বীরগাথা

বীরগাথা

হে বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দজি 
সত্যসন্ধানী পূণ্যাত্মা, প্রতীকস্বরুপ 
প্রখর অনাসক্তির, মহাবীজ তুমি
নিত্যসিদ্ধি নরঋষি শুদ্ধসত্যগুণী 
মহা-তপস্বী অমৃতে, বৈরাগ্য সন্তান। 
দিব্যদ্রষ্টা জ্যোতির্ময়, হে মুক্তপুরুষ 
অপূর্ব তোমার প্রেম, প্রেমপরায়ণ-
সত্য শুদ্ধভক্ত তুমি, মহান তেজস্বী- 
প্রভু ঘটিয়েছিলে আমিত্বের মৃত্যু
অক্লান্ত বেদান্তচর্চা জপ-ধ্যান জ্ঞান
সহ তুরঙ্গম স্রোতে,নিখাদ বৈরাগ্যে। 
মেধাশক্তি  মহামন্ত্রে, গভীরতা হতে 
উপনিষদের রসে, জারিত স্বপ্নকে 
ভারতবর্ষে উদ্বুদ্ধ করেছো স্বামীজী।


তিনি বলেছেন, আমি মুক্তি চাই না, যতদিন দেশের একটি কুকুর পর্যন্ত অভুক্ত থাকবে। মুক্তি চাওয়া তো কাপুরুষের কাজ। তিনি ছিলেন সুরের আগুনের পরশমণি। তার কণ্ঠে গান শুনে ঠাকুর মোহিত হয়েছিলেন। কণ্ঠে যাদু, গম্ভীর সুরেলানাদ বড়ো বড়ো ওস্তাদরাও হার মানে। কলকাতায় সবার মুখে মুখে গায়ক নরেন দত্ত-র নাম। তার অন্তরে বৈরাগ্য ছিল। তাই তো ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেখেছিলেন নরেনের ভিতর স্বত্বগুণী আঁধার। যার ভিতর নিরন্তর পূণ্যস্রোত বইছে, জন্ম থেকেই ধ্যানসিদ্ধ।

নরেন ছিলেন বিশ্বনাথ দত্ত আর ভুবনেশ্বরীর ষষ্ঠ সন্তান। স্বামীজী বলেছিলেন, আমার প্রেরণার মূল উৎস হলো গুরু, গীতা, গঙ্গা। 'গ'-ই আমার সমস্ত শক্তির উৎস। মাত্র তেইশ বছর বয়সে সন্ন্যাসধর্ম নিলেন মা ভুবনেশ্বরীর অনুমতি নিয়ে। ছোটোবেলা থেকে তার মধ্যে প্রবল প্রতাপ এক ঐশীশক্তির অলৌকিক ক্ষমতা ধীরে ধীরে আলোর সমুদ্রে ডুবতে থাকে।

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ