ভোর ভোর সূর্য চোর
ভোর ভোর সূর্য চোর
দেবপ্রসাদ
লাল কুসুম পানা সূর্যের জন্ম হয় -
তখন মেঘ কু-আশারা গিলে খেতে আসে,
বাতাস তখন দেহ রক্ষী হয়ে-
তাড়িয়ে দেয় কখনো কখনো।
ভয়ে মেঘ নিজেকে গুটিয়ে নিলেও-
কুয়াশাকে কিছুতেই বাগে আনতে পারে না বাতাস।
গাঢ় ঘন দানবী কুয়াশারা ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় তাকে।
কি অদ্ভুত তাই না?
দানব মেঘের প্রেয়সী কু-আশা বড়ই শক্তি ধরে।
মা সাগর, দুঃখে, অভিমানে, পাড়ের পাথরে-
আছাড় খেয়ে মরে।
গর্জনে তার ভুমি কাঁপে, বাতাস আসে আদর করে।
কে জানতো?
প্রতিদিন তার গর্ভে জন্ম নেওয়া সূর্য
অকালে ঝরে যাবে।
দানবী কু-আশা ভারি লোভী,
কত সূর্য যে পেটের মধ্যে ভরেছে -
প্রতিদিন ওঁত পেতে থাকে কখন শিশু সূর্য
সাগরের পেট ছেড়ে আকাশে ঘুরতে আসবে।
সাগরের কান্নায় ভেসে আসে আর্তনাদ -
অবিরত প্রলাপ বিলাপের ধ্বনি।
সম্পর্কের রূপ যাই হোক-
শত্রুতা যাই থাকুক,
একবার অন্তর থেকে চিৎকার দাও
সূর্য তোমায় ভালোবাসি,,
দেখো কেমন গলে গলে পড়ে তরল তরল সূর্য,
যখন মগডাল ছুঁয়ে পাতায় পাতায়-
শাখায় শাখায় সূর্য ছুঁয়ে যায় আদরে।
ফিরে যেতে যেতে গোধূলি আলোর রঙ
মাখিয়ে দেয়,
অভিবাদন ছুঁড়ে দাও একবার
মনোহরণ মনোরম হাসির ফোয়ারায়-
ভরিয়ে দেবে সূর্য।
ভিজিয়ে দেবে কনে দেখা সোনালী আলো।
পারো তো একবার হাত তুলে আলিঙ্গনের
স্বাদ নিয়ো,
বুকের উষ্ণতায় ভরিয়ে দেবে,
ভুলিয়ে দেবে মন খারাপের কান্না গুলো।
ভরসার মন তাকে বিলিয়ে দাও -
আগুনের মতো তোমায় উষ্ণতা দেবে
শীতের সকালে।
শক্তির মহা সমুদ্র তুলে দেবে হাতে হাতে।
ওহে দানবী কু-আশা কেন করো এত পাপ
ওগো মেঘদানবের দল-
মেরো না এমন করে শিশু শিশু সূর্য গুলো
ওরা যে দেশের ভবিষ্যত।
Comments
Post a Comment