সতীদাহের ঘাটে
সতীদাহের ঘাটে
দেবপ্রসাদ জানা
১৪.১০.২০২১
দুই সত্তার বিপরীত মুখী স্রোত -
বিপন্ন বিস্ময়ে অন্তঃস্থিত চেতনার জগতে,
রচনা করে অন্তর্গত শূন্যতায়-
আর এক বোধ, আর এক প্রেম।
যদিও,সে কথা বলে না,
ম্যাসেজ করে না,
কোটেশন পাঠায় না,
ফুল দিয়ে সুপ্রভাত বলে না।
আগে বলতো, কিন্তু কি যে হলো?
হঠাৎ করে কেমন পাল্টে গেল।
আকাশের ওপর দিয়ে উড়ে গেল পাখির মতো।
সেদিন আসবে বলেও, আসেনি -
আমাদের চির পরিচিত সেই ঘাটে,
সতীদাহের ঘাটে-
আমি অপেক্ষা করে করে, প্রহরী বটের মতো
নদীর ধারে,স্মৃতিঘন চেতনায় ক্রমশ হারিয়ে
যাওয়ার আগে ফিরে গেলাম, সে এলো না।
কি জানি সে কি ভুলে গেছে?
এই সেই ঘাট যেখানে একদিন -
জ্যান্ত চিতায় তুলে পুড়িয়ে মেরে ছিল,
ওর দেহ, জলজ্যান্ত ফুটফুটে অষ্টাদশী।
দেহজ সুষমায় রূপালী জোছনা।
আমি দেখছিলাম, শুনছিলাম তোমার আর্তনাদ।
আমি অসহায় - হাত পা বাঁধা অবস্থায়।
ওই ঘাটে।
ওই সতীদাহের ঘাটে,বৃদ্ধ বটবৃক্ষের ডালে।
কতরকম খারাপ ভাবনা হয়,জানো?
তবু সে বোঝে না।
সতীদাহ এখনো রাস্তায় - মাঠে ঘাটে প্রান্তরে-
আকচার হচ্ছে,
যদি আসার পথে একটা ফাঁকা মাঠ পড়ে?
আসতে গিয়ে যদি,কোনো- বদমাইস -
হয়তো তাকে, শ্লীলতাহানি করে,
তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারে।
ফাঁকা মাঠে-
সময়টা তো ভালো নয়?
যুগ যুগ থেকে যে পুড়িয়ে মারার রীতি-
সেতো বোঝে না, কেউ বোঝে না।
কত রকম যে কুচিন্তা আসছে মাথায়।
ভালোবাসার পরিধি ক্রমশ বাড়ছে।
এই বৃদ্ধ বটের শাখে।
একশ বছর আগে আমার চিতায়-
তাকে পুড়িয়ে মেরেছিল,
শুধু আমার মৃত্যু হয়েছিল বলে।
Comments
Post a Comment