একটু দেখবেন ধর্মাবতার

একটু দেখবেন ধর্মাবতার 
দেবপ্রসাদ

সায়নাইডের একটা ক্যাপসুল- 
জিভের তলায় রেখে,
যদি ভাবি আজ আর বেঁচে কাজ নেই,
কাল যদি ভালো হয়,
কাল যদি মনের ঘরে প্রেমের জোয়ার আসে,
অন্ধকার রাত্রি কেটে, বদ্ধ ঘরের দরজা দিয়ে
সূর্যের আলো ঢোকে, 
কাল যদি ব্যথা না পাই মনে,
তবে মনে রেখো আসব আবার ফিরে
এই অবাঞ্ছিত রুগ্ন পৃথিবীর বুকে।
আজ মাপ করবেন ধর্মরাজ।
আমি ইচ্ছে মৃত্যুর কোলে মাথা রেখেছি।
এ আমার পাপ নয়, 
পাওয়া না পাওয়া যন্ত্রণার ফল।
শয়তানের কোনো অন্তঃস্থিত-
নরম পরিভাষা আমার জানা নেই।
শয়তান মন শেষদিনে ছিন্নবিচ্ছিন্ন প্রকৃতির কবিতায় ঢুকে পড়েছে,
কবিতার গায়ে যে কলঙ্কের রক্ত।
শিশুর পিঠে কিণ্ডার গার্টেনের ভারি বস্তা 
চাপিয়ে যারা শিক্ষিতের বড়াই করে,
তাদের দল বড় ভারি।
অপরিনত মস্তিষ্কে মোবাইল নামক দানবের
অত্যধিক অত্যাচার কি আর মানা যায়?
বিষ ছড়ায়, যে ছেলেমেয়েদের পিতামাতা,
শরীরে বসায় অপ্রাকৃতিক জ্ঞানের তীক্ষ্ম দাঁত-
জন্মের পরেই হিটলারী থাবা বাড়ায়,
তাদের জন্য আধো আধো কাব্যিমাখা 
কোন শব্দ আমার জানা নেই।
ব্রহ্মাণ্ডে নক্ষত্র যুদ্ধের ফর্মূলায়
আদিখ্যেতা আর আদুরে শব্দ আমার -
একেবারেই জানা নেই ধর্মাবতার! 
আগুন লাগচ্ছে শিশুর মনে, কোমল হৃদয়ে।
ভাঙছে হীরক মাণিক্যের অন্তরাত্মা।
একটু দেখবেন ধর্মাবতার।

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ