প্রতিধ্বনি

প্রতিধ্বনি

প্রতিধ্বনি হলে বুঝি, 
ন্যূনতম দূরত্বেই আছো। 
জানি, শব্দ ও আলোর গতিবেগের তফাৎ যত,
তোমার পায়ের শব্দের প্রতিধ্বনি হলে বুঝি 
সঠিক কতটা ব্যবধানে তুমি আছো,
হাতের স্বপন কুমারটা ফেলে, 
যেকোন একটা বইয়ের ভেতরে -
তৎক্ষণাৎ বেঁচে যাওয়া।
অথচ নিভৃতে নিঃসঙ্গতায় তোমার অন্তরঙ্গ স্বর
আমায় বোঝাতে চেয়েছে, 
তুমি আমার বাবা নয়, আমার বন্ধু।
কতদিন আত্মস্থ থেকেছি,
ওই ধ্বনিটুকু শোনার জন্য। কতদিন-
একান্তে নশ্বরতার ভিতরে তটস্থ থেকেছি, 
একবুক জ্যোৎস্না নিয়ে সমুদ্রের পিঠ বয়ে 
এসেছ আমার গন্ধময় জীবনের,
ভিতরে ভিতরে গড়েছ আমার মৃত্তিকাময়,
আত্মা, আমার স্থুল শরীর।
গত পঞ্চাশ বছর ঋণী রেখেছ এইভাবে, 
তিলে তিলে গড়েছ সোনালী স্বপ্নের রাজপথ।
কত ঝঞ্ঝা কত ঝড় নি-জ মুষ্টিবদ্ধ হাতে- 
শুকিয়ে জেগে উঠছে চোরাবালি,
শরীর শুকিয়ে শুকনো পাতা শুধু বাতাসে ভেসেছে,
তখনই তুমি ক্ষীণতম আলো হয়ে দাঁড়িয়েছ।
কোলাহলে তারা হয়ে জেগে উঠেছ, 
আমার আকাশে।
প্রতিধ্বনি না হলেও জানি, 
তুমি আছো ন্যূনতম দূরত্বে। 
আমি আছি শব্দের উৎসে ভূমিকাহীন
অপেক্ষমাণ পাথর, বংশপরম্পরায়।

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ