ইচি
ইচি
দেবপ্রসাদ জানা
বসন্ত এসে গেল। তিন্নি এখন এক বছরের। সামান্য কথা বলতে পারে। হাঁটতে পারে না ঠিক করে কিন্তু দৌড়াতে পারে। পড়ে যায় বেশী। তবু দৌড়ায়। আর পেছন পেছন ইচি। ইচি আমার আনা একটা কুকুর। আমার বড় মেয়ে মম আদর করে নাম রেখেছে ইচি।
ওটা তিন্নিদের বাড়িতে তিন্নি হওয়ার অনেক আগে। ছোটন তিন্নির মা। কিছুতেই ওকে পছন্দ করে না। কারণ ওর লোম খসে পড়ে। ইচির লোম যদি তিন্নির পেটে যায় তাই। কিন্তু যতই তিন্নিকে ইচির থেকে দূরে রাখা হত,আরো বেশী করে ইচি ওর সঙ্গে দৌড়ে বেড়াত। তিন্নির একটা স্বভাব ছিল। হাতে যা পাবে সব মুখে দেবে। কেউ না দেখলে খেয়েও ফেলে।
আজ সকাল থেকে ওর ঠাকুমা আর মা ব্যস্ত। তিন্নিকে খাইয়ে দেওয়ার সময় নেই। কারণ তিন্নির বাবা কিশোরের চোখে ওয়েলডিং এর লাইট লেগে চোখ খুলতে পারছে না।
ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। ইচি ও তিন্নির সঙ্গে ঘুরছে। ফলে ছোটন ও রেগে মেগে ইচিকে অনেক মারল।
ইচি তাও ওর পেছনেই ঘুরছে।
পাশের বাড়িতে অনেক ইঁদুর ছিল তাই তারা কাল রাতে বিষ দিয়েছে। একটা ইঁদুর এসে ওদের কলের ধারে মরে পড়ে ছিল। আর সেটা কেউ দেখে নি। এদিকে তিন্নি ওটা তুলে নিয়ে মুখে দিতে যাবে ইচি লাফ দিয়ে ওর হাত থেকে ইঁদুরটা নিয়ে খেয়ে ফেলল। তিন্নি র ঠাকুর মা ও ছোটন ভাবলো ইচি বোধ হয় তিন্নিকে কামড় দিল। সকলে অস্থির হয়ে তিন্নির হাত দেখলো কিন্তু তিন্নির হাতে কোনো দাগ ছিল না। তবু ছোটন খুব মারলো ইচি কে। ইচির চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে এল। কিন্তু কিছু বলতে পারল না ইচি। সকলে মিলে ইচি বেঁধে রাখলো। তিন্নির বাবাকে ডাক্তারের কাছ থেকে এনে ছোটন দেখল ইচির মুখ থেকে লালা বেরছে। ইচি যে মরা ইঁদুরটা খেয়ে ফেলেছিল না হলে তিন্নি খেয়ে ফেলতো সেটা ওরা জানতো না। ইচি ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা করে বলল ইচি বিষ খেয়েছে। কিন্তু বিষ?
ডাক্তার বলল যদি ইঁদুরকে বিষ দিয়ে মারা হয় আর সে যদি ওটা খায় তাহলে এমন হতে পারে।
ইচিকে ওষুধ খাইয়ে বাড়ি এলো সকলে। তখন জানলো যে পাশের বাড়িতে ইঁদুর মারার জন্য বিষ দিয়েছিল।
ছোটনের চোখ বেয়ে জল এসে গেল। ইচি এত ভালোবাসে তিন্নিকে।
===সমাপ্ত===
দেবপ্রসাদ জানা
বসন্ত এসে গেল। তিন্নি এখন এক বছরের। সামান্য কথা বলতে পারে। হাঁটতে পারে না ঠিক করে কিন্তু দৌড়াতে পারে। পড়ে যায় বেশী। তবু দৌড়ায়। আর পেছন পেছন ইচি। ইচি আমার আনা একটা কুকুর। আমার বড় মেয়ে মম আদর করে নাম রেখেছে ইচি।
ওটা তিন্নিদের বাড়িতে তিন্নি হওয়ার অনেক আগে। ছোটন তিন্নির মা। কিছুতেই ওকে পছন্দ করে না। কারণ ওর লোম খসে পড়ে। ইচির লোম যদি তিন্নির পেটে যায় তাই। কিন্তু যতই তিন্নিকে ইচির থেকে দূরে রাখা হত,আরো বেশী করে ইচি ওর সঙ্গে দৌড়ে বেড়াত। তিন্নির একটা স্বভাব ছিল। হাতে যা পাবে সব মুখে দেবে। কেউ না দেখলে খেয়েও ফেলে।
আজ সকাল থেকে ওর ঠাকুমা আর মা ব্যস্ত। তিন্নিকে খাইয়ে দেওয়ার সময় নেই। কারণ তিন্নির বাবা কিশোরের চোখে ওয়েলডিং এর লাইট লেগে চোখ খুলতে পারছে না।
ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। ইচি ও তিন্নির সঙ্গে ঘুরছে। ফলে ছোটন ও রেগে মেগে ইচিকে অনেক মারল।
ইচি তাও ওর পেছনেই ঘুরছে।
পাশের বাড়িতে অনেক ইঁদুর ছিল তাই তারা কাল রাতে বিষ দিয়েছে। একটা ইঁদুর এসে ওদের কলের ধারে মরে পড়ে ছিল। আর সেটা কেউ দেখে নি। এদিকে তিন্নি ওটা তুলে নিয়ে মুখে দিতে যাবে ইচি লাফ দিয়ে ওর হাত থেকে ইঁদুরটা নিয়ে খেয়ে ফেলল। তিন্নি র ঠাকুর মা ও ছোটন ভাবলো ইচি বোধ হয় তিন্নিকে কামড় দিল। সকলে অস্থির হয়ে তিন্নির হাত দেখলো কিন্তু তিন্নির হাতে কোনো দাগ ছিল না। তবু ছোটন খুব মারলো ইচি কে। ইচির চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে এল। কিন্তু কিছু বলতে পারল না ইচি। সকলে মিলে ইচি বেঁধে রাখলো। তিন্নির বাবাকে ডাক্তারের কাছ থেকে এনে ছোটন দেখল ইচির মুখ থেকে লালা বেরছে। ইচি যে মরা ইঁদুরটা খেয়ে ফেলেছিল না হলে তিন্নি খেয়ে ফেলতো সেটা ওরা জানতো না। ইচি ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা করে বলল ইচি বিষ খেয়েছে। কিন্তু বিষ?
ডাক্তার বলল যদি ইঁদুরকে বিষ দিয়ে মারা হয় আর সে যদি ওটা খায় তাহলে এমন হতে পারে।
ইচিকে ওষুধ খাইয়ে বাড়ি এলো সকলে। তখন জানলো যে পাশের বাড়িতে ইঁদুর মারার জন্য বিষ দিয়েছিল।
ছোটনের চোখ বেয়ে জল এসে গেল। ইচি এত ভালোবাসে তিন্নিকে।
===সমাপ্ত===
Comments
Post a Comment