অপরাধ

অপরাধ 
দেবপ্রসাদ জানা

অনেকদিন দেখা হয়নি তোমার সাথে
কথা হয়নি কিছু।
বছরের পর বছর ঘুরে গেল,
কত বসন্ত চলে গেল,
একটা অবাধ্য চুম্বন, চিলে কোঠার ঘরে
জড়িয়ে ধরার অপরাধে-
পাথর যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল তোমাকে।
আমি হারিয়ে ছিলাম সেদিন,
কি অপরাধে?
তোমার আঁচলে ঢাকা মুখ,
মন-বেদনায় হারিয়ে যাওয়া হাসি,
সারাদিন গুমরে গুমরে চোখের জলে
প্রেম হারানোর কষ্ট,
আজও ভেসে ওঠে চোখের সামনে,
সবাইকে সঠিক পথে আনতে,
তোমার সেই রাতদিনের সাধনা-
এক লহমায় শেষ হয়ে গেল চোখের সামনে,
শুধু একটা চুম্বন, ভালোবাসার চুম্বন,
'বিচার দিলে, সময়কে -
যত আদরে তুমি শিখিয়েছিলে ভালোবাসা,
ঠিক ততটা অনাদরে হারিয়েছিলে,সম্মান।
কিন্তু তাতেও বাধা,
বোঝেনি কেউ তোমাকে, বুঝতে চায়নি
কোনো দায়িত্ব নেয়নি কেউ?
তুমিও দিতে পারেনি, সঠিক ব্যখ্যা। 
সমাজের আশীর্বাদ নিতে পারোনি,
বাধার দেওয়ার চেষ্টা করতে, 
যা ছিল অসম্ভব।
মানুষের উপর যখন ধ্বংস নেমে আসে,
তখন বিবেক মারা যায়।
প্রচণ্ড গর্জন করে, তার রূপ প্রকট করে,
দৈত্য জেগে ওঠে, 
ভগবান ক্রুদ্ধ হয়ে সাথ ছেড়ে দেয়,
এই দেখো, আমি তোমাকেই দোষ দিচ্ছি,
কেন জানো? 
আমার মধ্যেও পাপ নাড়া দেয়।
সূর্যের তাপ আছে, আমার মধ্যে, 
আমার মধ্যে বাতাসের ঝড় আছে,
আমার ভেতরে রাক্ষসেরা বাসা বেঁধেছিল,
ধ্বংস আমার মধ্যে-
তোলপাড় করে উঠেছিল নীরবে,
তুমি এসেছিলে আমায় বাঁধতে, 
মন যদি আমাকে বাঁধতে চায়, 
আগে বেঁধে দাও অসীম আকাশ।
নীরবতা সহ্য করা যায় না,
কখন আমাকে বেঁধে রাখতে পারবে?
ভালোর প্রতিশ্রুতি তুমি গ্রহণ করোনি, 
বন্ধুত্বের মূল্য চিনিয়ে ছিলে।
আর কোন অনুনয় নয়, যুদ্ধ শুরু হলো
বিজয় বা মৃত্যু হবেই।
বৃষ্টি হলো পৃথিবীতে, প্রবল বৃষ্টি,
সৌভাগ্য কেড়ে নিলো তোমাকে।
সভা নীরব, সবাই ভীত, 
অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলে তুমি।
আমিও, তোমার ওপরে আমার ছেড়ে দেওয়া দেহ।


Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ