কবিতা গো
কবিতা গো
দেবপ্রসাদ
কবিতা গো, জানি জানি,
আমি মূর্খ কবি।
তবুও তো নাম শুনেছি।
না জেনেই ভালোবেসেছি তোমায়।
আমি শব্দ হারা, ছন্নছাড়া - ঘুমের ঘোরে ছুটি।
তোমার কাছে আমি তুচ্ছ,
আমিতো তোমাকে একগুচ্ছ শব্দ দিতে পারিনি।
নানা অলঙ্কারে সাজাতে পারিনি, শব্দমালায়-
তুমি চিনবে না আমায় জানি,
আমায় চেনে শব্দ গ্রামের শব্দ চাষিরা।
সে গ্রামে কঠিন শব্দ নেই,
সে গ্রামের পাঁচজন শব্দ চূড়ামণি -
একাডেমি পায়নি, সাহিত্য রত্ন হয়নি,
কথা শিল্পীর পদবী মেলেনি তাদের।
সেই গ্রামের কাষ্ট কঠিন কবি -
পাহাড় করেনি শব্দ সঞ্চয়ে।
কবিতা গো আমি সেই গ্রামের অচেনা এক কবি।
অনেক কিছুই বদলে যায়-
অনেক জল গড়িয়ে যায় -
আমি যারে কবিতা বলি,
আমার কলম যে শব্দ গুলো বলে,
প্রতিদিন যে কল্পনা গুলো শব্দ ডেকে আনে,
চিৎকার করে বলে আমি কবি-
তিমিরে তিমিরে আঁধার তিমিরে-
আরো গভীর অন্ধকারের তীরে।
অন্ধকারে অন্ধ হয়ে ঘুরি
কামার কুমোর মুন্সিপাড়ায়,
জোয়ান বুড়ো বুড়ির ডেরায়।
আমার নামে নতুন আলোর ঝলক দিয়ে
যায় যে সব চরণ-
আমার গ্রামে তোমার নামে শব্দ চরায় যারা
ফসল-কাটা গানের নামে অর্থ সাজায় তারা।
কামারশালায় হাতুড়ি পিটে,
ধান ঝাড়ানোর ছন্দ তালে
ডিঙি নৌকা চালায় খালে
আমার ঘরের খড়ের চালে
তোমার নামে আকাশ জুড়ে,
রামধনু আঁকে তুলির টানে,
শত বছরের বাঁকা পথ দিয়ে
ঘোরে সদা তোমায় নিয়ে,
তাদের মত হইনি আমি মস্ত কারিগর।
কবিতা গো মূর্খ আমি, নামে কবি
ঝুলবে না, দেওয়াল জুড়ে আমার ছবি।
তবু আমি তোমায় ডাকি,
সাদা খাতায় বন্দী রাখি-
রাগ কোরো না, কেমনে বলি তোমায় ভালোবাসি।
Comments
Post a Comment