়ে মুখ করেছে আলো। মাধ্যমিকের প্রথম ছেলে সব বিষয়ে ভালো। মায়ের ফোনে যখন তখন ম্যাসেজ টুংটান লিঙ্ক এসেছে অঙ্ক করার,জারি ফরমান। খাতা ছেড়ে ফোন ধরেছে  লকডাউনে পড়া বেড়েছে ঘরের মাস্টার প্রশ্ন লিখে ওয়াটস অ্যাপে দিলো। মাধ্যমিকের প্রথম ছেলে,সব বিষয়ে ভালো। সারাদিনে নানান প্রশ্ন লুকিয়ে লুকিয়ে পড়া। গুগুল খুলে এক নিমিষে -তাও যাবে ধরা। অনলাইনে অনেক পড়া। ফোনটাকে যাবে না ছাড়া। প্রজেক্ট ছিলো ইউটিউবে,কেমন করে পেলো মাধ্যমিকের প্রথম ছেলে,সব বিষয়ে ভালো। অনলাইনে টেষ্ট পরীক্ষা,হাসির ফোয়ারা। প্রশ্নগুলো ভাবার আগেই বই খুলে সারা। প্রশ্ন গুলো দেখে দেখে বুঝিনা আমি,কি শেখে? ভাবতে ভাবতে মনের ঘরে,ঢেউ এসে গেলো। মাধ্যমিকের প্রথম ছেলে, সব বিষয়ে ভালো। ফোন রাখার স্ট্যান্ড কিনেছে,গোলাকার আলো। ভিডিও কলে সবাই মিলে,      গল্প জুড়ে  দিলো। ব্যাকগ্রাউন্ডটা ভালো নয়, বন্ধুবান্ধব সব  মন্দ কয়। দেওয়াল খানা রঙ করতে,হাজার টাকা গেলো। মাধ্যমিকে...

যতটুকু পাবো

 যতটুকু পাবো দেবপ্রসাদ জানা জানি, যতটুকু পাবো,সব নয় মোর। দিতে হবে জনেজনে,এক মুঠ করে। যতটুকু নেবো আমি দিয়ে মুষ্টি জোর অকারণে অতিরিক্ত থাকবে কি করে? দেয়ানেয়া লীলাচলে,সমাজে সবার। ঘূর্ণমান পৃথিবীতে,গোলাকার সব। যতটুকু প্রাপ্য নিতে,হবে প্রতিবার। আমি চাই আমি চাই কেন কলরব? ঢেউ ভাঙ্গা খেলা বুঝি,অবসান হবে। মুছে যাবে দুঃস্বপ্নের,ভয় লেগে থাকা  সমস্ত দুখের দিন,    মুছে দেবে যবে। সেইদিন নয়ালোক পেয়ে যাবে দেখা। তাহলেই ভাবনার আকাশে-বাতাসে নষ্ট খেলা থেমে যাবে,আনন্দ হরষে।

শ্রীরাধার প্রেমে

 শ্রীরাধার প্রেমে  তোমার স্তব্ধ অন্তরে এত অভিমান  বিরহে কাঁদিছে রাধা,যমুনার তটে। মোহনের বাঁশি গাহে,সুমধুর গান। অরূপ অতল সুর,ঘোরে পথে ঘাটে। বলো কোন মধুময়,কোন শুভক্ষনে। তোমার চরণ ছুঁয়ে, যায় ধুলিকণা। শিশির স্নাত ফুল দি,তোমার চরণে। উতপ্ত মরু সূর্যের এমন বাসনা। গায়ে মাখি মধুসুধা,কপালে চন্দন। সৃজন সম্মুখ পানে,চলে শ্যাম রাই। লীলাধামে ঢেউ তুলে,হইল বোধন। সখীসনে দোলখাবে,শ্রীরাধা কানাই। স্বর্গ মর্ত্য পাতালের,সৃষ্টিকর্তা দোলে। রাধার প্রেমে কানাই,চরাচর ভোলে।

প্রেমের ছড়া

 প্রেমের ছড়া বুকের কষ্ট বুকে নিয়ে মনের আনা গোনা। মৃত্যু বড় চেনা লাগে জীবন অচেনা। জীবন মানে হাসি কান্না জীবন একটা খেলা। আজ আছি কাল নেই বয়ে যাবে বেলা। জীবন মৃত্যু একসাথে  চলে পাশাপাশি। কেউ আগে কেউ পরে নদে যাবে ভাসি। তুমি আমি কেউ নয় শুধু মরীচিকা। যেতে হবে ওই পথে এইটাই লেখা। গোকুলে গোপাল এলো  করিতে লীলা। শুভ্রদীপের বাড়িতে তাই  বসেছে মেলা। জয় গোপাল জয় গোপাল বলছে সবাই। এমন সুন্দর রূপ তাঁর  কোথা গেলে পাই। তুমি তো ছিলে আমার হয়ে। চলে গেলে কেন,বলে কয়ে। এতদিন এতমাস ফাল্গুনী,ছিল পলাশের। আজ সে দেখো বউ,সেজেছে সৌভিকের। স্মৃতিরা জেগে থাকে মনে স্বপ্নরা মরে ভোরের আলোয়। মনের মন্দিরে রেখেছি ঢেকে দেবীর কৃপা যেন না বেরোয়। বন্ধু ভালো আছো তো অনেকদিন হয়নি কথা। সুপ্রভাত আর শুভরাত্রী  এক নিয়মিত প্রথা। প্রেমের কবিতা মোরে করেছে বিবাগী। হৃদয়ে লেগেছে নেশা তাই প্রেম মাগি। সকালটা ভালো হোক প্রেমের বচনে। এসেছে শরৎ সখী এই প্রেমাঙ্গনে। স্বপ্নেরা জেগে থাকে সারারাত  স্বপ্ন দেখবে বলে। আলোআঁধারি জোছনা তারে দূরে দেয় ঠেলে। কবিতা আমার প্রেয়সী  কবিতা আমার মন। ভালোবেসে মরি যদি করো আলাপন। টুকর...