শৈশব

শৈশব
দেবপ্রসাদ জানা

শৈশব জানে -- উল্লাস 
খেলার মাঠে চিৎকার, গায়ে গায় লাগিয়ে
ফুটবলে কিক্, সিক্ চাকায় দারুণ স্পিড
মার্বেল গুলির টক্কর, মেলায় বাঁশিতে ফুঁ-
নতুন জামার গন্ধে নতুন উৎসব।
শৈশব জানে - বইয়ের পাতার গন্ধ
হাত বাড়িয়ে কচি পেয়ারায় কামড় -
ই-ই-ই কষ্টি-
স্কুলে টিফিন নিয়ে লড়াই 
ঘন্টা পড়লেই ছুট খেলার মাঠে।
ঢেউয়ে ঢেউয়ে পা ফেলে এগোনো
কি ভীষণ আনন্দে ছিল শৈশব।
হাতে ঠাকুর বানিয়ে সরস্বতী পুজো।
চাঁদা তোলার ধুম, একটাকা পঞ্চাশ পয়সা।
একটাকা দিলে অনেক।
না দিলে গাছের ফুল, লেবু গাছে হানা-
বাইরে লাগানো বাল্ব -
সকালের পাখিরা জেগে উঠতো
মহালয়ার ভোরে হাতে ক্যাপ পিস্তল-
সে এক অদ্ভুত সুরের সঙ্গে আনন্দের হাসি,
শৈশব জানে- হাসতে
আজ ঝগড়া কাল বন্ধুত্ব,
এখানে বিচ্ছেদের কষ্ট নেই
এখানে বেদনা নেই, এখানে শুধুই খুশি।
ভোরের বেলা মায়ের ডাক
পড়তে বসার তাড়া, কান ধরে উঠবোস।
নেলডাউন, কানমোলা, গাঁট্টা।
শৈশব জানে - ভালোবাসতে।
বৃষ্টি ভেজা মাথায় মায়ের আঁচলের ছোঁয়া।
সব শৈশব জানে -

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ