এ কোন সত্তার তাপ

এ কোন সত্তার তাপ

দুচোখ ভরে স্বপ্ন নিয়ে যারা সমাজ গঠন করে,
তৈরি করবে বিদ্যাসাগর কিংবা স্বামী বিবেকানন্দ,
একটু একটু করে তাদেরও শরীরে বিষস ঢেলে দিলে,
কোনো প্রশ্নের সম্যক উত্তর দিতে পারোনি তুমি,
তোমার চটির নিচের শোলটাও নরম বোধ হয়-
তোমার মনের থেকে।
মানুষের পাশে থেকে অমানুষের মতন নির্মাণ করো নিজের ভূবন।
আপাদমস্তক মুখোশের আড়ালে-
প্রশ্ন গুলো চিরকাল উহ্য থেকে যাবে,
কতক গুলো অযোগ্য তোমার চটিচাটা 
তাদের তুমি রক্ষা করো।
কুঁড়ি উজ্জ্বল করা ফুল তোমার আক্রোশে বৃন্তচ্যুত।
নিজস্ব সুখটুকু ছাড়া কারো বিপন্নতার কথা ভাবোনি কখনও।

নীল ঘুম এসে যেদিন ছুঁয়ে গেল স্বপ্নময় দু-চোখ। মায়া, ভুল, পাপ, অহংকার হাতে হাত রেখে দাঁড়াল স্তব্ধতায়, শূন্য হওয়ার অপেক্ষায় রইল বসে আত্মীয় পরিজন, যেদিন সবার অলক্ষ্যে আগুন হাতে হাত রেখে বলে গেল 'ওঠো, এবারই শুরু জীবনের প্রকৃত জীবন,' এসো আকৃতি-প্রকৃতিহীন অনন্য সত্তার ভিতরে, রু-হর উন্মোচনে চৌকাঠে বসে আছে পাখি।

চকিতে পাখি-ঠোঁটে আত্মা হয়ে উড়ে যেতে দেখি এতদিনের ভুল পৃথিবী, বিগলিত সত্তার তাপে সমুদ্র হয়ে আছে আমাদের জন্ম-উঠোন; আমাদের মানুষ, মানুষের সুষমা।

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ