আলপিন
আলপিন
দেবপ্রসাদ
সাদা কাগজের স্তব্ধতা থেকে প্রতিদিন
যদি একটু একটু করে স্তব্ধতা চুরি করি
শব্দ মায়া ঘুম, অব্যক্ত কথামালা জমা করি
পর্ণ কুটিরে।
তৈরী হয় আমার উপেক্ষার জীবন।
প্রতিটি শব্দে এক একটা আলপিন।
সারা শরীর জুড়ে ফুটে থাকে-
আমার চির রুগ্ন ক্ষয়াটে শরীর
রক্তাক্ত, আলপিনের প্রতিটি আঘাতে।
একদিন আসে, যেদিন জীবন থেকে খুটে খুটে
ফুটে-থাকা আলপিন, তুলতে হয়।
ভিতরে ভিতরে টের পাই তার মৃন্দু দহন আর ক্ষয়।
গোপনে যে বিঁধিয়েছে আলপিন,
তার কর্ক'শ মুখ মনে পড়ে।
মনে পড়ে, সম্মুখ যুদ্ধে যে পরাজিত- মনে পড়ে, চক্রান্তকারীর লোমশ থাবা, শানিত বাক্য।
পিছন, যারা অন্ধকারের বন্ধু সেজে বসেছিল পাশে,
তাদের নিষ্ফলতার প্রতি করুণা জন্মে,
মনে হয় আবার তাদের সম্মুখ যুদ্ধে আহ্বান করি।
তখন সমস্ত পরাজিতের শরীরে,
বিঁধিয়ে দেব আলপিন।
হিংসার প্রমত্ততায় মুখোমুখি বসে
আমার উপেক্ষিত জীবনে ফুটে থাকা,
আলপিনের হিসাব চাইবো,
বলবো ওহে প্রিয়তমা নারী,
নিঃস্ব রিক্ত অন্তঃসার শূন্য,
জীবনের তুমিই ধারকবাহক।
তবে কেন গোপনে বিঁধিয়েছ,
তীক্ষ্ণ সে আলপিন।
মৃত্যুর ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ অন্ধকার
তোমার অহংকারে আত্মার গতাসু জোছনাও
চাঁদের দিকে পিঠ করে হাসে।
Comments
Post a Comment