তারপর
তারপর
দেবপ্রসাদ জানা
তারপর হঠাৎ বসন্ত চলে গেল!
কোথায় গেল জানি না তখনো-
বসন্তকে ডেকে কালোমতি কোকিলের,
গলা গেছে ভেঙে।
পচা হেমন্তের মাঝখানে, সে এক ভীষণ কাণ্ড।
উজ্জ্বল সুন্দর বসন্ত ম্রিয়মান দুর্গত স্বর্গের
পথ খুঁজে, পাহাড় পর্বত পেরিয়ে উত্তরে-
অগ্রদূতের মতো, সেই হলুদ বসন্ত, লাল হয়ে
এক রক্তিম প্রত্যুষে উদয় হল বিষণ্ণ আকাশে, ঝকমকে লাল সূর্য,
তার রশ্মি তরোয়ালের মত মেঘপুঞ্জ ছিঁড়ে,
তীরের গতিতে সাগরকে ফালা ফালা করল।
কুয়াশার শবাচ্ছাদনে সমুদ্র রক্তাক্ত হলো।
পৃথিবীর সমূদ্রগহ্বরে দীপ্তির মতো,
প্রকৃতির বেদীমূলে কোনো এক অজানা -
শাশ্বত উৎকর্ষসাধনে-শিখার মতো,
নিদ্রিত আলো-কে আকর্ষণ করল
সেই উদ্দীপ্ত রক্ত থেকে জন্ম নিলো,
রাঙা গোলাপ, লাল লাল ফুল, ফুটে উঠল।
মেঘের কান্নায়, কালো কাদায় বৃষ্টির হাসি।
জীবন ছিল বহতা জোয়ারে, জলের জঠরে।
জীবন আর মৃত্যু, ক্রোধ আর যন্ত্রণা।
তাদের অবিরাম হৃদয় নিয়ে খেলা,
হিম শূন্য অন্ধকারে।
বসন্ত হারিয়ে গেছিল কালের রুদ্ধতায়-
প্রমত্ত উৎসাহে অনন্ত ঘুমে একা....
Comments
Post a Comment