রথের চাকায়
রথের চাকায়
দেবপ্রসাদ
মরণেও মেলেনি ছুটি। মিলবে না
শত শত বৎসরের পাপ পূন্যের ফাঁদে
জীবন্ত জলন্ত অগ্নি চিতায় এখনো
প্রজ্জ্বল উজ্জ্বল।
জীবন্ত হাতে সে গড়ে নয়া ইতিহাস,
কুরুক্ষেত্রে রথের চাকায় বসে -
কবিতায় উপন্যাসে, হাতে আঁকা ছবিতে
কালের গণ্ডি গুনতে গুনতে -
কায়াহীন, আস্তিকের আত্মায় নাস্তিক দেহহীন-
অশরীরি নায়ক, বিশাল ইশারায়,
সে যে মহাবীর দানবীর কর্ণ।
কুন্তির অবৈধ সন্তান।
যার নাম একডাকে উজ্জ্বল
সূর্যের মত দৃঢ়, তপ্ত আধার, প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ।
ইতিহাস তারে ক্ষমা করেনি ঠিকই
মরালের রক্ত হতে যোদ্ধা রক্তবীজ আনে,-
বপন করে ধরিত্রীর গর্ভে প্রতিদিন তবুও
কালের কুটিল ডাক, যে হলবাহকের।
অপজ্ঞান-হত্যা-অভিযানে,
ধার্মিকের স্বর্ণস্বর্গে হানা দিল নাস্তিকের প্রেত, স্পর্শিল অশুচি হাতে শতাব্দীর পবিত্র সঞ্চয়।
হে মহাবীর কর্ণ সকল এখনো যারা রথের চাকায়
আজীবন বাঁচার লড়াই করছো - মরতে হবেই
বিধির এই মহাবিধানে সূর্যস্পর্শা জননী,
তোমারে আনি জনাকীর্ণ পথে,
কদর্য বাস্তবের সাথে ঘটালো পরিণয়।
বিধৌত বলির রক্তে শৃঙ্খলার পাষাণ চত্বরে, বলিদ্বেষী পাষণ্ডের ছায়ামূতি যে,
আজ নিঃশব্দে সঞ্চারে।
Comments
Post a Comment