জোছনার আলো
জোছনার আলো
শিশু জোছনারা মাঠে ,দিচ্ছে হাতছানি
বসে আছি সূর্যগঙ্গার বাঁধানো ঘাটে।
তোমার নামটা ঠিক কবিতার মতো না,
তাই বদলে নিলাম আমি।
নীলা বসে আমার পাশে।
পুকুরের কলমী লতা গুলো,
বলল, জোছনাকে,ভালোবাসি তোমায়।
আমি তার হাতটা নিয়ে হাতে,বললাম-
নীলা,একবার বলো।
কি বলবে নীলা? কোথায় তার হাসি?
জোছনা রাতে,এই সূর্যগঙ্গার ঘাটে,
ভেবেছিল বলবে কথাটা।
বলতে পারেনি -
জোছনালোকিত স্নিগ্ধ রজনী
নীলা আমার পাশে।
মেঘের পরে মেঘ,
মাঠের পরে বন,ঘন জঙ্গল।
কোথাও কেউ নেই।
শুধু ঝিরিঝিরি বাতাসের স্পর্শ।
হাতে হাত রেখে নীলা বলল,
আমি তোমাকে ভালোবাসি।
এই ভাবেই ত্রিশ বছর চলে গেল,
নীলা আর এলো না।
আজ আমি বড় একা।
একাকীত্ব আর নিসঙ্গতা
আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।
কাঁচের দেয়ালের মতো সে প্রেম
বালুচরে লেখা দু'টি নাম,
আজ আর নেই।
জানি, নীলা, আমি সব জানি,
তুমি সেই দিনের স্মৃতি ভুলে
ভালই আছো বহুদূরে।
আর আমি------
এই তো বেশ আছি।
অপেক্ষা করো,
আগামীকাল তোমার কাছে
হয়তো বা আমার মৃত্যুর খবর
যথারীতি পৌঁছে যাবে।
ভাল থেকো কষ্টের সীমানায়।।
Comments
Post a Comment