শান্তি
শান্তি
দেবপ্রসাদ জানা
অগ্নিময় পৃথিবীতে হিংস্র উন্মত্ত সূর্যের ঝলকানি।
নির্মম উত্তাপে পৃথিবীর দেহ, পুড়ে ছাই।
বুকের উপর পাষাণের ভার,
জনে জনে কটূক্তি, আরো ক্রুদ্ধ ধরণী।
আগুনের আভায় বিপর্যস্ত নিস্তব্ধ দুপুরে-
খালবিল নদীনালায় পড়ন্ত বিকেলের
সূর্য পরিশ্রান্ত হয়ে ঘুমোতে গেলেও স্বস্তি নেই,
অসহনীয় উত্তাপে জ্বলছে পুড়ছে মেঘবালিকারা।
একলা চাতকের উর্ধ্বপানে তাকিয়ে থাকা।
মাঠের ফসলে অকাল পক্কতা,
চাষীর মুখ অসভ্য ভাষায় অনবরত তিক্ত।
তৃষ্ণার্ত পাখিরা, পিপাসার্ত পশুরা,
ফুটপাতের ধুলিকণা, তারাও ছাড়ছে না-
গালমন্দ করছে অনবরত,
তবু ধরণী একটুও রাগ করেনি।
নীল আকাশটায় অল্প মেঘের জন্ম হয়,
পৃথিবীর বুকে তখন শূন্যতার মরীচিকা।
ঘূর্ণি বাতাসে শিশু মেঘেরা এলো ঝড় বেশে,
ঝঞ্চা ছোটে সারা দেশে নিষ্ক্রান্ত হলো পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ।
ভেঙে পড়লো আকাশ, আক্রান্ত পৃথিবী
একবারও বলবে না থামো,
শিলাবর্ষণ আর বজ্রনির্ঘোষ ক্ষতগুলো,
হাঁ করে খেতে এলো, ক্ষেতের ফসল গুলো,
আঘাতের পর আঘাতে ক্ষতবীক্ষত ভূমি,
অস্পষ্ট উদ্বেগে কটূবাক্যে পীড়িত,
তবু দেখো মাতৃসম ধরণী শান্তি দিতে-
একবারও ভুল করেনি।
Comments
Post a Comment