।।ভুতের যাত্রা।। অণুগল্প
ভৌতিক অনুগল্প
।। ভুতের যাত্রা।।
দেব প্রসাদ জানা
গরমের ছুটিতে মামার বাড়ি বেড়াতে গেছি। বেশ গরম। যেহেতু মামা বাড়ি প্রায় হলদি নদীর ধারে তাই প্রচন্ড বাতাস। গরম অনুভব হয় না। দিদিমা বাড়িতে থাকলে খুব মজা। পুকুর থেকে টাটকা চিংড়ি মাছের টক সবজি দিয়ে। এই গরমে যেন অমৃত।
হলদিয়া উৎসব তখন টাউনসিপে হতো। মামা বলল যাবি?
আমি যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম। মামাকে জিঞ্জেস করলাম -
-মামা যাত্রা হবে না?
-যাত্রা?
-হ্যাঁ,আমার যাত্রা দেখতে খুব ভালো লাগে।
-কিন্তু সেতো অনেক রাত হবে। ঘুমিয়ে পড়বি তো।
-নাগো মামা ঘুমাব না। চলো না চলো না যাত্রা দেখব।
আমি তখন সবে ক্লাস সিক্সে পড়ি। গল্প নাটক যাত্রা খুব প্রিয়।
আমরা বাড়ি থেকে মুড়ি গামছায় বেঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। অনেকটা রাস্তা হাঁটতে হবে। সব সময় মামার হাত ধরতে পারছি না। মামাতো ভাইও আছে। বোনেরা আছে।
প্রচন্ড হাওয়া দিচ্ছে। মরম রাস্তা। লাল মাটির রাস্তাকে মরম রাস্তা বলে এটা মামার থেকে জেনেছি। সকলে হাঁটছি । আমার এত হাঁটা অভ্যেস নেই তাই পিছিয়ে পড়ছি। তাছাড়া মরম রাস্তায় পা সরে সরে যায়। অন্ধকার পথ। কোথাও যেন শেয়াল ডাকছে। ঝি ঝি পোকার গান শুনতে হাঁটছি। কে যে কোথায় আছে বুঝতে পারছি না। সকলেই একই পথ ধরে চলেছি। সামনে একটা বড় তাল গাছ। তার পাশে পুকুর। একটা তেতুল গাছ ও দেখলাম মনে হয়। আমার পিঠে দিদিমার দেওয়া তেল মেশানো মুড়ি। হঠাৎ মনে হলো কে যেন ডাকছে। তাকালাম পেছনে। কে গো?
-আমি রে আমি তোর দাদু।
-দুর দাদুতো কবেই মরে গেছে।
-আরে না সে মরা নয়।আমি তোর দাদু। তা তুই ওদিকে কোথায় যাচ্ছিস?
-যাত্রা দেখতে।
-আরে ওদিকে কি যাত্রা নাকি? ওই শোন আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ওই দিকে চল আমি নিয়ে যাই।
-কিন্তু মামা -
-আরে সেতো সেখানেই গেছে।
-ও তাই তাহলে চলো।
আমি তার পিছু নিলাম। কিন্তু তারে যেন দেখতে পাচ্ছি না।
-কই রে থেমে গেলি কেন? যাত্রা শেষ হলে পৌঁছোবি?
-না দাদু চলো।
যেমন করে হোক যাত্রার ওখানে পৌঁছোলাম। অনেক লোক কিন্তু কেমন যেন আলো আধাঁরি। কারোর মুখ দেখতে পাচ্ছি না। তবু বসে পড়লাম দাদুও দেখছে হাসছে। বেশ দারুন লাগছে যাত্রা দেখতে। যাত্রা যখন শেষ হলো তখন রাত দুটো। হঠাৎ করে যেন সব উড়ে গেল। দাদুকেও দেখতে পাচ্ছি না। কোথায় গেল সব। দাদু করে চিৎকার করলাম মামাকেও দেখতে পাচ্ছি না। হাঁটতে শুরু করলাম যেদিক থেকে এসে ছিলাম। একি ধুধু মাঠ, কেউ কোথাও নেই। ভয়ে বুকটা ছ্যাক্ করে উঠল। দৌড় লাগালাম। পায়ে একটা কি যেন লাগল। পড়ে গেলাম। সকালে ঘুম ভাঙ্গল বিছানায়।
হাত পায়ে ভীষন ব্যাথা।
কিরে কাল শশ্মানের ধারে কি করে গেলি?
।। ভুতের যাত্রা।।
দেব প্রসাদ জানা
গরমের ছুটিতে মামার বাড়ি বেড়াতে গেছি। বেশ গরম। যেহেতু মামা বাড়ি প্রায় হলদি নদীর ধারে তাই প্রচন্ড বাতাস। গরম অনুভব হয় না। দিদিমা বাড়িতে থাকলে খুব মজা। পুকুর থেকে টাটকা চিংড়ি মাছের টক সবজি দিয়ে। এই গরমে যেন অমৃত।
হলদিয়া উৎসব তখন টাউনসিপে হতো। মামা বলল যাবি?
আমি যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম। মামাকে জিঞ্জেস করলাম -
-মামা যাত্রা হবে না?
-যাত্রা?
-হ্যাঁ,আমার যাত্রা দেখতে খুব ভালো লাগে।
-কিন্তু সেতো অনেক রাত হবে। ঘুমিয়ে পড়বি তো।
-নাগো মামা ঘুমাব না। চলো না চলো না যাত্রা দেখব।
আমি তখন সবে ক্লাস সিক্সে পড়ি। গল্প নাটক যাত্রা খুব প্রিয়।
আমরা বাড়ি থেকে মুড়ি গামছায় বেঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। অনেকটা রাস্তা হাঁটতে হবে। সব সময় মামার হাত ধরতে পারছি না। মামাতো ভাইও আছে। বোনেরা আছে।
প্রচন্ড হাওয়া দিচ্ছে। মরম রাস্তা। লাল মাটির রাস্তাকে মরম রাস্তা বলে এটা মামার থেকে জেনেছি। সকলে হাঁটছি । আমার এত হাঁটা অভ্যেস নেই তাই পিছিয়ে পড়ছি। তাছাড়া মরম রাস্তায় পা সরে সরে যায়। অন্ধকার পথ। কোথাও যেন শেয়াল ডাকছে। ঝি ঝি পোকার গান শুনতে হাঁটছি। কে যে কোথায় আছে বুঝতে পারছি না। সকলেই একই পথ ধরে চলেছি। সামনে একটা বড় তাল গাছ। তার পাশে পুকুর। একটা তেতুল গাছ ও দেখলাম মনে হয়। আমার পিঠে দিদিমার দেওয়া তেল মেশানো মুড়ি। হঠাৎ মনে হলো কে যেন ডাকছে। তাকালাম পেছনে। কে গো?
-আমি রে আমি তোর দাদু।
-দুর দাদুতো কবেই মরে গেছে।
-আরে না সে মরা নয়।আমি তোর দাদু। তা তুই ওদিকে কোথায় যাচ্ছিস?
-যাত্রা দেখতে।
-আরে ওদিকে কি যাত্রা নাকি? ওই শোন আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ওই দিকে চল আমি নিয়ে যাই।
-কিন্তু মামা -
-আরে সেতো সেখানেই গেছে।
-ও তাই তাহলে চলো।
আমি তার পিছু নিলাম। কিন্তু তারে যেন দেখতে পাচ্ছি না।
-কই রে থেমে গেলি কেন? যাত্রা শেষ হলে পৌঁছোবি?
-না দাদু চলো।
যেমন করে হোক যাত্রার ওখানে পৌঁছোলাম। অনেক লোক কিন্তু কেমন যেন আলো আধাঁরি। কারোর মুখ দেখতে পাচ্ছি না। তবু বসে পড়লাম দাদুও দেখছে হাসছে। বেশ দারুন লাগছে যাত্রা দেখতে। যাত্রা যখন শেষ হলো তখন রাত দুটো। হঠাৎ করে যেন সব উড়ে গেল। দাদুকেও দেখতে পাচ্ছি না। কোথায় গেল সব। দাদু করে চিৎকার করলাম মামাকেও দেখতে পাচ্ছি না। হাঁটতে শুরু করলাম যেদিক থেকে এসে ছিলাম। একি ধুধু মাঠ, কেউ কোথাও নেই। ভয়ে বুকটা ছ্যাক্ করে উঠল। দৌড় লাগালাম। পায়ে একটা কি যেন লাগল। পড়ে গেলাম। সকালে ঘুম ভাঙ্গল বিছানায়।
হাত পায়ে ভীষন ব্যাথা।
কিরে কাল শশ্মানের ধারে কি করে গেলি?
Comments
Post a Comment