দিবানিশি প্রলোভন

দিবানিশি প্রলোভন 
দেবপ্রসাদ

ফুৎকারে অকস্মাৎ পোড়ায়েছে বিশ্বব্যাপী 
এ মহাবিপ্লবের দিনে লোল বহ্নি-মুখে, 
সদা প্রলোভন ,
অস্থি-র ইন্ধন পৃথিবীর এই এক অনন্ত দুর্দিনে। অত্যাচারী অবিচারী একচ্ছত্রী, 
ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলাইবে অগ্রজে যাহার। 
একা একা আর্তনাদ করিতে সে দিন, 
সপ্তদশ বর্ষীয় মহামানব। 
সেই দিন যেই অগ্নি প্রজ্জ্বলিল অন্তরে তাহার,
অসহ্য যন্ত্রণার প্রহার, 
ভীষণ অগ্নিহোত্রীদের মত, অবিরত, 
অনিশ্চিত উপার্জনের কেন এ প্রলোভন?
দরিদ্রের হৃদয়ে আকাঙ্ক্ষার পর্বত।
বিত্তশালী হয়ে ওঠার অনল-দ্বীপ্ত-শিখাটিকে, ছড়াইল দিকে দিকে,
সমদুঃখীদের হিয়া দাউ দাউ করে জ্বলিল অমনি,
প্রবুদ্ধচেতন; সম্রাটের রক্ত-চক্ষু-
অনিল আলোকে শিরে তার বর্ষিল অশনি!
তুষার-শীতল অতিদূর নিস্তব্ধ প্রদেশে, 
যুধিষ্ঠিরের সামনে মায়ার পাশায়-
অবশেষ যত, স্ফীতবক্ষ ধনাঢ্য কৃতকর্ম,
অসম্পূর্ণ বাসনায় দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ। 
বাহিরিয়া এলো পত্নী, বিশ্ব মাঝে বস্ত্রহীন।

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ