আলোর বসন্ত
আলোর বসন্ত
দেবপ্রসাদ
১
রাত্রির কাছে কি দিন পরাজিত ভূল।
আছে আলোর বসন্ত, কুসুম রঙিন।
আছে পদদলিতের ছিন্ন মুক্তি ফুল।
বায়ু সেও মৃদু মৃদু বহে, রাত্রি দিন।
যেথা লজ্জা-পুষ্পগন্ধ চুরি করে যায়।
সরোবরে স্নান করে, যেথায় সুন্দরী।
বসে বাতায়নোপরে, গ্রীষ্মের জ্বালায়।
নীল আকাশের থেকে মন চুরি করি।
মেঘবালিকারে ধরি, মুখো চুম্বি তার।
অঞ্চল চঞ্চল করি, স্নিগ্ধ করি কায়।
আলোর পৃথিবী তবে মুক্ত করে ভার।
এমন আঁধার তারে, কেমনে ভুলায়?
বনে বনে কারা যেন, বাজায় বাঁশরী।
বাজে মোহন বাঁশীতে, সুরের লহরী।
২
উঃ ফুল গুলো যে সব কাঁটা হয়ে গেল।
কার গুণে, বৃন্দাবনে, বৃন্দাবনেশ্বরী।
ওরে ছল করে জল, কে যে নিতে এলো।
নিশীথ ফুলে উজল, কানন বল্লরী।
কার মাঝে বাজিতেছ বংশী রূপ ধরি।
কুয়াশার আড়ালে কে দাঁড়িয়েছ প্রিয়ে।
কুটিল রাত্রিরা ঘোরে দিন রূপ ধরি।
ফুলের শয্যায় কেন, রাত্রি আছে শুয়ে।
বিশ্বস্ত বন্ধুর হাত, ঘাতকের হাত।
রক্ত মাখা হাতে যার, গোলাপের কুঁড়ি।
জড়িয়ে রয়েছে স্নেহে এক মুঠো ভাত।
বিক্ষত বুকের টান, হাঁটে গুড়ি গুড়ি।
আদরের স্পর্শ নিতে, এক মুঠো রাত।
পাঁজরের পোড়া ছাই, হয়েছ বরাত।
Comments
Post a Comment