সৌমেন
সাখালিন দ্বীপে দানব মশা/ নীলউল্কা ( সৌমেন কুমার চৌধুরী)
একটা কাঠের চৌপায়া, অনেকগুলো মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, কফির ফ্লাস্ক আর কাঠিন্যে ভরা মুখের সাথে একজোড়া গভীর চোখ.. এটাই যথেষ্ট ছিল টানটান করে নীলউল্কার এই সাখালিন দ্বীপে দানব মশার জন্য। লোকটার নাম কেউ জানতেন না শেষ পর্যন্ত কিন্তু জানতে হবে। তাকে আবারও কুর্ণিশ জানাতে হয়। মশা নামে পতঙ্গটিকে জানে না এমন কেউ নেই পৃথিবীতে, তারে নিয়ে যে বাস্তব লেখা জড়িয়ে ফেলা যায় সেটা ভাবনাতেই আনা যায় না।
হ্যাঁ সাহিত্যিক প্রেমেন্দ্র মিত্রের মশা নামক লেখা আছে, তবে হাসির রসে মশাকে স্বর্গ পযর্ন্ত ঘুরিয়ে আনাও যায়, এতো দানব মশা স্বর্গ জয় করতেই পারে, ইন্দ্রকে স্বর্গচ্যুত করতেই পারে। দুঃখিত আমি কল্পনায় যতই স্বর্গে যাই না কেন সাখালিন দ্বীপে দানব মশা আসছে, নীলউল্কার এই প্রয়াস সকলের মনকে রঞ্জিত করবে অবশ্যই, প্রতিটা মশা সিরিজে যে মজা এবং হাসি লোকানো ছিল, এই লেখায় যেন আরো আরো উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে। এর একটাই কারণ নীলউল্কার ( সৌমেন কুমার চৌধুরী) কঠিনচিত্তের ভেতরেও আর এক চরিত্র বসবাস করে, তা নিজের মধ্যে সেই বৈচিত্র্য না থাকলে হয় না। আজ পর্যন্ত কতরকম চরিত্র, কত রঙের ছটা তো দেখিয়েছেন সব ঘষামাজা করে একে আরো শাণিত করেছে তো বটেই, আগুন ভেতরে থাকলে তবে তো সেটা বাড়িয়ে তোলা যায়। দৃষ্টিহীনদের যেমন অন্তর্দৃষ্টি থাকে যার হাত ধরে প্রেম, সম্পর্ক, স্থায়িত্ব বুঝতে শেখে, তেমনই ইনিও একটু একটু করে রম্যরসের সত্তাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন আমাদের চারপাশে।
নীলউল্কার এই 'সাখালিন দ্বীপে দানব মশা' অজস্র মণিমাণিক্য উপহার দেবে আশা রাখি।
গুণমুগ্ধ
দেবপ্রসাদ জানা
Comments
Post a Comment