আঁধারের মৃত্যু
আঁধারের মৃত্যু
দেবপ্রসাদ
আলোর ছায়ারা গুড়ি মেরে ছিল,
হঠাৎ যেন লাফিয়ে পড়তে চাইছিল
আঁধারের ওপরে।
গুটি গুটি পায়ে চলতে চলতে -
দাঁত বের করে, একটা কামড় দিতে চাইছিল।
নোংরা মুখ দিয়ে উষ্ণ নির্মল রক্ত,
অন্ধকারের বুক চিরে পান করবে সে।
কঠিন পথশ্রমে অবসন্ন,
তন্দ্রাতুর আর নিরস্ত্র অন্ধকার।
লুকিয়ে ছিল প্রদীপের তলায়
গাছের পেছনে, বহুতল অট্টালিকার গায়ে
বন্ধ দরজার পেছনে।
ভয়ে থরথর কাঁপে প্রতিদিন এই বুঝি
অতর্কিত আক্রান্ত হল তার শিশু পুত্রেরা।
আলোর দিন অদৃশ্য হলে,
তার জায়গা সীমাহীন -
অভিশপ্ত দিনের সারি আলো,
আর সূর্য, অন্ধকারের দিকে উত্থত হয়ে রয়,
এক সর্পদৃষ্টি হেনে।
জঘন্য হত্যাকাণ্ড, জঘন্য হিংসা, ঘোষিত হচ্ছে, অবলা অন্ধকার শরীর ঢেকে,
পাতাল গভীরে -
আলোর বাহিনী উৎসবে মেতেছে,
বল্গাহীন হৃদয়হীনতায়,
বিনা কারণে বিনা দয়ায় বিশ্বাসঘাতী আক্রমণে
নিহত হয়েছে প্রতিদিন-
জ্ঞাত অজ্ঞাত শিকারের রক্তে আলো রঞ্জিত।
Comments
Post a Comment