অবেলায়
একি !
তুমি এই অবেলায়!
আমার মনের উঠোনে।
হৃদয়ের জানালা ধরে দাঁড়িয়ে কেন?
পরনের শাড়িটা তো বেশ।
বেগমপুরী না বেনারসি?
বেশ মানিয়েছে তোমাকে ।
এত সাজুগুজু কেন?
তুমি কিন্তু-
সেই খুকুটি আর নেই।
অনেকদিন দেখিনি তোমাকে,
তাই ভাবলাম,যাই একটা নতুন শাড়ি পরে।
যদি তোমার সাহস হয়, কিছু বলার।
তাই বোধ হয়,এত ভালো লাগছে তোমাকে।
ভারি মিষ্টি,ভারি সুন্দর দেখাচ্ছে তোমায়।
লাজুক মুখে ফুটেছে,ভোরের রোদ।
শান্ত পাখির মতো মধুর সুরে -
চোখের ওপর চোখ রেখে দেখো,
দেখো একবার,দেখি কেমন করে পারো,
কি পারছো নাতো?
পারবে না ও হৃদয়ে কোন ভালোবাসা ছিল না।
থমকে যায় জীবনের স্রোত।
জানালা ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে ,
ভাবতে থাকি,
শ্রাবণধারা নেমে আসে চোখে ।
বুকের বাঁ পাশে যন্ত্রণা লুকিয়ে
আবার এসে বলি,
ভালো আছো তুমি?
অতিথি আপ্যায়নে -
ভারাক্রান্ত হাসিতে নিজেকে নিয়োজিত করি।
বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে
সন্ধ্যা প্রদীপ দিয়ে দেখি তোমার মুখ।
তুমি প্রদীপের মতো উজ্জ্বল,
তুমি ভালো থেকো পারমিতা।
বৈপরীত্য উপত্যকায় জীবনের আনাগোনা,
কখনও স্থায়ী কখনও অস্থায়ীরূপ।
জীবনের আঙ্গিকে অবিষ্ট,
মুক্ত দৃষ্টিতে জীবন দেখি-
উপত্যকার অভ্যন্তর-
দিতে চাই মন-
জীবন উপত্যকায়।
Comments
Post a Comment