প্রেমের ছড়া

 প্রেমের ছড়া


গোকুলে গোপাল এলো 

করিতে লীলা।

শুভ্রদীপের বাড়িতে তাই 

বসেছে মেলা।

জয় গোপাল জয় গোপাল

বলছে সবাই।

এমন সুন্দর রূপ তাঁর 

কোথা গেলে পাই।


তুমি তো ছিলে আমার হয়ে।

চলে গেলে কেন,বলে কয়ে।

এতদিন এতমাস ফাল্গুনী,ছিল পলাশের।

আজ সে দেখো বউ,সেজেছে সৌভিকের।


স্মৃতিরা জেগে থাকে মনে

স্বপ্নরা মরে ভোরের আলোয়।

মনের মন্দিরে রেখেছি ঢেকে

দেবীর কৃপা যেন না বেরোয়।


বন্ধু ভালো আছো তো

অনেকদিন হয়নি কথা।

সুপ্রভাত আর শুভরাত্রী 

এক নিয়মিত প্রথা।


প্রেমের কবিতা মোরে

করেছে বিবাগী।

হৃদয়ে লেগেছে নেশা

তাই প্রেম মাগি।


সকালটা ভালো হোক

প্রেমের বচনে।

এসেছে শরৎ সখী

এই প্রেমাঙ্গনে।


স্বপ্নেরা জেগে থাকে সারারাত 

স্বপ্ন দেখবে বলে।

আলোআঁধারি জোছনা তারে

দূরে দেয় ঠেলে।


কবিতা আমার প্রেয়সী 

কবিতা আমার মন।

ভালোবেসে মরি যদি

করো আলাপন।


টুকরো টুকরো কিছু কথা

থেকেই যায় মনে।

কি জানি কি ভেবে বসে

কিছু মন্দ জনে।


ভাবতে ভারি ভালো লাগে

আজো বেঁচে আছি।

নইলে কবে, মরে গিয়ে

হতাম নোংরা মাছি।


কথা তো,হয় না বেশি

একান্ত গোপনে।

সব ভালো,রেখেছি বেছে

রেখো মনের কোনে।


প্রেম প্রেম কথা হলো

ছড়ায় লিখে বলা।

মর্ম কেউ বুঝবে নাগো

এই দুপুরবেলা।


তুই যা বলবি,সেটা তুই

ছড়ায় উত্তর পাবি।

হাতের কাছে নেই ছড়ি

তবু ছড়াছড়ি কবি।


ছড়া লেখা বড় কঠিন

মিথ্যে বলতে হয়।

টাপুর টুপুর বৃষ্টি আবার

কবে কথা কয়।


সন্ধ্যা প্রদীপ নয়তো এটা

যেন কুমড়ো গাছে।

শুভ সন্ধ্যা বলবো না আজ

তিনি আছেন কাছে।


আর নয়,অনেক হলো 

প্রেম প্রেম কথা।

সময় হলে তলব দিয়ো

দেখাব বুকের ব্যথা।


প্রেমে পড়ে লাভ নেই

ছেঁড়া ছেঁড়া পাতা।

প্রেমের চিঠি হলুদ মাখা

তাতে ছড়ার ব্যথা।


অলক্তক পায়ে এঁকে

মাথা দিও সিঁদুর।

লাগবে তুমি গ্রাম্যবধু

প্রেমে ভরপুর।


একটা কথাও বলব না

রাস্তায় দেখলে চিনব না

দাদাও বলতে দেবো না

এখনো ছড়া লিখলে না?


সুন্দর সুন্দর ছড়া দিয়ে

হলো অনেক কথা।

দেখবে কেমন দুখের কথা

বলছে বিধাতা।


প্রেম প্রেম অনেক কথা

ছড়ায় লিখে বলা।

সকলে এর মর্ম বোঝে না

শুধু শুধু বলা।


অনুমতি নেয় যে 

সে আপন হয় না।

আপন যদি হয় তবে

এমন কথা কয় না।


ঘুম ঘুম চোখে লেখা 

ছোট্ট প্রেমের ছড়া।

সকাল বেলা করব প্রেম

মন দিয়েছে নাড়া।


আহা রে মরে যাই 

এত সুখ্যাতি।

ডন হলো বৈঠক হলো

এখন কপালভাতি।


ওই যে বাতাস,তোমার সাথে

করছে মাখিমাখি।

আঁচল খানি সরিয়ে রাখো

একটু খানি দেখি।


সাদা ফুলে,রক্ত ঢেলে

দিলাম তোমার হাতে।

ওষ্ঠ মধু ঢেলে দিয়ে

আদর ভরো তাতে।


কার আদরে গোলাপ এত

হয়েছে সুন্দরী।

তোমার ঠোঁটের ছোঁয়া পেয়ে

আহা মরি মরি।


গোলাপ সম তোমার দেহ

আদরে করতে চাই।

একটু খানি সবুর করি

যদি তোমাকে পাই।


সকাল যখন খুশী হোক

মনটা যেন সকাল থাকে।

ভোরের আলোর মতো

নিজেকে জাগিয়ে রাখে।


ঘুমিয়ে পড়া ফুলের কুঁড়ি

ভারি লাগে ভালো।

জোজনা রাতে লাগে তার

নীল নীল আলো।


ওকি ফুল ঘুমালে নাকি?

ঘুমিও না আর।

একটু দেখো চেয়ে আছে

বসন্ত বাহার।


ছন্দ নিয়ে মন্দ কথা

কেমন করে শুনলে?

আমার মুখে খারাপ কথা

কেমন করে মানলে?


ভালো লাগার দাম দিও একটু।

ভালোবাসার নাই দিলে।

মনের ঘরে স্থান না দাও 

ভাবনার ঘরেই দিলে।


আচ্ছা কত কি কথা হলো

কত সময় কেটে গেলো।

আমাকে কেমন বুঝলে?

কিছুকি মনে করলে?


সাদাসিধা মোটামুটি 

ভাষায় লিখে ফেলি

তোমার জন্যে কলম

আমার নেই তো একটু খালি


আমি জানি এসব কথা 

লাগে না তেমন ভালো।

তবু মনের গভীর থেকে

দিচ্ছি একটু আলো


ভালো খারাপ বুঝি না সোনা

লিখে ফেলি নিজে।

কার যে কেমনে ভাব

মন যাচ্ছে ভিজে।


ওকি ফুল ঘুমালে নাকি?

ঘুমিও না আর।

একটু দেখো চেয়ে আছে

বসন্ত বাহার।


সকালের বাতাস কি

লেগেছে তোমার গায়?

শুদ্ধ বাতাস যেন

তোমার স্নেহ পায়।



আমি তো ব্যর্থ প্রেমিক

হারালাম সব।

তোমায় মনে ধরতে গিয়ে

হলো কলরব।


বেশ বেশ নাই বা  দিলে 

তোমার মনের প্রেম।

তোমার কাছে মনে হল

এটাই বুঝি গেম।


ভুল টুল কিছু নয়

মনে রাখা একটু ভয়

এই ছিল প্রেম গাথা

সেটাই হল জয়।


দেহ বিনা প্রেম নেই

বিশ্ব ভুবন জোড়া।

তুমি কেন মন নিয়ে

করছ কাটা ছেঁড়া।


সবুর করো সবুর করো

বাজছে বাঁশি।

রাধা যাবে যমুনায় 

হাসি হাসি।


হে দেবী জাগো 

অপেক্ষায় আছে 

সকালের আলো।

সুপ্রভাত বলে যাবে

ভোরের বাতাস

ওঠো ওঠো সোনা রোদ

ভোর হয়ে গেলো।




আমি প্রেমে পড়তে চাই

যদি ভালো কবিতা পাই

কবিতা নেই 

প্রেম ও নেই 

বিরহের বাজনা বাজাই।



Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ