পরিক্রমা
পরিক্রমা
দেবপ্রসাদ
পেছনে ফিরে তাকিয়ো না,
ভেঙে-পড়া থামগুলোর দিকে।
আবর্জনা গুলো তোমাকে ডাকতে পারে।
স্বপ্ন ভাঙার আগে, পথ শেষ করো।
জমির আল ধরে এগিয়ে চলো
আগাছার মাঠে- হাতের মুঠোয়,
কাস্তের উজ্জ্বল ধার,
উল্লসিত সূর্যের দিকে তাক করে রাখো,
ভাইকে -
দস্যুর দীক্ষায় আত্মঘাতী রক্তের
তিলক করতে যদি পারো,
ইতিহাস মনে রাখবে দুর্যোধনের মতো।
প্রচণ্ড প্রসব যন্ত্রণায় প্রসূতি মায়ের বেদনা
গান্ধারীর মত।
যুগান্তের মোড়ে, উত্তপ্ত হাতে জমির ফসল-
অনেক প্রাণের শস্যে ভরাতে হবে ভাণ্ডারের ক্ষুধা।
হিংস্র দস্যুরা যখন তোমাতে ভর করে,
সংহত শক্তির চূড়ায় বিপ্লবের বজ্র দীপ্তি হবে।
চম্বলে বেঁচে আছে আদিম হিংস্রতা।
সেখানে তুমি উত্তাল নিরুদ্বিগ্নে ঝাঁপ দাও,
নির্জন জঙ্গলে গভীর ধ্যানে রক্তাক্ত শরীরকে,
আরো আহত করো।
অখণ্ড একাগ্রতায় শরীর থেকে বেরিয়ে এসো,
পড়ে থাক খেলা! পড়ে থাক মাঠ,
পড়ে থাক সংসার কারখানা,
পড়ে থাক শহর, লক্ষ লক্ষ নর-নারী-
আর তোমার গ্রাম, তোমার শহর, ফোননননন
Comments
Post a Comment