সরস্বতী দেবী

 সরস্বতী দেবী

দেবপ্রসাদ জানা


দ্বিভূজা,শ্বেতবরণী,শ্বেতাম্বরা নারী

হে শ্বেতদল বাসিনী,বিদ্যেধরী মাতা।

শ্বেত হংসবিহারিণী,বীণা হস্তধারী।

পুস্তক-হস্তে প্রথিত,ব্রহ্মার দুহিতা।


কমলধারিণী দীপ্তি,কৌমুদী চন্দ্রিকা।

জয় জয় সরস্বতী,বাগ্দেবী সারদা।

হে কুচযুগশোভিত,কামিনী ঝটিকা।

শুভ্র সরসিজ হস্তে, ভামিনী নর্মদা।


প্রকৃতি ভারতী বাণী,গলে মুক্তাহার।

হে বীণা পুস্তকধারী,বসি পদ্মাসনে।

ভগবতী মহাশ্বেতা, দেবী বিদ্যাধার।

জ্ঞান দাও ধৈর্য্য দাও,শব্দ দাও মনে।


বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী,করি পত্রাঞ্জলি

বুদ্ধি দাও,শিক্ষা দাও,করো শক্তিশালী।


***


সরস্বতী পুরাণ অনুযায়ী, হিন্দু ধর্মের প্রধান তিন দেবতার একজন হলেন ব্রহ্মা। সরস্বতী ব্রহ্মার মেয়ে পরে তার বাবারই স্ত্রী। সরস্বতী পুরাণে তার জন্ম নিয়ে দুই ধরনের গল্প রয়েছে, একটি হল, ব্রহ্মা নিজেই জীবনীশক্তি বা বীর্য থেকে সরাসরি সরস্বতীর জন্ম দেয়। অন্যটি হল- ব্রহ্মার বীর্য থেকে অগস্ত নামে এক ঋষির জন্ম হয়, সেই ঋষি পরে সরস্বতীর জন্ম দেয়। ব্রহ্মার মেয়ে মতান্তরে নাতনী, বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী হিন্দুদেবী। 

সরস্বতীর রূপ দেখে ব্রহ্মা আর নিজেকে সামলাতে পারেনি, বাবা বা ঠাকুরদাদা ব্রহ্মা। ঠাকুরদার হাত থেকে বাঁচার জন্য সরস্বতী বিশ্বচরাচরে পালিয়ে বেড়াতেন, শেষ অব্দি ব্রহ্মার লালসার কাছে তাকে আত্নসমর্পন করতে হয়।

ব্রহ্মা সরস্বতীর ওপর দৃষ্টি রাখতে পাঁচটি মাথা উৎপন্ন হয়।

ব্রহ্মা ও সরস্বতী ১০০ বছর ধরে স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেছিল। 

তাদের স্বয়ম্ভুমরু নামে একটি ছেলে ও শতরূপা নামে একটি মেয়ে সন্তান হয়। 

স্বয়ম্ভুমরু তার বোন শতরূপাকে বিয়ে করে ফলে ব্রহ্মা ও সরস্বতীর দুই নাতি ও দুই নাতনীর জন্ম হয়।

ব্রহ্মার এই অপরাধে শিব তার একটি মস্তক ছেদন করেন। এবং অভিশাপ দেন যে পৃথিবীতে কেউ তার পূজা করবে না। 

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ