ঝড়ের আগে
ঝড়ের আগে
দেবপ্রসাদ জানা
এক মুঠো ঝড় হাতে করে ফনীবাবু
খানা-খন্দ নদী-নালা পেরিয়ে সেদিন
উত্তরাকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখে -
ছুঁড়ে দিয়েছিল সেই মুঠো ভরা ঝড়।
মাঝনদী কেঁপে ওঠে,আধো জাগরণে,
ওপার যেন ডাকছে মূক ইশারায়।
হাতছানিতে না বলা কিছু কথা ছিল,
এপারের ইশারাতে, ব্যক্ত হিমস্বরে-
হৃদয়ে ছিল বোধের পোশাক,অপ্রেমে
সাজানো বাগানে ফোটা ফুলের রঙিন
আবেগ,আবেশে ঘেরা,কিছু শিহরণ,
এই চৈতালী বেলায়,স্মৃতিঘন মনে-
ধূসরবর্ণ মেঘের নিঃশব্দ প্রয়াণ।
একদিকে অন্য চাঁদ ঢেকে আছে মেঘে
সে এক অন্য রূপের, আবরণে ধৃত,
বিজন সুরে গোপনে,ভালোবাসা প্রেম,
চাঁদের আলোয় চলে,সম্মিলনী দোলা,
ভিক্ষা চেনে আকাঁড়ার চাল দুধে গোলা।
ভালোবাসা মরে যাবে,দুইটি সত্তার
বিপরীত মুখী স্রোতে, বিপন্ন বিস্ময়ে।
অর্থ খোঁজার কঠিন রেশ লাগা দেশে,
তলানো জলের স্বাদ উন্মাদিত প্রাণে।
মোহনার বুকে হাসে ক্ষুধার বাতাস।
স্বাভাবিকতার ভাঙা অভাব বাড়িয়ে-
শুধু বোঝা তুলে ধরা,তৃষ্ণার্ত শেকড়ে।
বাতি নিভলে,আগুন চাওয়ার নেশা,
রচনা করে চেতনা, অবরুদ্ধ শূণ্যে।
প্রয়োজনীয় নদীর স্রোত এনে বুকে-
পাথুরে চর গড়েছি দেহ মোহনায়
কাতরে ওঠে বিষন্ন মনের অচেনা
স্মৃতির ব্যথা, উথলে ওঠে আদিগন্ত
সবুজ মাঠে মৃত্যুর শিকড়ে আত্মার
বিজনতা,আঙুলের এক চাপে ঘুম।
শিথিল শরীর স্বপ্ন, অবশ অসারে-
শ্মশানে তার ঠিকানা,শেষের পাতায়
লেখা যবনিকা,শেষে দিগন্তের রেখা।
হ্যাঁ মুঠোয় ধরা ঝড় এনে ফনীবাবু-
নদীকুলে দিয়েছিল,তন্ময় আঁধারে,
প্রত্যাশার হাত টেনে ধরে আপনারে।
Comments
Post a Comment