জীবনের আঁধার
জীবনের আঁধার
দেবপ্রসাদ জানা
তখন ঢের রাত।
উঠোনে জ্যোৎস্নার আলো,
দু-তিনটে বেড়ালের থাবায় শান্ত জোছনা।
বিড়াল গুলি সেই আলোর গোলা নিয়ে - লোফালুফি করছে।
একপাল গেছো ইঁদুর ভারি ব্যস্ত,
কিচকিচ শব্দে কেবলই জানান দিচ্ছে,
আমরা আছি।
আসলে জোছনা নয়,
চাঁদপানা নিয়নের আলো,
পাশের হাই রাইজ বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে,
এই হাসপাতালের ভাঙ্গা জানালা গলে,
শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো
আমার দিকে।
তারপর সারারাত সারাক্ষণ চললো
জীবন মরণের হুটোপাটি।
প্রভাত হলো।
শেষ নিশ্বাসটুকু চেটেপুটে সাফ করে
সরে পড়ল যমরাজের নিয়নের আলো।
ভোরের নরম আলো এসে ছুঁয়ে দিলো
নির্মীয়মান বহুতলের দিকে চেয়ে থাকা যৌবনের
প্রথম আলোর রেণু, আর বসন্ত
কোকিলটা ডেকে উঠলো ঠিকই, বসন্ত ডাকেনি।
একবারও।
ঝাঁকড়া মাথা বটঅশ্বত্থ গাছটায়,
ভারি খুশী হয়ে আত্মার পাখিটা পুকুরের জলে-
নিজের মুখ দেখলো।
জীবনের আঁধার ওৎ পেতে থাকে প্রতিদিন
যমরাজের মৃত্যুদণ্ডের মতো।
Comments
Post a Comment