কাশফুল
কাশফুলের হৃদয় মাঝে মায়ের আগমনী।
মা এলো নতুন সাজে,
আবার প্রকৃতি, ঢাকের তালে নেচে উঠেছে।
কি আজব ব্যাপার, বলো দেখি।
ভাবছে নূপুর।
ছেলেটার নাম রাজু।
সব মেয়েই ওর জন্য পাগল।
নুপুর একদমই পছন্দ করে না।
ছেলেটা তার পাশের বাড়ির। মুচকি হাসে।
কাছে যাবার মতো প্রবৃত্তি কি করেই বা হবে সারা গায়ে লেগে আছে পাপ-ধূলো
ঘূণিত সমা
সত্যের শভ পায়ে কুৎসিত কালো লেগে আছে
কিঞ্জল চোখের গভীরে প্রতিহিংসার ক্ষুধা
তন্ময় হাতে ; চাপ চাপ রক্তের শুকনো দাগ । হাঁটতে গেলেই পথ আগলে দাঁড়ায়
মনুষ্য বিবেক।
মনও সায় দেয় না যেতে, অথচ
যেতে হবেই সব কালো মেখে
ক্ষুরধার সাঁকো পেরিয়ে
যার নীচে লক্ লক্, করছে লেলিহান
আগুনের শিখা
চির রহস্যময় তোমার কথা ভাবছি, আর ভয়ে ভয়ে কাঁটা হয়ে যাচ্ছি। তবে কি
কোন মূল্যেই তোমার কাছে হবে নাকো যাওয়া ?-
রাজুঃ এই যে নুপুর, উনি আমার বাবা, কাল এসেছে।
নুপুর পায়ে ধরে সালাম করল। আর বলল, “আঙ্কেল, আমাদের বাসায় আসবেন কিন্তু।“
নুপুরের এক ফ্রেন্ড রাজুকে লাইক করে। তাই মাঝে মাঝে রাজুর ভোনের কাছে গিয়ে কথা বলে আসে। কিন্তু নুপুর এসব লাইক করে না। নুপুর একটু reserve টাইপের। তাই তো রাজু ওকে লাইক করে। রাজু নুপুর কে একটা বই আর কিছু গানের ক্যাসেট দেয়। কিন্তু বইটি পড়ে, গান গুলো শুনে গিফট গুলো ফিরিয়ে দেয়।
রাজু ভাবে এটা কি ধরনের মেয়ে??? এভাবেই দিন যায়, হঠাৎ একদিন রাজু ছাদে এসে দেখতে পায় নুপুর একা দাড়িয়ে। কেউ নেই তার সাথে। এই তো সুযোগ মনে মনে ভাবলো রাজু। নুপুরের কাছে গিয়ে বলল কি বেপার ? কেমন আছো? কি করছো? নুপুর বলল এইতো কিছুই না। রাজু বলে উঠলো আমি তো তোমাকে নোট দেই, পড়ায় হেল্প করি। আমাকে একটু হেল্প করবে? নুপুর বলল হ্যাঁ বলো… কি করতে পারি? রাজু বলল আমি না একটা মেয়েকে ভালবাসি কিন্তু ভয়ে কিছু বলতে পারি না। কি করা যায়? নুপুর বলল যে ভয় না পেয়ে ডাইরেক্টলি ওকে বলে দিতে যে ও মেয়েটাকে ভালবাসে।
রাজু সাথে সাথে বলল যে, আমি তোমাকে ভালবাসি। অনেক দিন ধরে বলবো বলবো ভাবছি কিন্তু বলতে পারছি না। নুপুর অবাক হল আর রাগ করল কিন্তু কিছুই বলল না। বলল যে শুধু কয়েকদিন টাইম চাই। রাজু বলল ওকে!!!
কিছুক্ষন দুজনই চুপ।
হঠাৎ রাজু বলে উঠলো তোমার হাতটা একটু ধরতে পারি? নুপুর বলল আমি কি তোমার প্রোপজাল এ হ্যাঁ বলেছি? তো হাত কেন ধরবা ?
সরি!!! বলল রাজু।
অনেক দিন দেখা যায় না নুপুরকে। ওই ঘটনার পর নুপুরকে আর দেখেনি রাজু। রাজু বুঝতে পারলো যে নুপুর কি উত্তর দিবে। তারপরও তার মুখ থেকে শুনতে চায়। একদিন দেখা হল… রাজু বলল আমার উত্তর কৈ? নুপুর বলল দেখো আমার আর তোমার মধ্যে এফ্যায়ার কখনই না। আর তুমি অনেক স্মার্ট ছেলে, অনেক ভাল মেয়ে পাবা। So আমাকে আর ডিসটার্ব কর না।
অনেকটা নিষ্ঠুর হয়ে কথা গুলো বলল। রাজুও কিছু বলল না শুধু দুচোখ চলচল করে তাকিয়ে দেখলো নুপুর চলে যাওয়া।
কিছুদিন পর নুপুর জানতে পারে রাজুকে পরিবার থেকে জোর করে বিয়ে করানো হচ্ছে। বেচারা বিয়ে করতে চাচ্ছে না। তারপরও জোর করায় মূলত বিয়েটা হয়ে গেল।
বিয়ের পর নতুন বউকে নিয়ে বাড়িতে এসেছে। বউটাউ হয়তো বুঝতে পেরেছিল যে তার বর অন্যকোন মেয়েকে ভালবাসে।
রাজু নুপুরকে একটি ডায়রি দিল। আর বলল এটা আর ফেরত দিতে হবে না। বাসায় গিয়ে রাতে পড়িও। ডায়রিটা পরে নুপুর জানতে পারলো যে রাজু কতটা ভালোবাসতো নুপুর-কে। ওদের কখন কোথায় কি কথা হল? নুপুর কোন দিন কোথায় যায়? কোন দিন কি রঙের জামা পরে সব তো রাজু জানে।
যেদিন নুপুর ওকে refuse করে সেদিন ও সারারাত বাইরে ছিল , বাড়ির ভিতরে যায় নি। সারারাত সুধু কেঁদেছে।
আর সবার শেস পেজে লেখা ছিল “আমাকে কখনো বুঝলে না যে তোমাকে কতটা ভালবাসি।”
এই কথাটা পড়ার মাত্র নুপুরের চোক দিয়ে অশ্রু ছল ছল করে পরতে লাগলো!!!
তারপর থেকে ওরা ওই বাসা ছেড়ে অন্য বাসায় চলে যায়। এর পর সেই চুপচাপ মেয়েটি আরও বেশি চুপচাপ হয়ে যায়।
দিন কাটছে! ওরা একলা,
নিঃসঙ্গ একাকিত্তে। নুপুর বিয়ে করে নি
গড়লো কত শত মায়ের মূর্তি ,
দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে গেল তাদের মহৎ খ্যাতি।
আধার কালো ঘুচিয়ে দেব,
জ্বালবো নতুন আলোর দৃশ্য,
আমরা যে ভারতবাসী জানুক সারা বিশ্ব।
রাম রহিমের গল্প থেকে আমরা সবাই জানি,
একই মায়ের দুটি সন্তান হিন্দু আর মুসলিম,
কেন তোমরা মিছে কর জাতের বড়াই ।
নতুন সাজে সেজে উঠেছে মায়ের মন্ডপ,
চলো সবই ভুলে যাই হিংসা ঘৃণা দ্বন্দ্ব,
উপভোগ করি সবাই মায়ের পূজার আনন্দ।
দশমীতে প্যান্ডেলেতে ঘুরে ঘুরে দেখবো কত দৃশ্য,
নবমীতে মনের মাঝে নতুন প্রাণের সৃষ্টি,
বিজয়া তে কেন মাগো দুচোখ ভাসে প্লাবন ধারা বৃষ্টি।
বিশ্ব নিখিল লিখল যে ভাই কদিনের এই মেলা,
মায়ের মতো ডুবে যাবে সবার একদিন বেলা,
তবু কেন রংবেরঙের আবির নিয়ে করে খেলা।
মা এলো রে নতুন সাজে ,
সাজলো আবার প্রকৃতি,
বাজাও ঢাকের বাজনা কর গো সবাই আরতি।
Comments
Post a Comment