Posts

Showing posts from 2025

সম্মাননা

অঙ্কুরীশা সাহিত্য পত্রিকা  তুলসী জানা স্মৃতি পুরষ্কার ২০২৫ প্রাপক: কবি   হে সাহিত্য সাধক "এ জীবন দান যাঁর  তাঁরে খুঁজি বারবার" ওই বুঝি তাঁর শান্ত পদ ধ্বনি বাজে। সাহিত্য যাঁর হৃদয়ে বসত করত দিবানিশি, বই যাঁর প্রাণ, জীবনের শেষ দিনটিতেও সঙ্গী ছিল মলাট বন্দী অমৃতের ভান্ডার, সেই সাহিত্য পিপাসু তুলসী জানা মহাশয়া, উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা অঞ্চলের এক উজ্জ্বল নাম।  বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির অঙ্গনে আপনার দৃপ্ত বিচরণ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আপনার কাব্যশৈলীর সৃজনশীলতার সেবাধর্ম  আমাদের ঋদ্ধ করে। 'অঙ্কুরীশা শারদ সংখ্যা২০২৫ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই পঞ্চম বর্ষে  আপনার অক্ষর সেবা সাধনাকে আমরা সম্মান জানাই। আপনার অসামান্য কলমদক্ষতার হাত ধরে বাংলা সাহিত্য এগিয়ে যাবে, এই  দৃঢ় প্রত্যয় রেখে আপনার এই সৃজনশীল হাতে তুলে দিলাম সেই সাহিত্য প্রেমীর নামাঙ্কিত এই পুরষ্কার।  সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে আপনার দায়বদ্ধতা এবং একাগ্রতার স্বীকৃতিকে সম্মান জানাতে পেরে  আমরা খুশি। আপনার সুস্থতা এবং দীর্ঘ কলমজীবন কামনা করি। অভিনন্দন সহ- বিদ্যুৎ দাস  দেবপ্রসাদ জানা  ...

হেম চন্দ্র কানুগো জাতীয় পতাকার জনক

তিনি বাংলার প্রথম বোমার কারিগর, ভারতের প্রথম পতাকা এঁকেছিলেন তিনিই, কিন্তু আজ সেই মানুষটাই ইতিহাসে উপেক্ষিত। বিস্মৃতি সরিয়ে ফিরে দেখা ❝অগ্নিযুগের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্য❞ হেমচন্দ্র কানুনগো.. ত্রিবর্ন রঞ্জিত পতাকা, গেরুয়া, সাদা, সবুজ। ভারতের জাতীয় পতাকা। কিন্তু এই ত্রিবর্ণ পতাকার প্রথম রূপ দিয়েছিলেন এক বাঙালি। কে মনে রেখেছেন হেমচন্দ্র কানুনগো কে? কেউ না। কেউ জানলই না মানুষটাকে। আসল নাম হেমচন্দ্র দাস কানুনগো। বিপ্লবী ভারতবর্ষের প্রথম জাতীয় পতাকার স্কেচ তৈরি করেন বিদেশের মাটি থেকে। সালটা ১৯০৭।জার্মানির স্টুয়ার্টগার্টে সেই পতাকা তুলে ধরেছিলেন ভিকাজী রুস্তম মাদাম কামা,একজন ভারতপ্রেমী স্বাধীনতা সংগ্রামী পার্সি মহিলা। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে বিশ্ব সোশালিস্ট কংগ্রেসের যে অধিবেশন হয় তাতে মাদাম ভিকাজি কামার সাথে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। হেমচন্দ্র চিত্রশিল্পী ছিলেন বলে, কথিত আছে মাদাম কামার অনুরোধে লাল,গেরুয়া ও সবুজ রঙের তেরঙ্গা পতাকা তৈরি করেন এবং ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের ২২ আগস্ট প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে মাদাম কামা সেই পতাকা উত্তোলন করে সারা বিশ্বে নজর কাড়েন। পতাকার মধ্যেও ছিল বি...

রামকৃষ্ণ

দক্ষিণেশ্বর সভায় শ্রীরামকৃষ্ণদেব তাঁকে ‘হেডমাস্টার’, ‘ইংলিশম্যান’ ইত্যাদি নানা নামে পরিচয় করিয়ে দিতেন। কখনও তাঁকে বলতেন, ‘মাস্টার’। উপেক্ষিত ও বিলম্বিত হয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের খরচেই ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত’ ছেপেছিলেন মাস্টারমশাই                  ✍️শংকর জমিদার, আইসিএস জজ, বিসিএস মুনশেফ সায়েব, উকিল, ব্যারিস্টার, ডাক্তার— কারা ভারতীয় মধ্যবিত্তের মুখ রক্ষা করলেন মানবসেবায়, এর উত্তর দিতে গেলে মনে পড়ে যায় এই শ্রেষ্ঠ সম্মান যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের নাম মাস্টারমশায়। এই শিক্ষকেরাই জাতীয় জীবনের নানা পর্যায়ে মধ্যবিত্ত ভারতীয়ের নিরন্তর সেবা করেছেন। এঁদের কেউ ‘মাস্টারদা’ নামে শাসকের অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে ফাঁসির মঞ্চে আরোহণ করেছেন, কেউ মন্দিরের অখ্যাত পুরোহিতের বাক্যসুধার দিনলিপি লিখে তাঁকে বিশ্ববন্দিত করেছেন, সেই সঙ্গে বিদেশিনি দিদি নিবেদিতা ও বিদেশিনি এন্টালির দিদিমণি মাদার টেরেজাকে যদি ধরেন, তা হলে মানতেই হবে, এঁরাই আমাদের মুকুটমণি। উৎসাহীরা এই তালিকায় যোগ করে দেন আর একজন মাস্টারকে, যাঁকে স্বয়ং বিদ্যাসাগর পদত্যাগপত্র পাঠাতে বাধ্য করেছিলেন। এই ...

7

অসলার সেই পরিস্থিতিটা বদলে দিলেন। তিনি ফুলের ব্যবস্থা করার থেকে শুরু করে হাসপাতালের দেওয়ালের রং হালকা আভাযুক্ত রঙে পরিবর্তিত করলেন। এবার তিনি রোগীদের দিকে ফিরলেন। তিনি তাদের খুব কম ওষুধ  দিতেন। কিন্তু প্রবল ভাবে আশাবাদী আশ্বাসের কথা বলতেন ।  যেটাতে মানসিক চাপ মুক্ত করত।এই সাইকোসোমাটিক চিকিৎসার ( এই সংজ্ঞা বর্তমানে বলা   হয়, সেসময়ে বই সংজ্ঞা কেউ কল্পনা করতে পারেনি।) ওষুধ দিতেন। তিনি একবার লিখেছিলেন লর্ডস বয়ং স্টে অ্যানে ডি বিউ প্রেতে, এই অলৌকিক পরিস্থিতি সত্যিই নির্ণায়ক ভাবে বাস্তবে পরিণত হয়। আমরা চিকিৎসকেরা একই ক্ষমতা বা শক্তি প্রতিদিন ব্যবহার করতাম। তা মৃতদের জাগিয়ে তুলতে পারত না, তা কোন নতুন চক্ষু বসিয়ে দিত না, বা একটা ভাঙ্গা হাড় কে জুড়ে দিত না। কিন্তু সুস্থ হয়ে ওঠার বিশ্বাস ও সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে তা পরিস্থিতি বিশেষে গুরুত্ব পূর্ণ হয়ে উঠত। মোস্ট্রেলের এক ডাক্তার তাঁর স্মৃতির কারণে বলেছিলেন, ম্যাকগিল এর চিরস্থায়ী দুরারোগ্য রোগীদের শয্যা খালি হতে শুরু করে, দুর্ঘটনার পরিবর্তে সুস্থ হয়। নতুন রোগীরাও অল্প সময়ে সুস্থ হয়। এই ধরণের শক্তিশালী চিকিৎসার নিদর্শ...

রক্ত

রক্ত দেবপ্রসাদ জানা আমি যখন জন্মেছিলাম- আমার একটা যমজ ভাই  আমার সঙ্গেই জন্মেছিল, যদিও  তাকে আমি দেখিনি কোনোদিন আমার বাবা বা আমার মা তাকে কোনোদিন প্রতিপালন করেনি, তাই বরাবর সে আমার ওপর আক্রোশ দেখিয়েছে, আমি তাকে চিৎকার করতে দেখেছি, আমি আমার রক্ত কে তার সামনে দুর্বল হতে দেখেছি - কাঁদতে দেখেছি!  চিৎকার করতে দেখেছি!  সে মহাক্রোশে আমার ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়েছে  দেহের প্রতিটা পাঁজরের তার হাহাকার দেখেছি..... দিন রাত্রির নিদারুণ রসিকতা দেখেছি! হাসপাতালে, পথে, ছাদের কার্নিশে- তোমাদের মিথ্যা সহানুভূতিও দেখেছি!  কতবার পড়েছি, ভেঙেছি, টুকরো হয়েছি - তবুও নিজের জন্য হারিনি!  হারিনি, আমি দম বন্ধ হওয়া পৃথিবীতে। লড়াই করেছি তার সাথে,  তার ক্ষতি কোনোদিন করিনি, করতে পারিনি। আমি জানি সে একদিন আমাকে হারিয়ে  শ্রেষ্ঠ হবে, জিতে নেবে সব। আমি তোমাদের মিথ্যা  সহানুভূতির কাছে- মিথ্যা ফাঁদের জালে - আজো আমি ছুটছি, লড়ছি,  স্বপ্ন দেখছি......বাঁচার স্বপ্ন, বেঁচে জেতার স্বপ্ন, হাহাকারহীন এক মুক্ত পৃথিবীর স্বপ্ন....! সে স্বপ্ন দেখে না, ক্ষিদে তৃষ্ণা তার নেই,  স...

নারী ও শেক্স

মেয়েদের যোনি পথের ২ থেকে ৩ ইঞ্চি গভীরে নারীদের জি -স্পট এর অস্তিত্ব। লিঙ্গ ছোট ও বড় এখানে কোন সমস্যাই নয়।মুলত এই স্পট ঘিরেই নারীদের পূর্ণ উত্তেজনা। যৌনতা কোন পাপ নয় , এটা একটি শারীরিক উত্তেজনা মাত্র। মনের ক্ষুধা, পেটের ক্ষুধা ও শরীরের ক্ষুধা এক হয়ে মিলিত হয় যৌন ক্ষুধায়। নারীর শরীরের এই জি - স্পটের আবিষ্কারক হচ্ছেন নারী চিকিৎসক গ্রাফেনবার্গ। নারীর যোনির ভেতরে দুই থেকে তিন ইঞ্চি গভীরের এই অংশ থেকেই নারীর কামরস নির্গত হয়।গ্রাফেনবার্গ আরও বলেছেন, রাত ১১ টা থেকে রাত একটা পর্যন্ত নারীর এই জি - স্পট সবচেয়ে বেশি উত্তেজক অবস্থায় থাকে।ওই জায়গার স্পর্শ পায় একমাত্র হাতের আঙ্গুল। নারীর এই জি - স্পটকে নিউরোলোজিস্টরা নারীদের সুখানুভূতির অনন্য কারণ বলেছেন।এই জি স্পটের সন্ধান পেলে আপনিই হবেন সেই নারীর ক্যাসানোভা ও ডন জুয়ান। জি - স্পট এর অস্তিত্ব ও নারীর বীর্যপাতের প্রমাণ না মিললেও ১৯৪০ সাল থেকেই এই জি স্পট নিয়ে গবেষণা করছে যৌন বিজ্ঞানীরা। মহিলাদের উত্তেজনার জন্য সাধারণ ক্লিটোরাল উদ্দীপনার প্রয়োজন হয়।ক্লিটোরাল স্টিম্যুলেশন নারীদের ভগাঙ্কুরের মুখে ঘর্ষণ ও ভেতরের ঘর্ষণ থেকেও হতে পারে। নারী...

শর্মিষ্ঠা নাটক

শর্মিষ্ঠা নাটক প্রথমাঙ্ক প্রথম গর্ভাঙ্ক হিমালয় পর্বত- দূরে ইন্দ্রপুরী অমরাবতী (দুইজন দৈত্য  যুদ্ধবেশে।) দৈত্য-১।  বলশালী দৈত্যরাজ পর্ব্বতপ্রদেশে তাঁর আদেশানুসারে ইন্দ্রপুরী দ্বারে  বাস কচ্যি বহুদিন গুপ্তচর বেশে । দিবারাত্র চোখ রাখি দেবতা নগরে। দৈত্য -২। ক্ষণকাল স্বচ্ছন্দে না থাকি, ভয়ে ভয়ে। দেবতারা যে কখন, কি করে, হঠাৎ। সহসা যদি নির্গত হয়, সৈন্য লয়ে। সংবাদ তার দিতে হবে তৎক্ষণাৎ। দৈত্য -১।  দৈত্যভূমি যে নিতান্ত রম্য রমণীয়। স্থানে স্থানে তরুশাখা বিহঙ্গমগণ । মধু-স্বরে গান করে; হই পুলকীয়। বিবিধ বনকুসুম বিকশিত বন। দৈত্য -২। শুধুই কি এই? আছে পুষ্প পারিজাত। মৃদু মন্দ পুষ্প ঘ্রাণ, পবন সঞ্চার। মধুর মধুর সুরে, কেটে যায় রাত। সঙ্গীত কর্ণকুহরে, শীতল বিহার। দৈত্য -১। কোথাও ভীষণ হিম হিংস্র সিংহ-নাদ,  কোথা ব্যাঘ্র মহিষাদি, ভয়ঙ্কর শব্দ,  পর্বতনিঃসৃতা নদী, প্রস্তরে বিবাদ। উচ্ছ্বাস ধ্বনি বাতাস করিতেছে জব্দ। দৈত্য -২। কি আশ্চর্য্য! এ স্থানের গুণে অবনত। স্বর্গের সুখে স্বজন, মুক্ত পরিবেশে। তবু কেন পাহারায়, থাকি অবিরত। অহো! কার কার যেন পদশব্দ ভাসে। দৈত্য -১। হ্যাঁ তাই তো কার...

মেরুদণ্ড

মেরুদণ্ডটা যদি তোমার স্পর্শে- খাড়া হয়ে ঝলসে ওঠে, শিল্প যাক, শিক্ষা যাক, চাকরি যদি যায় যাক। তৃণের মূল এখন বহু গভীরে  আমি মৃত্যুবরণের অঙ্গীকারে বদ্ধ হলাম,  এখন আমি দেখতে পাচ্ছি। বধ্য সবার এখন আমি মরণজয়ী তাইতো স্বাধীন ইচ্ছে দিয়ে আকাশটাকে সাজিয়ে নিলাম নষ্ট তারা ঝেড়ে ঝুড়ে নতুন তারার দীপান্বিতায় ঘুম্স্তা ঘুমায় নিশুতরাতের দরজা ভেঙে বাইরে এলাম এখন আমার সকাল হলো। পাথর চাপা আত্মাগুলো স্মৃতিস্তম্ভ শহীদ বেদীর বারণ ভেঙে স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণে আগুন ছড়ায় বলিভিয়ায় ভারতবর্ষে পাকিস্থানে গুয়েতেমালায় আফ্রিকাতে তোমার আগুন ছড়িয়ে দিয়ে ব্রিজ বেঁধে যাই ভাইয়ের চোখে বোনের চোখে আলোকিত চোখ রেখেছি ভালোবাসার মন্ত্র কাঁপে চোখের তারায় আধার মাণিক! ঘৃণায় পাষাণ স্মৃতির দিঘি-ঘটছে দ্রুত হাওয়ার বদল শব্দে ফোটে রক্ত কমল: ভালোবাসাই তোমার ভাষা! তোমার ভাষা কণ্ঠ জুড়ে গানের মতন শক্তিশালী এখন আমি মাইকোভস্কি এখন আমি পল রোবসন এখন আমার অনন্তকাল আকাশ জুড়ে উদ্ভাসিত। লেনিন সামনে দাড়িত পেছ তাড় বুঝে হী মল

রবীন্দ্র নজরুল

:- কে, নজরুল? বোসো। কখন এলে? - এই তো। স্তিমিত কন্ঠে বললেন নজরুল। :- তা গলাটা এরকম শোনাচ্ছে কেন? (রবীন্দ্রনাথ ঈষৎ বিস্মিত। নজরুল খুবই হুল্লোড়বাজ রগুড়ে মানুষ। আজ তো গলা শোনাই যাচ্ছে না!) কী ব্যাপার, কারোর শরীর-টরীর খারাপ নাকি! - আমার ছেলেটা কাল চলে গেল, গুরুদেব। ফুঁপিয়ে উঠলেন কাজী নজরুল। :- সে কী! চমকে উঠলেন রবীন্দ্রনাথ। ঊনসত্তর বছর বয়স তাঁর। এখন কি শুধু খারাপ খবর পাওয়ার জন্যেই বেঁচে থাকা? রবীন্দ্রনাথ মাঝে-মাঝেই একথা ভাবেন। চিকিৎসাশাস্ত্র একেবারেই অনুন্নত। বাঙালী পুরুষের গড় আয়ু মেরেকেটে চল্লিশ। নিজের অদ্ভুত ভালো স্বাস্থ্যের জন্য নিজেরই বিড়ম্বনা লাগে। খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে জিজ্ঞাসা করলেন, কী হয়েছিল? - বসন্ত। স্মল পক্স। :- কত বয়স হয়েছিল। তিন, না? - চার। আবার দীর্ঘক্ষণের নীরবতা। বাঙালীর দুই প্রাণের কবি। শব্দের দুই জাদুকর। আজ দুজনেই নীরব। একটু পরে রবীন্দ্রনাথই আবার নীরবতা ভাঙলেন, তোমার ছেলেটি বড় গুণের ছিল শুনেছিলাম। কী যেন নাম রেখেছিলে? - ভালো নাম অরিন্দম খালিদ। সবাই ডাকতাম বুলবুল বলে। :- হ্যাঁ, বুলবুল, বুলবুল। নিজের মনেই দুবার নামটা আওড়ালেন রবীন্দ্রনাথ। শুনেছিলাম তার নাকি অদ্ভুত স্মৃতিশ...

পুরুষ

পুরুষ হতে গেলে আকাশের মতো অসীম হতে হয়, বটবৃক্ষের মতো ছায়াময় হতে হয়, মনের মধ্যে সমুদ্রের গভীরতা রাখতে হয়, পাহাড়ের উচ্চতার মতো ধৈ'র্য ধরতে হয়; নীলকন্ঠের মতো সব বি'ষ নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়, চোখের জল বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখতে হয়; সখ - আহ্লাদ গুলোকে বাক্সবন্দী করে পরিবারের দ্বায়িত্ব পালন করতে হয়; নিজের হাজার স্বপ্ন বি'স'র্জ'ন দিয়ে ছোট ভাই-বোন কিংবা ছেলে-মেয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা হতে হয়; পুরুষ হতে গেলে কা'ন্না মিশিয়ে দিতে হয় বৃষ্টির জলে, পুরুষ হতে গেলে সুখ বি'স'র্জ'ন দিতে হয় হাসি মুখে, পুরুষ হতে গেলে নিজেকে পরিনত করতে হয় নারিকেলে। পুরুষ হচ্ছে গ্রীষ্মের কাঠ-ফাটা রোদ্দুরে নারীর বটবৃক্ষের ছায়া আর হাত পাখার শীতল হাওয়া, বর্ষায় মাথার উপর ছাতা, শরতে সাদা নীল রঙের মেলায় প্রকৃতি উপভো'গের অপার আনন্দ, হেমন্তের সকালে শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশা প্রকৃতিতে মেলায় ঘোরার সঙ্গী, শীতে গায়ের কাঁথা আর বসন্তে প্রেমের জোয়ারে ভাসানো ঢেউ; পুরুষ তো সে, যে অন্ধকার রাস্তায় নারীর দিকে লা'ল'সা'র হাত না বাড়িয়ে, দ্বায়িত্বের হাত বাড়ায়, পুরুষ তো সে, যে ভীর বাসে অচেনা নারীকে সিট...

রবীন্দ্র নাথ

🙏 বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদরের মাধুরীলতা দেবীর প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য 🙏 মাধুরীলতা দেবী (বেলা) ঠাকুর চক্রবর্তী (জন্ম: ২৫ অক্টোবর ১৮৮৬—মৃত্যু: ১৬ মে ১৯১৮ সাল)। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রথম বাবা হওয়ার আনন্দে ভাসিয়েছিল যে শিশু মেয়েটি, তার নাম কবি রেখেছিলেন ‘মাধুরীলতা’, তার ডাক নাম ছিল ‘বেলা’। মাধুরীলতা বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মৃণালিনী দেবীর জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর জন্মের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২৫ বছর। মৃণালিনীর তখনো ১৩ পূর্ণ হয়নি। কবির একান্ত স্নেহের দুলালী মাধুরীলতা বা বেলা ছিলেন অপরূপ সুন্দরী ও বুদ্ধিমান। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মাসহ বাড়ির আর সবারই প্রিয় ছিলেন, সবার কাছ থেকেই প্রচুর আদর পেতেন বেলা। বাবা রবীন্দ্রনাথ যখন জমিদারি পরিদর্শনের জন্য মহালে যেতে আরম্ভ করেন, মাধুরীলতার বয়স তখন বছর চারেক। তখন থেকেই তিনি বাবাকে চিঠি লিখতে শুরু করেন। জোড়াসাঁকোয় রচিত, কবির বিখ্যাত কবিতা, ‘যেতে নাহি দিব,–তে ‘কন্যা মোর চারি বছরের’ উল্লেখে স্পষ্টই, কবিতাটি মাধুরীলতার কথা মনে করেই লেখা। তাঁর কাবুলিওয়ালা গল্পের ‘মিনি’ চরিত্রটি সম্পর্কে তিনি নিজেই হেমন্ত বালা দেবীকে চিঠিতে লিখে জা...

রবীন্দ্র নাথ

- ----যদি কেউ কথা না কয় ------------ সম্ভবত মহাত্মা রবীন্দ্রনাথ আজকের সমাজে অপ্রয়োজনীয় এক দায়। তাঁর প্রতি আমাদের অভ্যস্ত উপেক্ষা যেন সচেতন অপরাধ। যিনি "আমি চঞ্চল হে, আমি সুদূরের পিয়াসি" বলে আমাদের বহুদূরে ডেকে নিয়ে যান, তাঁর সান্নিধ্যে আমরা ভয় পাই। কারণ, আমরা চিরকাল চেয়েছি ‘ঘরে বাইরে’র বাইরের দৃষ্টিকে, অথচ রবীন্দ্রনাথ আমাদের নিয়ে যেতে চেয়েছেন ‘সোনার তরী’র গভীর দিগন্তে।  তাঁকে নিয়ে কথা বলা অনেকটা আয়নার সামনে দাঁড়ানোর মতো...সরাসরি মুখোমুখি হতে হয় নিজের ভেতরের ভয়, সংকট, স্বার্থ আর ভান করা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। তাই আমরা সহজে বলি...“রবীন্দ্রনাথ এখন পুরনো হয়ে গেছেন।” আসলে, তিনি এতটাই আপ-টু-ডেট যে আমাদের মানসিক অপারেটিং সিস্টেমে তাঁর ভার্সনটা চলে না। তিনি ‘আধুনিক’ নন...এই অভিযোগ যে ক’জন করে, তারা জানে না "কালান্তর"-এর ভাষা শুধুমাত্র আধুনিকতা নয়, ভবিষ্যতের পূর্বাভাষ। তাঁর ‘নবযুগ’ কোনো রাষ্ট্রের মনোযোগ কুড়োবার ভাষা নয়, বরং আত্মার দিগন্তে ডানা মেলা বলাকা।  তিনি ‘পোস্টমাস্টার’-এর রতনের চোখে নির্জনতার অশ্রু দেখিয়েছেন, ‘দেনা-পাওনা’-য় সমাজ নামক যন্ত্রের নিষ্ঠুরতা তুলে ধরেছেন, আবার...

রবীন্দ্র নাথ

গীতবিতান  পূজা ৭  তোমার বীণা আমার মনোমাঝে কখনো শুনি, কখনো ভুলি, কখনো শুনি না যে। আকাশ যবে শিহরি উঠে গানে গোপন কথা কহিতে থাকে ধরার কানে কানে— তাহার মাঝে সহসা মাতে বিষম কোলাহলে আমার মনে বাঁধনহারা স্বপন দলে দলে। হে বীণাপাণি, তোমার সভাতলে আকুল হিয়া উন্মাদিয়া বেসুর হয়ে বাজে। চলিতেছিনু তব কমলবনে, পথের মাঝে ভুলালো পথ উতলা সমীরণে। তোমার সুর ফাগুনরাতে জাগে, তোমার সুর অশোকশাখে অরুণরেণুরাগে। সে সুর বাহি চলিতে চাহি আপন-ভোলা মনে গুঞ্জরিত-ত্বরিত-পাখা মধুকরের সনে। কুহেলী কেন জড়ায় আবরণে— আঁধারে আলো আবিল করে, আঁখি যে মরে লাজে। রচনা ১৬ মার্চ ১৯২৬  আলিপুর, কলকাতা  এ গানটি রচনার সময় রবীন্দ্রনাথ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের আলিপুর সরকারি কোয়ার্টারে অতিথি । রচনাপ্রসঙ্গে নির্মলকুমারী মহলানবীশ লিখেছেন;  --- ওঁর জন্য ফলের রস নিয়ে গিয়ে দেখি একটি ছেলে একখানা মোটা খাতা নিয়ে ওঁর পায়ের কাছে বসে কী যেন পড়ে শোনাচ্ছে আর উনি অত্যন্ত বিষণ্ণ  মুখে গালে হাত দিয়ে আরামচৌকিতে বসে গম্ভীর হয়ে শুনছেন। আমি নিজে অপরিচিত লোকের সামনে না গিয়ে চাকরের হাত দিয়ে রস পাঠিয়ে দিলাম।  রোজই স্নানের বেলা হয়ে...

রবীন্দ্রনাথ

🔥পৃথিবীর বিস্ময়:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর🔥   🌿রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি, জীবনবোধে আজও যা অনুপ্রাণিত করে।🌿 🌿রবীন্দ্র-দর্শন যে জীবনবোধের কতবড় খনি, তা যিনি রবীন্দ্রনাথকে আত্মস্থ করতে পেরেছেন , তিনিই বুঝেছেন। বাঙালি ঘরে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার পরিচয় হয় ,সেভাবেই তাকে চেনানো হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। তাই নতুন করে কেবল ২৫ শে বৈশাখ উপলক্ষে বাঙালির সঙ্গে রবীন্দ্র চেতনার পরিচিতি ঘটানোর কিছু থাকে না। তবে 'রবি'মাসের এই দিনটি বাঙালিকে আজও উস্কে দেয় 'রবি ভাবনায়'। 🌿তিনি বাঙালির কাছে এক মহীরূহের মতো। যাঁর দর্শনের ছায়া মেলে ধরেছে তাঁর উপন্যাস, গান কবিতাগুলি। আর সেই সাহিত্যই জীবনের বিভিন্ন পদক্ষেপে উজ্জিবীত করে চলেছে একটা জাতিকে। সুখ হোক বা দুঃখ, অবসাদ বা সামাজিক অবক্ষয় , প্রেম বা বিরহ সমস্ত ক্ষেত্রে জীবনী শক্তিতে উদ্বুদ্ধ করে তাঁর লেখা। শুধুমাত্র একটি বিশেষ দিন নয়, বাঙালি রবীন্দ্রনাথকে রোজ উদযাপন করে , তাঁর লেখা কিছু বিশেষ  লাইন। 🌿ধর্ম নিয়ে তাঁর লেখা..... ধর্মের গোঁড়ামি সম্পর্কে খুব সহজ ভাবে তিনি একটি দর্শক তুলে ধরেছেন এক বিখ্যাত লাইনের মাধ্...

কলকাতার নামকরণ

কলকাতার বিভিন্ন জায়গার নামকরণের ইতিহাস আমি শুরু করছি , আপনারাও তথ্য সংযোজন করুন 🙏 ⭕বাগবাজার :  〰️〰️〰️〰️ বাগবাজার নামটা সম্ভবত 'বাঁকবাজার' থেকে এসেছে। গঙ্গার ওই বাঁকের মুখে বহুদিন বাজার বসত।  তথ্যসূত্র সুকুমার সেন। ⭕শ্যামবাজারের নামকরণ :  ~~~~~~~~~~~~~ বর্তমান শ্যামবাজার অঞ্চলে অতীতে একটি বিখ্যাত বাজার ছিল। জন জেফানিয়া হলওয়েল এই বাজারটিকে চার্লস বাজার নামে অভিহিত করেন। শেঠ ও বসাক পরিবারগুলি ছিল সুতানুটির আদি বাসিন্দা এবং শোভারাম বসাক ছিলেন অষ্টাদশ শতাব্দীর কলকাতার এক বিশিষ্ট বাঙালি ধনী ব্যবসায়ী  শোভারাম বসাক তাঁর গৃহদেবতা শ্যামরায়ের (কৃষ্ণ) নামানুসারে এই অঞ্চলের বর্তমান নামকরণটি করেন। ⭕হাতিবাগান :  〰️〰️〰️〰️〰️ হাতিবাগান নাম হয় সিরাজের আক্রমণের সময় হাতির ছাউনি এখানে পড়েছিল বলে। অন্য একটি মত ও প্রচলিত আছে। রাজা নবকৃষ্ণ দেবের স্থাবর সম্পত্তি শুধুমাত্র শোভাবাজার অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিলোনা। শোভাবাজারের রাজসীমানার যেই দিকে হাতিশালা ছিল বর্তমানে তা হাতিবাগান অঞ্চল , এমন একটি জনশ্রুতিও প্রচলিত। ⭕চিৎপুর :  〰️〰️〰️〰️ এখনকার কাশীপুর এলাকার গঙ্গার তীরের চিৎপুর অঞ্চলে অবস...

হুংকার

হুংকার  দেবপ্রসাদ জানা প্রতিধ্বনি হলো বুঝি, আকাশে বাতাসে। শব্দের হুঙ্কারে ওই, ক্ষয় ধেয়ে আসে। জীবকণ্ঠে যাই আসি, আমি কণ্ঠস্বর। আমি বাক্য, আমি ভাষা, সুর পরস্পর। সাহিত্য বিজ্ঞান আমি, মহীর ভিতর। পবিত্র ফুলেল আভা বিশ্ব-মনোহর। সিংহের কণ্ঠেতে আমি গর্জন হুঙ্কার। ঋষির কণ্ঠেতে বাজি, নশ্বর ওঙ্কার,  গায়ক কণ্ঠেতে আমি সুরের ঝঙ্কার। রাগ রাগিণী আমিই, সাত সুরকার। গুণ গুণ রব তুলে, ভ্রমিছে ভ্রমর। কোকিল কুহরে বাজি, বৃক্ষের উপর। কলহংস নাদ ওঠে, সরসী ভিতর। অবিনশ্বর জীবনে, আমিই কিঙ্কর । আমি হাসি আমি কান্না, স্বররূপে আসি। কখনো চিৎকার করি, মেঘ পরে ভাসি। বজ্রের গর্জন আমি, ঝড়ের বাতাস। আমিই ফুলের গায়, সুন্দর সুবাস। ব্রহ্মা আমি বিষ্ণু আমি, আমি মহাদেব। ত্রিলোকের মৃত্যু আমি, আমি যমদেব। নরক প্রহরী আমি, আমিই বিধান। আত্মা আমি দেহ আমি সকলের প্রাণ। আমার আস্তিনে রাখা তোমাদের পাপ। ক্রমশ বাড়ছে মোর, দেহের উত্তাপ। আমিই বিষাদ বানী, আমিই ঝংকার। আমিই বিপদ ডাকি, করিয়া হুংকার।

রবীন্দ্রনাথ

#নোবেল পাওয়ার পর শহরের কত জ্ঞানীগুণী মানুষ মিলে #রবীন্দ্রনাথকে সম্মান জানাতে বিশেষ ট্রেনে করে শান্তিনিকেতন রওনা হলেন।  অথচ তাঁরাই কদিন আগেও নিন্দায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন কবিকে।  #শান্তিনিকেতনে আমবাগানে পদ্মাসন তৈরি হল কবিকে বসাবার জন্য। #জগদীশচন্দ্র বসুকে করা হল সভাপতি।  রবীন্দ্রনাথ সেই সভায় বলে বসলেন, এই দেশ থেকে তিনি যে অপমান অবজ্ঞা পেয়েছেন তাই তাঁর যথার্থ প্রাপ্য। আজ বিদেশের সম্মান আসায় তাঁকে নিয়ে যাঁরা আনন্দ করছেন, সম্মান জানাচ্ছেন সেটিই বরং মিথ্যা। এর চেয়ে ওই অবজ্ঞা ও অসম্মানই সত্য। কারণ, এই সমাদরের বন্যা একদিন চলে যাবে। তখন কেবল শুকনো খড়কুটো পড়ে থাকবে। সত্য সত্যই, আর মিথ্যা মিথ্যাই। চিনির রসে ডোবানো মিথ্যা মিথ্যাই থেকে যায়। নিমের রসে ডোবানো সত্য সত্যই থাকে। **** মানুষের পেটে খাবার আর মনে শিক্ষার আলো থাকলে সে মানুষ কখনও যুদ্ধ করে না, সন্ত্রাসের খেলায় মাতে না, অন্যায়ের দিকে আঙুল তুলে কথা বলে।  সঠিক শিক্ষা, সংস্কৃতির চর্চা, স্বনির্ভরতা মানুষকে সবরকম হীন চিন্তা থেকে সরাতে পারে।  রবীন্দ্রনাথ এই  আত্মশক্তির কথাই বলেছেন, স্বনির্ভরতার কথা বলে গেছেন, এ সবই তাঁর দেখা...

রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথের সাথে রানুর প্রথম পরিচয় সম্ভবত তাঁর দশ বছর বয়সে যখন তাঁর পিতা ফনীভূষণ কলকাতায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। কবি তাঁকে দেখবার জন্য একটি কালো মটরে ওই ভাড়াবাড়িতে আসেন। ছোট্ট রানুকে তিনি দিয়েছিলেন একটি বিলিতি পুতুল। সেটাই রানুকে তাঁর ভাদুদার প্রথম উপহার। আর ফ্রান্স তাঁকে সম্মানিত করে ' লিজিয়ান অফ অনারে'। তিনি লেডি রানু মুখোপাধ্যায়। অনেকেই বলেন রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিয়েতে ঘটকালি করেছেন। তবে কথাটা সঠিক নয় রানুর বিয়ের ঘটক নির্মলকুমারী মহলানবিশ।  রবীন্দ্রনাথ বরং রানুর বিয়ের খবর শুনে অবাক হয়ে তাঁর জননী কে চিঠিতে লিখেছিলেন " চিঠি পেয়ে বজ্রাহত হলুম"। আর নির্মলকুমারী মহলানবিশ স্মৃতিচারণা করেছেন - ১৯২৩ - এ আমার বিয়ের পর প্রথম রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে গিয়ে দেখি একটা মেয়ে রবীন্দ্রনাথের পাশের চৌকিতে বসে চা খাচ্ছে, টেবিলে আরো অনেক লোক, কিন্তু রানুর যেন সকলের চেয়ে বেশি অধিকার কবির পাশে বসার। সেই থেকে আলাপ, তিনি ঘটকালি করে বিয়ে দিলেন বীরেন মুখার্জির সঙ্গে।রানুর বিয়ের পিঁড়ি এঁকে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী, বিয়ের পদ্য বা উপহার লিখে দেন অনুরূপা দেবী।  র...