জোছনা
জোছনা
স্বর্ণহংস জাতক
না গত ষোলো বছরে প্রদীপ জ্বলেনি তার ঘরে
আলোর রোশনাই যখন শহর জুড়ে
তার ঘরের ভাঙা জানালা গলে
এক টুকরো আলো আসেনি।
একটা বাতি চাই,
যে চাঁদ আলো ঢালে,
সেই চাঁদও উঠেনি আজ,
তার নাকি উঠতে মানা, কটা দিন,
জোছনার বয়স যে সবে ষোলো,
হৃদয় জোড়া ভালোবাসার মৌচাক।
অথচ তার মনের মৌচাকে এখনো একটুও মধু আসেনি।
বসেনি মৌমাছি।
এখনো মনের মৌচাকে শূন্যতা।
প্রেমের কামড় চায় মন।
অন্ধকারে প্রেমের পোকা গুলোর উৎপাত
হিমেল বাতাস আর কামনার জ্বালা।
দেহের প্রতিটা কোষ প্রেমের ক্ষুধায় কাতর।
মনের ফাগুন উষ্ণতা চায়
পেটে হাজার ক্ষুধা, তবুও
যৌবন খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কয়েক টুকরো
ভালোবাসার পোড়া কাঠ মজুত করেছে
আর এক বাণ্ডিল আগুন।
এক উচ্চবংশে জন্ম তার,
জীবনটা কাটিয়ে দিলে হতদরিদ্রতার আঁধারে।
স্বপ্ন ছিল তার আকাশছোঁয়া।
বন্ধনহীন সম্পর্কের মাঝে এক ক্ষুধার বন্ধন।
দেহের কোটরে কোটরে যৌবন
মনের গভীরে ভরা ভালোবাসা-
অন্ধকারে আলো ছড়িয়ে দিবে।
হাহাকার আর আকাঙ্ক্ষা -
প্রশান্তির বদলে নিয়ে আসবে অপমান—
এতো বেদনার ভেতর দিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া।
রাতে ছারপোকার কামড়ের মতো যৌবন কামড়ায়,
ক্ষুধার তাড়নায় বিষন্নতা, সংসারে টানাটানি
হৃদয়ে প্রেম ছিল অফুরন্ত।
একজন সুদর্শন পুরুষের, অবহেলিত প্রেম
আরো আরো গভীরতায় অবিশ্বাস্যভাবে,
প্রহেলিকা লুকিয়ে আছে প্রেম।
পৃথিবীর পুরোনো কোনো বাসনা তার গভীর মনে
এই অন্ধকারে বাসা বেঁধে যায়।
যে জানলার পাশে মাকড়সা জাল বেঁধে ক্ষুধার
পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়,
প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন
মরে যেতে হয়"
Comments
Post a Comment