জন্ম
আকাশের ঘোলাটে বিষণ্ণতা কাটিয়ে হৃদ
স্পন্দনের কম্পনে সুরেলা বাদ্যে মুখোরিত
দেবীপক্ষে দেবীর আবির্ভাব।
মহা চতুর্থীর পূণ্যলগ্নে দুপুর পেরিয়ে ঠিক একটায়।
সবুজের শিহরিত সজীবতায় জন্মে
অভিমানী ফোঁটা,
গর্বোদ্ধত বারিবিন্দুর সম্মোহন...
অলিখিত ব্যবধানে বাউণ্ডুলে একতারা
আঙুলের রক্তাক্ত আঁচড় কেটেই
ছড়ের শরীরে ছোঁয়াতে চেয়েছিল
বিশুদ্ধ স্বেদনে নির্ভীক প্রেমের স্মৃতি!
ফুলের সুবাসে স্নিগ্ধতা পর হ’লেই
কুণ্ডলীর কুণ্ঠায় ধোঁয়া অযাচিত,
সময়ের করাল দংশনে হতবাক প্রশ্ন
প্রশমনে সোঁদা মাটির খোঁজে নষ্ট,
ক্ষেতের ক্ষেত্রজ খতিয়ানে খয়রাতি...
ধারায় আপ্লুত ঝরণা হয়তো
আসলে আড়ালে ফেলা চোখের জল,
বিরহিত যমুনায় আকুলতা অনায়াসে
হ’তেই পারে ব্যবহারে বিবর্জিত,
স্থিরতা হারালেই কালপুরুষ কাপুরুষ?
স্বাদ আর বিস্বাদের ফারাক
বুঝে গেলেই নিবারণের বারণ চিনে
হতাশার হা-হুতাশ মোটেও অবুঝ নয়,
বিলম্বিত লয়ের দ্যোতকে পূরণ করা
প্রলম্বিত শূন্যের বিচরণ সাবলীল...
তবুও কারণের শব দাহ-কালে
জ্বলনের অনুভব কটুবাস ছড়ায় না,
দ্রবণের দ্রাব্য প্রলোভন নির্দ্ধিধায়
অকুতোভয় হওয়ার সাহস রাখলে
শেখার শেষে সখ্য দাম্ভিক বটে;
রৈখিক পরিসরে বক্রতা হেঁটে দেখায়
কটাক্ষের আবহে অস্তিত্বই অলীক।।
Comments
Post a Comment