চড়ুই
কান্নুরের উল্লিকালের হৃদয় থেকে উঠে আসা একটি করুণাপূর্ণ গল্প প্রমাণ করে যে, যখন ঐক্য থাকে, তখন একটি ছোট গ্রামও বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
একটি ছোট চড়ুই পাখির জীবন বাঁচাতে গ্রামবাসীরা যা করলেন তা কোনও উদাহরণের চেয়ে কম ছিল না। তিন দিন ধরে একটি চড়ুই পাখি একটি বন্ধ কাপড়ের দোকানের কাঁচের দেয়ালের আড়ালে আটকা পড়ে ছিল, এবং বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তার ক্ষুদ্র ডানার ঝাপটানি গ্রামের নীরবতা ভেঙে মানুষের হৃদয়ে গিয়ে কড়া নাড়ে।
8ই এপ্রিল, মেকানিক মনোজ কুমার প্রথম চড়ুইটিকে দেখতে পান। পাইপের ছোট্ট ছিদ্র দিয়ে সে দোকানে ঢুকেছিল, কিন্তু বের হওয়ার সময় সে সেই পথ ভুলে যায় এবং আটকা পরে যায়।
স্থানীয়রা, দমকল বাহিনী, গ্রাম কর্মকর্তারা এমনকি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সম্পত্তি বিরোধের কারণে আদালতের আদেশে দোকানটি সিল থাকায় কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।
কিন্তু গ্রামবাসীরা হাল ছাড়তে রাজি ছিল না। অটোচালক থেকে শুরু করে দোকানদার, সবাই মিলে চড়ুইটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য একটি ছোট গর্ত দিয়ে খাবার এবং জল সরবরাহ করেছিল।
সময়ের সাথে সাথে চড়ুইটির অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। এরপর গ্রামবাসীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। আর তারপর ঘটলো মিরাক্যাল — প্রধান জেলা জজ কে.টি. নিসার আহমেদ নিজেই সেখানে পৌঁছে দোকান খোলার অনুমতি দেন।
অবশেষে, 10 এপ্রিল, তিন দিনের অক্লান্ত প্রচেষ্টার পর, চড়ুইটি মুক্তি পায় এবং ডানা মেলে খোলা আকাশে উড়ে যায়।
Comments
Post a Comment