প্রাসাদ

প্রাসাদ
দেবপ্রসাদ জানা

সে এক মস্ত বড়ো বাড়ি। 
যেন রাজবাড়ি, প্রাসাদ।
হয়তো আগে রঙ ছিল গাঢ় লাল। 
দীর্ঘ রোদ-ঝড়-জলে সে রঙের চমক, 
আজ বোঝা কঠিন। 
সে এক বিশাল প্রাসাদ, 
একা নিঃসঙ্গ নিঃশব্দে নির্লিপ্তভাবে -
দিনের আলোয় ঘুটঘুটে অন্ধকারে-
দাঁড়িয়ে নিঃশেষিত জৌলুস নিয়ে.
আধো আলো, আধো অন্ধকারে মিশে, 
হাঁ করে গিলতে আসছে। 
উপচে পড়া গাছ। 
একটা গাছের সঙ্গে আরেকটা গাছ জড়িয়ে। 
হাত বের করে ছুঁতে চাইছে পরস্পরকে। 
এ দেওয়াল ও দেওয়াল ফুঁড়ে আলিঙ্গন -
জংলা গাছের দল। 
রাত নেমে এসেছে দিনের আলোয়,
ভাঙা-কপাট  অন্ধকার জানলা- 
গা ছমছমে স্যাঁতস্যাঁতে বাতাস
চৈত্র মাসের দুপুরে। 
রোদ-পোড়া আকাশ, তেমনি পোড়া বাড়ি। 
পোড়োবাড়ি।  
শহরের হৈহৈ শব্দগুলোকে নিঃশব্দে গিলে খাচ্ছে।
পেল্লায় লোহার গেট, আষ্টেপৃষ্ঠে আটকানো। 
নকশাময় চক্র আঁকা, কারুকাজ। সিংহের মুখ।
পোর্টিকো, গাড়িবারান্দা। 
দুমড়ানো মুচড়ানো নহবতখানা। 
অথচ কোনো ইতিহাসই নেই।  
লজ্জায় ধুলোর ঘোমটা দিয়ে
লাল পাথুরে ফলক। 




 

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ