নব-ভারতে নব-মহাকাব্য
নব-ভারতে নব-মহাকাব্য
দেবপ্রসাদ
অনাবাদি জমিতে বুনেছ কি সূর্যবীজ
আবাদযোগ্য ভূমি শাপভ্রষ্ট।
খণ্ডিত জ্যোতিষ্ক সূর্যের শরীরে
মরণ-প্রোথিত আত্মা।
দেবতাত্মা না দূরাত্মা বুঝিনি এখনো।
জ্বলে রক্ত, জ্বলে কর্ম, সৃজনে নির্মাণে
কালের কুয়াশা চূর্ণ করে মৃত্যুর প্রাচীর গড়ে।
বিদ্যুৎ রোপণ করে অলক্ষ্যে ক্ষয়িষ্ণু দেহে
প্রতি কোষে কোষে।
শরীর বিকীর্ণ তেজে পোড়ে পুরাতন দুঃখ,
ঝলসে যায় প্রাচীন পৃথিবী।
মাটিতে প্রোথিত আছে অগ্নিগর্ভ বীজ
বোধিদ্রুম পৃথিবীর জীবন আকাশে-
অনশ্বর সূর্যের শোণিত।
শরীর নিঃসৃত রক্তকণা প্রাণরসের কোষে কোষে
ছুটে চলে অবোধ্য গতি সম্মুখে -
ক্রমমৃত্যুর ইতিহাসে মুদ্রিত
রক্তাল্পতাজনিত অসুখ।
ক্ষয়ের শরশয্যায় প্রতিবাদে নির্বোধের
বিষাদ গোলাঘরে সঞ্চিত
রুদ্র সরোদের ঝনঝন, বাড়ন্ত ঘরে-
উপোসের একথালা সাদা ইচ্ছে।
পাথর কারাগারে মূসৃণ হচ্ছে
পোড়া পাঁজরের অঙ্গার।
কপালে রক্ত শ্মশানডাকিনীরা,
ঘন মেঘ ছিঁড়ে এখনো সূর্য ওঠাতে চায়
রাতের অন্ধকারে।
হাভাতে মানুষ সমস্বরে মিছিলে হাঁটছে,
মহামারী মন্বন্তরে তর্জনী তুলে বজ্রের অক্ষরে,
লিখবে আর এক মহাকাব্য মহা মহাভারত।
Comments
Post a Comment