অনুভূতির চর।

অনুভূতির চর।
দেবপ্রসাদ জানা

শিরদাঁড়া বেয়ে শিরশির করে উঠে আসছে-
অনুভূতির চর, মস্তিষ্ক লক্ষ্য করে-
কালকূট প্রলেপের তীর তার হাতে।
না-একটা উলঙ্গ তরবারি, 
সকালের রশ্মির মত ফোঁটা ফোঁটা চুইয়ে পড়ছে রক্ত।
এরা ঘৃণার মন্ত্রে উচ্চারিত প্রার্থনাকে ছাপিয়ে -
জেগে রয় অনন্তকাল।
বি-তৃষ্ণার হৃদয় গুহায়-
যেখানে রশ্মির মত ফোঁটা ফোঁটা রক্ত চুইয়ে পড়ছে।
দখলদাররা কুত্তার মত গর্জায় "কে তুমি?”
হৃদয় কোটরে দুমদাম শব্দ তুলে মহড়া চলছে,
অনুভূতির চরেরা ছুটে আসছে, 
গোপনে শিরদাঁড়া বেয়ে।
ভবিষ্যৎ নির্দিষ্ট হয়-চুইয়ে পড়া রক্তের পথ ধরে?
লোভ আকাঙ্ক্ষা অহংকার -
এরাও আছে অনুভূতির সাথে।
সকালের রশ্মির মত ফোঁটা ফোঁটা রক্তে।
গোপন আলাপের কথাগুলো ছিটকে আসে 
কার্তুজের মত-
অস্ত্রহীন বেদনার সৈনিক ঘুমিয়ে পড়ে, চিরঘুমে।
ওরা তখন আতঙ্কে নীল-
চুইয়ে পড়া রক্তের দাগ প্রতিদিন জীবন থেকে -
ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে করতে-
ভিতরে ভিতরে টের পাই তার মৃদু দহন আর ক্ষয়।
সম্মুখ যুদ্ধে যে পরাজিত-, 
চক্রান্তকারীর লোমশ থাবা, শানিত বাক্য। 
যারা পিছন থেকে ভল্ল ছুঁড়ছিল, 
যারা অন্ধকারের বন্ধু সেজে বসেছিল পাশে, 
তাদের নিষ্ফলতার প্রতি করুণা জন্মে, 
মনে হয় আবার তাদের সম্মুখ যুদ্ধে আহ্বান করি।
আসলে-
কেউ কখনও সামনে থেকে চক্রান্তের সাহস করেনি, পিছন থেকে গোপনে গোপনে বিধিয়ে গেছে..তীর।

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ