প্রফুল্ল চাকি

২রা মে, ১৯০৮ মোকামা স্টেশনে নিজেকে শহীদ করেন প্রফুল্ল চাকী! তারপর কী হল জানেন! তার মাথাটা কেটে পাঠিয়ে দেওয়া হল কলকাতা! কুখ্যাত বিপ্লবীকে জ্যান্ত  ধরতে পারিনি তো কী? মাথাটাই ট্রফি! মাথা নোয়াবে না যদি কেটেই নেব...

প্রথমে লর্ড সিনহা রায় রোডের আই বি অফিসের পিছনের বাগানে, তারপর লালবাজারের রেকর্ড রুমে ঠাঁই হল মহান বিপ্লবীর উন্নত শিরের! 

মজফফরপুরের সেদিনের ঘটনার পর, ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী দুই ভিন্ন পথ নিয়েছিলেন। সমস্তিপুরের পথ ধরে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন প্রফুল্ল। মাত্রই বছর কুড়ির যুবক! তার উপর এত বড় একটি ঘটনা!  চেহারার মধ্যে অস্থিরতা ছিলই। ট্রেনের কামরায় দুঁদে অফিসার নন্দলাল ব্যানার্জি সন্দেহ করে চিনে ফেলেন প্রফুল্লকে। কিন্তু বিপ্লবী কখনও মাথা নোয়ায় না, তিনিও নোয়াননি। নিজের পিস্তলের গুলিতে নিজের প্রাণ দিলেন তিনি! 

ব্যর্থ পুলিশ অফিসার নিজের জয়ের দম্ভ দেখাতে মৃত মানুষের মাথা কেটে পাঠালেন গোয়েন্দা দপ্তরে! ক্ষুদিরামকে দিয়ে চিহ্নিত করানো হয়। তারপর শোনা যায়, আর দেখা যায়নি খুলিটি!
হয়তো,  আজও প্রফুল্ল হয়তো খুঁজে বেড়াচ্ছেন তার সেই দৃঢ, বলিষ্ঠ শিরটি! কিন্তু আফসোস আমরা অনেক আগেই নিজেদের মাথা নুইয়ে ফেলেছি। আমাদের মাথা থেকেও নেই। 

আসুন না, প্রয়াণ দিবসে ঝুঁকে যাওয়া, কম্প্রোমাইজড মাথা উঁচু করে শ্রদ্ধা জানাই একটুকু...

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ