বন্দী

বন্দী ছিলো 

বুঝলে একজন ঘুমোচ্ছে 
আর সবাই জেগে আছে, 
কারো চোখে জল কেউ 
মৃত স্তুপের লাইন অন্ধকারে 
 বন্দী ছিলো বন্ধ দুয়ার  
 ভয় থমথম ঘরের মাঝে।  
 শহর জুড়ে কারফ্যু তার কাফন ছড়ায়  
 সেই কাফনে বন্দী ছিলো।  
 ওরা তখন মন্ত্রপুত মশাল নিয়ে নামলো পথে  
 মৃতের স্তুপে ফোটালো ফুল  
 নতুন প্রাণে গাঁথলো নতুন দীপাবলি।  
 আগুন জ্বলে। জ্বলতে থাকে পাশব আঁধার  
 গ্রাম নগরে রাত পেরিয়ে, রাত পেরিয়ে  
 রাত পেরিয়ে সূর্য নামের বলয়  তখন দেখি  
 আলোর মুকুট মাথায় পরে  ভুবন জুড়ে বাইরে এলো বন্দিনী মা বাংলা আমার  
 স্বদেশ আমার। 
জো, তুমি আমাকে চিনবে না। আমি তোমারই মতো 
 একজন কালো মানুষ গলার সবচেয়ে 
 উঁচু পর্দায় গাইছি সেতুবন্ধের গান, যে গানে 
 তোমার দিলখোলা সুরও লাগছে। 
 জো, যখন ওরা তোমার চামড়ায় জ্বালা-ধরানো 
 সপাং সপাং চাবুক মারে আর 
 হো হো করে হেসে ওঠে, 
 যখন ওরা বুটজুতোমোড়া পায়ে মারে তোমাকে, 
 তখন ধূলায় মুখ থুবড়ে পড়ে মানবতা। 
 জো, যখন ওরা তোমাকে 
 হাত পা বেঁধে নির্জন রাস্তায় গার্বেজ ক্যানের পাশে 
 ফেলে রাখে, তখন ক্ষ্যাপাটে অন্ধকারে 
 ভবিষ্যৎ কাতরাতে থাকে 
 গা’ ঝাড়া দিয়ে ওঠার জন্যে। 
 যদিও আমি তোমাকে কখনো দেখিনি জো, 
 তবু বাইবেলের কালো অক্ষরের মতো তোমারদুফোঁটা চোখ 
 তোমার বেদনার্ত মুখ বারংবার 
 ভেসে ওঠে আমার হৃদয়ে, তোমার বেদনা 
 এশিয়া, আফ্রিকা আর লাতিন আমেরিকায় ব্যাপ্ত, জো। 

===========

  
====== 

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ