স্তব্ধতার দিকে

তুমি শব্দহীন
.,...................
কালো পর্দার পেছনে নতুন সংলাপ।
তুমি শব্দহীন।
ভালোবাসতে তো পারো নি
আমার বুকের ওপর হাত রেখে।
বলনি?
কি করব বলো?
আমি তোমার হতে পারছি না।
শুধু ভালোবাসতে পারব অনেক।
বলো নি তুমি,
শুধু এড়িয়ে গেছো কথা আড়াল দিয়ে।
প্রাচীর তৈরী করে দিয়েছ আমার তোমার ভালোবাসার মাঝখানে।
যে সে প্রাচীর নয়?
চীনের প্রাচীর।
পাছে আমার ভালোবাসা তোমার প্রাচীর ডিঙিয়ে তোমাকে অবশ করে ফেলে।
কেন গো? কেন করছ এমন?
আমি তো চাই না তোমার হাত ধরতে।
জোর করে তোমার ওষ্ঠ চুম্বন করতে।
সুধু  তোমার ভেতরে আমার ভালোবাসা টা রোপন করতে চাই।
যেটা এ জন্মে না হলেও পর জন্মে ঠিক বট বৃক্ষ হবে।
===

ক্ষনিকের
.............
ক্ষনিকের জন্য এসেছিলে
কি জানি কি ভেবে।
বুঝিনি বিনা কারনে এমনভাবে
মুহূর্তে চলে যাবে।
কিছুতো কথা হলো না
দেখাও হলো না মুখোমুখি।
কথাও বেশি কিছু হয়নি
প্রেম না হলেও হয়েছিলেম সুখী।
কি জানি কি ভেবে
বুকের ভেতরে ঝরনা।
হোক না প্রয়োজনে প্রেম
ভালোবাসা তাতে যায় না।
স্বার্থে ছিল না দেওয়া নেওয়া
হৃদয় কেঁপে ছিল তাই।
মনের কোনায় আছাড় খেয়ে
হৃদয় মরলো তাই।
কি যে হলো জানি না
কি ভেবে এলে এবে।
করে গেলে ছলনা।
তাই আজ বুক ভরে অশ্রু আসে
আসে এক বেদনা।
===

স্বপ্ন
........

আমি স্বপ্ন দেখতে শিখেছিলাম
তোমার জন্য।
আজ তোমার দেওয়া আঘাতে
আমি ধন্য।
আমি স্বপ্ন কিনেছিলাম রাতের থেকে।
তোমায় দিয়েও ছিলাম,
তুমি রেখে গেলে।
আমার সঞ্চিত বেদনা,দিয়ে ফেলেছি তোমায়।
আমি তো প্রত্যহ বাঁচি -
এক মৃত্যু থেকে আর এক মৃত্যুর দিকে ছুটে।
বেঁচে থাকতে থাকতে নিজেকে
পুড়িয়ে ফেলতে চাই।
হ্যাঁ যা দাহ্য যতই আগলে রাখো পুড়বেই।
বেদনা গুলোকে সুদে আসলে দ্বিগুণ করে গেলে।
স্বপ্ন গুলো দেখো পচা নর্দমায় পড়ে আছে।
====
ভালোবাসার মুক্তি
......................
আমার আমি, আমিতেই আছি
বিষ খাই বা পরি কাছি।
কেন খেলবে কানামাছি
আমি নয়তো কাছাকাছি।
রোজ রোজ একই কথায়
বিরক্তি আনো টেনে।
আমি যে পাগল আমি জানি
তুমিও নিয়েছ মেনে।
আগুনে পা দিছি তবু
পুড়তে পারলাম না।
তোমার কাছে আমার হৃদয়
দিতে পারলাম না।
কি করি ভাবছি আমি
সকাল থেকে রাত।
যার চোখে চোখ রেখে
কষেছি অনুপাত।
আমি জানি এত কথার
জবাব ছিল একটাই।
রাস্তায় চরা কুকুরের মতো
কাটিয়ে দেবো জীবনটাই।
ধন্যবাদ আর সরি বলে যতই
আবেদন করি।
ভুলে গেছি সে যে এক মহীয়ষী নারী।
নজরুলের কবিতা খাতায় সঞ্চিতা বড় নাম
আমার বুকে ছুঁড়ে দিও সহস্র বদনাম।
জানি জানি জানি আমি
আমার হবে না আর।
যেমন ছিলে তেমন রবে
আমার হয়ে হার।
মুখে বলো না ভালোবাসি
ভেতরটা নাইবা দেখো
ভালো যদি বেসে থাকো
লাইক দিয়ে রাখো।
===
এলোমেলো
....,...........

যদি ভুল করে ভিডিও কলে হাত লেগে যায়।
যদি ভুল করে তুমি ভিডিও  কল রিসিভ করে ফেলো।
যদি ভুল করে তোমায় দেখে ফেলি।
বিছানায় আগোছালো অবস্থায় তুমি বিশ্রাম নিচ্ছো।
তোমার বুকের ওপর থেকে হয়তো আঁচলটি সরে গেছে।
কিংবা নাইটিটা একটু বেশী নেবে গেছে।
কিংবা বুকে আঁচল টা তোমার বুকটাকে পুরো ঢাকতে পারে নি।
অথবা প্রচন্ড গরমে সুধূ সায়া বুকের ওপর অবধি এনে রেখেছো।
দেখে ফেলি।
যদি তোমার পায়ের দিকের কাপড় একটু তুলে আরামে শুয়ে ছিলে।
যদি দেখে ফেলি। তবে কি তুমি রাগ করবে?
না লজ্জায় বলবে কি করছো আমি ঠিক অবস্থায় নেই।
নাকি বলবে খুব মজা পাও আমার শরীর টা এলো মেলো অবস্থায় দেখতে।
===
অনুরাগ
...........
আমার ওপর রেগে থেকো
রাগলে ভারি ভালো লাগে মনে হয় কাছে আছি।
অনুরাগ করো যদি মনে হয় আদর করি।
রাগের চোটে খিল দিলে হয়তো তোমার পায়ে ধরি।
তুমি এড়িয়ে চলো বার বার
আমি চেষ্টায় আছি হাত ধরবার।
কেন যে সরে যাও মরীচিকার মতো।
স্বপ্নটাকে বাঁধতে চাই মরনের মতো।
স্বপ্নতো স্বপ্নই হয় বাস্তবটা কঠিন বড়।
থাকি না স্বপ্ন দেখে কেন আমার হাত ছাড়ো।
বাতাসে ভাসতে দুটো ডানা লাগে আমার দুটি ডানা হও।
ওই আকাশে উড়তে পারি যদি মনে সাহস দাও।
জানি আমি পড়েও দেখো না,আমার মনের কথা
তবুও তোমার কাছে যাবো দাও যতই ব্যথা।
তোমার চোখের বালি আমি,শুধু ধুয়ে ফেলতে চাও।
গোলাপ ফলে নাই রইলাম কাঁটাতে স্থান দাও।
এত কথা লিখছি তবু একটাও কথা বলছ না।
যতই তুমি তাড়াতে চাও তোমায় আমি ছাড়ছি না।
মন্দ বলো ভালো বলো এই রকমই আমি।
একটা কথাও মিথ্যে নয় সব কথাই দামি।
দেখছ না যে বুঝতে পারি হলফ করে বলতে পারি।
কেমন পাগল, দেখতে থাকে পরের ঘরের পরনারী।
এত কিছু বলার পরে কেন যে চুপটি করে রয় ।
হৃদয়টাকে বেলুন করে শেষ নিঃস্বাস টাও ভরতে হয়।
===
দুপুর হলো এবার বলো
পেলে কাজের থেকে ছুটি।
ছুটি পেলে বিছানায় এলে
মনের কথা বলব দুটি।
এইরে দেখো ভুল করে
বলে ফেলেছি ভুল।
বিছানায় না বলে
বিশ্রামই নির্ভুল।

এবার দোলে রঙ মাখাবো তোমায়।
হলুদ বরণ সর্ষে ফুলে গন্ধ দিও আমায়।
সোনার বরণ তনু পরে লাল নীল হলদে সবুজ।
তুমি করবে মানা আমি অবুজ।
ঐ নরম দুটি উষ্মা গালে আদর করে মাখাবো রঙ।

তোমার আগুন আগুন উষ্ম তনু
উষ্মা মেখে বাজাব বেনু।
সেদিন তুমি রাধা হওয়ো
কৃষ্ণ ভেবে জড়িয়ে নিও।
আমার কালো রঙে মাতাল হয়ো
চুম্বন একটা গালে দিয়ো।

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ