বৃষ্টিকথা

বৃষ্টিকথা
দেবপ্রসাদ

আকাশে তারারা দেখো, দেখছে কেমন।
জোনাকির মতো দেখো মিটি মিটি চায়।
নিশিরাতে বাঁশঝাড়ে, জোনাকি যেমন।
পূবের পুকুরে চাঁদ, লুটোপুটি খায়।

ঝাঁকড়া ডুমুর গাছে, ফুল ছদ্মবেশী।
স্থিরচোখে মাছরাঙা, দেখে দীঘি জলে।
আমি এক অভ্যাগত, দূর ভিনদেশী।
আমি মেঘ, আগন্তুক, সহসা অঞ্চলে।

স্বাপ্নিক নিয়মে আমি, এখানেই থাকি।
এখানে থাকার নাম, সর্বত্রই থাকা -  
এ দেশ আমার দেশ, হৃদ মাঝে রাখি।
তাতে কি বদল হবে, সৌভাগ্যের চাকা।

খরারোদে এ বাতাস, ক্লান্ত পরিশ্রান্ত।
কোনো অনাত্মীয় নই, ঘুরি দেশে দেশে।
কার্তিকে ধানের মাঠে, মঞ্জরী অশান্ত।
চিরোল পাতার পরে, আসি ছদ্মবেশে।

টলমল শিশিরের, জ্যোৎস্নার চাদর। 
নিশিন্দার ছায়াতলে অকাল বার্ধক্য।
ক্লান্ত চোখের আঁধার, করিবে আদর।
মাঠের লাঙ্গলে দেখো, ভারি মতানৈক্য।

মাটিতে আমার গন্ধ, দেখো বুক চিরে।
লেগে আছে সেই স্নিগ্ধ, আমার সুবাস।    
দু’পাশে ধানের ক্ষেত, আকাশ অদূরে।
সরু পথ ধু ধু মাঠে, নদীর বাতাস।

আমার অস্তিত্বে গাঁথা, অবোধ বালক। 
মেঘবালিকার কথা, শুনিবে সবাই।
বৃষ্টি হয়ে পড়ি এসে, পড়িতে পলক।
যেই দেশে যাই কেন, ভারি সুখ পাই।


Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ