দেবীদূর্গা

 ।। দেবী দূর্গা।।

দেবপ্রসাদ জানা

   ১৭.৯.২০২০


দেবী দূর্গা কহে তার,বীর পৌত্রগনে।

দু হাজার বিশ,বিশ্ব ভরলো করোনা।

হলাহল মহা বিষ,ভরে দিল চীনে।

মৃত্যুর মিছিল চলে,ভীষন ভাবনা।


গনেশের পুত্র কহে,"প্রশ্ন মোর মনে-

"এমন দূর্গতি কেন,এলো পৃথিবীতে"?

"ওরা সব অনাচার,ভরে ছিল মনে"

দিকে দিকে অত্যাচার,ছিল ভোর হতে।


মহালয়া হলে পরে,যেতে হবে নাকি।

ভয়ে ভয়ে দূর্গা কহে,বিপদের দিন।

ভোরবেলা শাঁখ বাজে,ছয়দিন বাকি।

ধূপ ধুনো পরিমলে,করোনা মলিন?


নারে বাবা যাব নারে,এত তাড়াতাড়ি।

একমাস পরে হলে,তবে যেতে পারি।

======


এই কবিতাটার জন্য কিছু প্রশ্ন ছিল অনেকের।

তাই আজ তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচের তথ্য টি দিলাম।


সিদ্ধিদাতা গনেশ ও পরিবার।

====

বাঙালির মূর্তি চিন্তায় গণেশের কোনও বউ নেই। যদিও অনেকেই বলেন, ‘কেন কলাবউ তো আছে!’ কিন্তু কলাবউ গণেশের স্ত্রী নয়। কলাবউ শস্যশালিনী দেবী দুর্গার প্রতীক।


গণেশ ব্রহ্মচারী স্বরূপ হলেও গণেশেরও স্ত্রী-পুত্র কন্যা রয়েছে। 

১।। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে:


গণেশ দেবী তুলসীর অভিশাপের ফলে ‘মহাষষ্ঠী’র পাণিগ্রহণ করলেও তাঁর কোনও সন্তানাদি হয়নি।


গণেশ কামশাস্ত্রের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শুধু সিদ্ধিদাতা নন! বহু সঙ্গিনীর খোঁজ পুরাণে পাওয়া যায়।


২।। শিবপুরাণ অনুসারে:


প্রজাপতি ব্রহ্মার দুই কন্যা সিদ্ধি ও বুদ্ধির সঙ্গে বিয়ে হয় গণেশের। 

সিদ্ধির গর্ভে গণেশের সন্তান হলে তার নাম রাখা হয় ‘ক্ষেম’। 

আর বুদ্ধির সন্তান হলে তার নাম হয় ‘লাভ’।

তাহলে বলা যায় দেবী দূর্গার নাতি নাতনী ছিল।

আমার "দেবী দূর্গা" সনেট কবিতাটির বিপক্ষে কথা উঠল। তাই এই তথ্য দিতে বাধ্য হলাম।


যদিও গণেশের দুই স্ত্রী’র নাম নিয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে। শিবপুরাণে যাঁদের নাম বুদ্ধি ও সিদ্ধি বলা হয়েছে, তাঁরা মৎস্যপুরাণে ঋদ্ধি ও বুদ্ধি। এদের সন্তানদেরও নামের পরিবর্তন ঘটেছে অন্য পুরাণের পাতায়।

যদিও অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ তাঁর ‘লক্ষ্মী গণেশ’ গ্রন্থে,কোনও কোনও স্থানের মানুষেরা এই দুই নারীকে গণেশের দাসী বলে মনে করে— ‘পত্নী হিসেবে’ দেখে না। তুষ্টি ও পুষ্টি নামে দুই বউ-এর কথা বলেছেন।


গণেশের দু’টি পুত্রসন্তানকে শুধু কল্পনা করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। হাল আমলের মূর্তিকল্পনা ও পুরাণে যুক্ত হয়েছে গণেশের এক কন্যার নাম ‘সন্তোষী মা’। তবে এই তথ্য লৌকিক পুরাণের।


তবে একথা ঠিক গণেশের বউ নিয়ে মতভেদ থাকলেও ‘বন্ধ্যা’ নারী সন্তান বাসনায় যে গণেশের পুজো করে থাকেন সে তথ্য রয়েছে কাশ্মীরী তন্ত্রে। কাশ্মীরী কবি দামোদর গুপ্তের ‘কুট্টনীমতম্’ গ্রন্থে সেই পুজোর ধ্যান ও বিবরণ রয়েছে।



Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ