বৈপরীত্যের ছায়া
বৈপরীত্যের ছায়া
দেবপ্রসাদ
এ কি মায়া আকাশের পানে চেয়ে
তুমি পেয়েছ অসীম নীলাভ ছোঁয়া,
চোখের লাল সূর্যটাকে পূবে উদয় দিয়ে
গনগনে আগুনে চেতনাকে দগ্ধ করেছ।
বিচ্ছিন্নতায় বোধের পদধ্বনি দূর্বার -
আকাঙ্ক্ষায় প্রচ্ছন্ন অন্ধকার গহ্বরে,
বলয়ের প্রতীক্ষায় থাকে অনাকাঙ্ক্ষিত মন।
যন্ত্রণায় ওঠে, ভীষণ ঝোড়ো বাতাস।
অলক্ষ্যে বেড়ে ওঠে ভাবনারা -
শ্যাওলা পড়া দেয়ালে,
নিঃস্পৃহ ইচ্ছেডানায়
চিরচেনা তোমার চলার পথে,
অবগুণ্ঠন খুলে দেখি বৈপরীত্যের ছায়া
উৎকণ্ঠায় শিহরণ জাগে প্রাণে,
মৌনতার প্রান্তরেখায় নগ্নতার ছোঁয়া
কক্ষপথহীন আকাশগঙ্গায় মহাজাগতিক
প্রহসন আমি অনন্তকাল, ফিরে যাবো
নীলপদ্মের ঝরে পড়া পথে।
অপ্রত্যাশিত মিলনের তীব্র বাসনা
বিসর্জন দিয়েছি বিশ্বাসে।
বিপরীত ইশারায় ডাকে পৃথিবী,
ইচ্ছেরা ছুটে আসে নতুন আলোর লোভে,
আলোর পিপাসায় আঁধার পথ চেয়ে থাকে
হীরের বৃষ্টি হওয়া গ্রহে।
কত শত পৃথিবী ওই গ্রহের বুকে প্রাণ দিতে আসে।
Comments
Post a Comment