আগুনের ফুলকি

আগুনের ফুলকি
দেবপ্রসাদ জানা

ততক্ষণে লড়াই হয়েছে-
আমি তখন একটা কাঠ পাতার ঘরে,
নিজেকে লুকিয়ে রেখেছি
সকালের সোনালী রশ্মির মত- 
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত চুঁইয়ে পড়ছে,
বন্ধ আদালতে অপরাধীর বিচার সভা।
বোমার আঘাতে ভেঙ্গে গেছে আদালতে কাঠগড়া।
শহরের গেট বন্ধ হয়েছে, 
দুঃখে মোমের চোখে জল, 
হাহাকার করছে জনতা,
রাতের কারফুর ধাক্কায় শহর নিঃস্তব্ধ।
মেয়েটা এসেছিল ব্যাণ্ডেজ হাতে।
এখন সেই ব্যাণ্ডেজে মোড়া দেহ- তিলোত্তমা।
ফিরে আসতে মাঝরাতে, তার সাদা অ্যাপ্রনে
রক্তের রক্তিম বর্ণালী চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে 
সন্ধ্যাবেলার রোদ,
এক চিলতে পথ, যার পথে চোখ মেলে রয়েছে
ফিরে আসেনি তিলোত্তমা-
আদরের হাতটা দেয়নি বৃদ্ধা রোগীর গায়ে,
বলেনি ভয় কি ঠাকুমা ঠিক হয়ে যাবে আমি তো আছি।
 আক্রমণকারী রাইফেলে নয়
বোমার আঘাতে ভেঙ্গে দিয়েছে সব
বোমার টুকরো-শত শত রক্তের ফোঁটার মত,
হাসপাতালের আনাচে কানাচে- 
বিচার হইনি এখন বন্ধ আদালতের দরজা।
দোষী কই? সেতো নেই প্রমানও নেই হাতে,
সবাই সব জানে, কাঠ পাতার কুঁড়ে ঘরে লুকিয়ে 
প্রতিবাদের ভাষা, "উই ওয়ান্ট জাষ্টিস"
আতঙ্ক পা টিপে টিপে হাঁটতে থাকবে প্রতিদিন।
লুকিয়ে পড়বে কোনো জঙ্গলে, 
নইলে কাঠপাতার ঘরে।
সবাই জানে সব, যে কলম হাতে -
যার হাতে বল্লম, 
যার কাছে চারশ পাতার চার্যসিট
সেইও -

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ