রুদ্র-শিব

 রুদ্র-শিব 



মহাযোগী মহাদেব, ভীষণ পাগল।

তার কোন সখ নেই,সংসারী সন্ন্যাসী।

সর্বজ্ঞানী,মহাঋষি, স্থির অবিচল।

কামহীন,স্থিরমতি, প্রচণ্ড বিশ্বাসী।


কামুক ভাব জাগাতে,কামদেব এসে,

ভস্মীভূত হয়েছিল,কামদেব সেথা।

মৎস্যপুরাণ মতে,শিবের সকাশে-

কার্তিকের জন্মকালে,আছে সেই গাথা।


ব্ৰহ্মার হৃদয় হতে,কামদেব এসে

ব্ৰহ্মা নিজে,তার শরে,জর্জরিত হয়।

নিজ কন্যা শতরূপা,প্রেম স্রোতে ভাসে।

কামদেবের ওপর, অভিশাপ দেয়।


ব্ৰহ্মা বিষ্ণু উভয়ই,ব্যভিচারে লিপ্ত।

কোন নারী পারে শিবে?করে কামে যুক্ত।



শিবের রেতঃ ধরবে,কার আছে শক্তি? 

কার্তিকের জন্মকালে,মহেশের রেতঃ।

আকাশ গঙ্গার মতো, কারো নেই শক্তি।

তিনিও ব্যর্থ হয়েই, ফেলে দেয় রেতঃ।


লিঙ্গরূপে পুজো হয়,মন্দিরে গৃহেতে।

ব্ৰহ্মচৰ্য পালনের  চৈত্রমাসে শিব।

লিঙ্গরূপে পূজা পায় গাজনের ব্রতে।

প্রাণের অধিক মানে,পৃথিবীর জীব।


নেশাগ্রস্ত ভোলানাথ,মনোরম দেব

সর্বদা তুষ্ট থাকেন বেলপাতা ফুলে।

যৌনাচার ব্যাভিচারে বাকি সব দেব।

একবাক্যে শিবনাথ,সব থাকে ভুলে।


দেবতারা কত শত,দেবীদের সনে।

কামকার্যে মগ্ন থাকে,দেখি অধ্যয়নে।



ধান ভানতে শিবের গীত বঙ্গদেশে

শিবজায়া শিবানীর প্রচুর আদর।

শিবরাত্রে জল ঢালে,ধন্য উপবাসে।

শিব সম বর মাগে, বাজিয়ে কাঁসর।


মধ্যযুগের বাঙালি,কৃষকের পিতা।

অসংখ্য কাহিনী আছে,শিবের ঝুলিতে।

মহাদেব আর্য নয়,অনার্য দেবতা।

লিঙ্গরূপে পুজো হতো, বাঙলা বাটিতে।


আদিম মানুষ যবে খাদ্যের সন্ধানে।

দিকে দিকে ঘুরে ফেরে,পশুর শিকারে।

খাদ্যাভাবে মহিলারা,ক্ষুধার তাড়নে।

ফলমুল খেয়ে বীজ, ফেলেছিল দ্বারে।


পুরুষ যদি নারীতে,মাতে উৎপাদনে।

লিঙ্গের স্বরূপ যষ্টি, মৃত্তিকা কর্ষণে।


 

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ