শরতের প্রতিবাদ
শরতের প্রতিবাদ
দেবপ্রসাদ জানা
১৭.১০.২০২৩
শরতের মুখে গাঁথা সূর্য
ফোঁটা ফোঁটা চুইয়ে পড়া রক্ত যেমন।
সকালের রশ্মি শরতের আগমনী মঞ্চে
স্পট লাইটের মতো টানছে।
একদিকে ঘোর অন্ধকার,
একদিকে শারদীয়ালোকের শিব তাণ্ডব।
প্রতিটি ফুটপাতের আলোর পিছনে
না খেতে পাওয়া, এক একটা উলঙ্গ লাস,
তবু আমরা সমাজ কল্যাণে ব্রতী।
কতকগুলো ঘৃণিত প্রাণী,
ঘৃণার মন্ত্রে উচ্চারিত প্রার্থনাকে ছাপিয়ে
দশভূজার দশহাতের অস্ত্রসস্ত্রকে জাগরিত করি।
অস্ত্র? যা ছুঁড়ে বিনাশ করা যায়।
সস্ত্র? যা নিজ হস্তে বধ করতে হয়।
না কোনটাই ব্যবহার যোগ্য নেই।
তবু মায়ের আগমনী সুরে পাপ ও পাপীদের
বিনাশ বার্তা। কেন?
তবু জেগে থাকে প্রতিটা মুখ ফুটপাতে।
অলিতে গলিতে।
যেখানে সকালের রশ্মির মত
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত চুইয়ে পড়ে।
দখলদাররা কুত্তার মত গর্জায় -
"ছোটলোকের দল শহরে নোংরা করছিস্।"
“কে তোর সঙ্গী ?”
একটা বস্ত্রদান এক মুঠো চাল,
একবেলার পেট পূর্তি মোবাইল উৎসব।
ভবিষ্যৎ নির্দিষ্ট হয়—সকালের রশ্মির মত,
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত চুইয়ে পড়া রোদ।
ঠিক তখন থেকেই বলবৎ হয়—আগমনী।
কথা গুলো তীরের মতো ছিটকে আসে।
কার্তুজের মত—আগুন ছোঁড়ে।
প্রার্থনাগুলো পাখীর মত জন্ম নেয়।
পরিযায়ী পাখির।
হ্যাঁ আমি পাথর ছুঁড়েছি, ছড়াচ্ছি ইস্তাহার,
আর সতর্ক করেছি, কোটি কোটি কালো টাকার
ওপরে বসা কালো শয়তানদের।
যারা প্রতি বছর আলোর রোশনাই ছড়ায়,
ফুটপাতে, ওই একটি আলো রশ্মি
একটা বছর পেট পূর্তি অনাহার মেটাতে পারে।
আজ্ঞে হ্যাঁ—আমিই দেওয়ালে দেওয়ালে
সত্যি কথাগুলো লিখে এসেছি ;
ওরা যখন নীলাতঙ্কে নীল হতে থাকে
চেয়ারের হাতলে নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করে,
আমি তখন প্রতি মহল্লায়, প্রতি দেওয়ালে ।
তাদের নাম লিখি, অথচ তোমরা দেখতে পাও না।
Comments
Post a Comment