চার্লি চ্যাপলিন
শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে একটি ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেনঃ
তুই বল আমাদের শরীরে ক'টা কিডনি আছে ? ছেলেটি চটজলদি উত্তর দিলঃ
চারটে কিডনি স্যার।
ছাত্রটির উত্তর শুনে ক্লাসের বাকি ছাত্ররা হো হো করে হেসে উঠলো।
শিক্ষক বললেন তোমরা হাসি থামাও।
তারপর অপর একটি ছাত্রকে বললেনঃ
এবার তুই দাঁড়া।
ছাত্রটি জিজ্ঞেস করলঃ
স্যার কটা কিডনি আছে বলব, নাকি বেত আনবো?
শিক্ষক বললেনঃ
না কটা কিডনি আছে বলতে হবে না, বেতও আনতে হবে না, তুই কিছু ঘাস নিয়ে আয়। একদম তাজা ঘাস।
ছাত্রঃ
ঘাস দিয়ে কি হবে স্যার?
শিক্ষকঃ
ক্লাসে একটা গাধা আছে তাকে খাওয়াবো।
এই কথা শুনে আগের ছাত্রটি বললঃ
যাও ঘাস নিয়ে এসো, সেই সঙ্গে এক কাপ কফি ও আনবে।
শিক্ষক রেগে, কফি আনবে কেন, কফি কে খাবে? ছাত্রটির উত্তরঃ
স্যার! কফি খাবো আমি, আর যে গাধা সে ঘাস খাবে।
শিক্ষকঃ
তাহলে গাধাকে ?
ছাত্রঃ
স্যার আপনি জিজ্ঞেস করেছিলেন আমাদের কটা কিডনি আছে ?
আমার আর আপনার মিলিয়ে তো চারটেই কিডনি আছে। তাহলে আমি নিশ্চয়ই গাধা নই। শিক্ষক রেগেঃ
তুই খুব বেশি বুঝিস, যারা বেশি বোঝে পরীক্ষায় তাদের আমি শূন্য দেই। অতএব তুইও একটা নয় দুটো শূন্য পাবি।
ছাত্রটির উত্তরঃ
পরীক্ষায় আমাকে দুটো শূন্য দিলে আপনারই ক্ষতি হবে স্যার! সবাই বলবে আপনার ছাত্র ডাবল গোল্লা পেয়েছে। এতে আপনারই বদনাম হবে, আপনাকে সবাই চেনে, আমাকে তো কেউ চেনে না।
ক্লাসে একটা হাসির রোল উঠলো। পরীক্ষা শেষে ওই শিক্ষক ছাত্রটির খাতায় একটা নোট লিখেছিলেনঃ
তুই প্রতিদিন ক্লাসে যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিস এবং বুদ্ধি দিয়ে সবাইকে হাসাস, তাতে আমার বিশ্বাস একদিন আমাকে হয়তো কেউ চিনবে না। তবে তোকে সারা পৃথিবীর মানুষ অবশ্যই চিনবে। আমি তোর জন্য এই খাতায় আশীর্বাদ রেখে গেলাম।
সেদিনের সেই শিক্ষকের আশীর্বাদ পরবর্তীতে সত্যি হয়েছিল। ওই ছাত্রটি ছিলেন চার্লি চাপলিন। যাকে পৃথিবীর প্রায় সব মানুষই চেনে।
সংগৃহীত।
Comments
Post a Comment