অপেক্ষা
অপেক্ষা
দেবপ্রসাদ জানা
হ্যাঁ আর একটু অপেক্ষা করো
ভগবান আসছেন-
কল্কি অবতারে।
সকলের দুঃখ কষ্ট অভিযোগ,
যদিও আময় চিনব না তাকে,
পাপের ঘড়া এত ভরে ফেলেছি যে
অন্ধকার থাকতে থাকতে,
উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে -
এক আশ্চর্য হিম অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে,
এ সাধের পৃথিবী।
সেই মহাভারতে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের শেষে
রাজা পরীক্ষিতের মৃত্যুর পর -
কলি এসেছিল, নীল পালকে বসে-
উড়তে উড়তে।
যেন কিশোরীর শরীরে একটু একটু করে,
ফুটে ওঠা নম্র কুসুমকলির অমল আভাস।
প্রতিটি দিন সোঁদামাটির নাভি জুড়ে,
তার অপরূপ পালকে স্থাপত্য।
সেই মিথুন মুদ্রার সোহাগী জ্যামিতি-
পৃথিবী জুড়ে কুয়াশাচ্ছন্ন মোহময় তার,
মায়াবী অবয়ব।
আলোর অবকাশে অবলীলায়িত অবৈধ
সম্পর্কের নানারঙের উদোম।
চুপি চুপি একদিন নিশ্চয়ই সেই অনাকাঙ্ক্ষিত
অবতার অবতরণ করবেন,
পোয়াতি রাতের পেট খসিয়ে,
নবনির্মাণে নব উদ্যোগে নীলপালকের পিঠে চড়ে,
অপেক্ষা করো সে আসছে,
বিস্ফোরণের সঙ্গে, সূর্যের গায়ে আগুন লেগেছে,
ডাকাতিয়া বাতাসের তরণী বেয়ে সে আসছে।
ঝিঁঝি পোকারা ডাক দেয়া বন্ধ করেছে।
বর্ষার ব্যাঙেরা আর ডাকে না।
সাপের গায়ে খোলশ ওঠা বন্ধ, বংশ লোপ পাচ্ছে
এক একটা প্রাণীর।
জোনাকির পেট চিরে আলো আসে না আর।
রাতের আঁধারে নরখাদকেরা নারী মাংস খুঁজে নিচ্ছে।
যেদিন মাতৃঋণ শোধ হবে মাতৃহরণে, সেইদিনই
সে আসবে ওই সূর্যের জ্বলন্ত লাভার পেট চিরে।
অপেক্ষা করো।
Comments
Post a Comment