নারী ও শেক্স
মেয়েদের যোনি পথের ২ থেকে ৩ ইঞ্চি গভীরে নারীদের জি -স্পট এর অস্তিত্ব। লিঙ্গ ছোট ও বড় এখানে কোন সমস্যাই নয়।মুলত এই স্পট ঘিরেই নারীদের পূর্ণ উত্তেজনা। যৌনতা কোন পাপ নয় , এটা একটি শারীরিক উত্তেজনা মাত্র। মনের ক্ষুধা, পেটের ক্ষুধা ও শরীরের ক্ষুধা এক হয়ে মিলিত হয় যৌন ক্ষুধায়। নারীর শরীরের এই জি - স্পটের আবিষ্কারক হচ্ছেন নারী চিকিৎসক গ্রাফেনবার্গ। নারীর যোনির ভেতরে দুই থেকে তিন ইঞ্চি গভীরের এই অংশ থেকেই নারীর কামরস নির্গত হয়।গ্রাফেনবার্গ আরও বলেছেন, রাত ১১ টা থেকে রাত একটা পর্যন্ত নারীর এই জি - স্পট সবচেয়ে বেশি উত্তেজক অবস্থায় থাকে।ওই জায়গার স্পর্শ পায় একমাত্র হাতের আঙ্গুল। নারীর এই জি - স্পটকে নিউরোলোজিস্টরা নারীদের সুখানুভূতির অনন্য কারণ বলেছেন।এই জি স্পটের সন্ধান পেলে আপনিই হবেন সেই নারীর ক্যাসানোভা ও ডন জুয়ান।
জি - স্পট এর অস্তিত্ব ও নারীর বীর্যপাতের প্রমাণ না মিললেও ১৯৪০ সাল থেকেই এই জি স্পট নিয়ে গবেষণা করছে যৌন বিজ্ঞানীরা। মহিলাদের উত্তেজনার জন্য সাধারণ ক্লিটোরাল উদ্দীপনার প্রয়োজন হয়।ক্লিটোরাল স্টিম্যুলেশন নারীদের ভগাঙ্কুরের মুখে ঘর্ষণ ও ভেতরের ঘর্ষণ থেকেও হতে পারে। নারীদের যৌন উত্তেজনার সময় ক্লিটোরিসের আকার বড় হয়। নারীদের যৌনাঙ্গের উপরের ছোট ও সংবেদনশীল অংশটাই হচ্ছে ক্লিটোরিস।বাংলায় এটিকে ভগাঙ্কুর বলা হয়।
নারীর ভগাঙ্কুর নিয়ে পুরুষের আগ্রহের শেষ নেই।এই অতি আগ্রহ থেকেই পুরুষের ভেতরে কামোত্তেজনা সৃষ্টি হয়।নারীকে মানুষ হিসেবে না দেখে পুরুষ হয় নারী লোভী ও ধর্ষক। তাদের মধ্য শুরু হয় নারীর শরীর নিয়ে গবেষণা। নারীর অনুভুতিকে গবেষণা করার সময় ওদের কোথায়? মানুষের জীবন শুধু সেক্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সেক্স একটি দৈহিক অনুভুতির অংশ মাত্র।নারী একটি সত্বা , যা আমাদের জীবনে মা , বোন ও স্ত্রী রূপে আবির্ভূত হয়। দিনশেষে নারীর পরিচয় হচ্ছে সে মা। মায়ের সাথে সন্তান পুরুষ ও নারী যাই হোক না কেন, সম্পর্ক হচ্ছে নাড়ির সম্পর্ক।।এই সম্পর্কের কাছে পৃথিবীর আর সকল সম্পর্ক তুচ্ছ।।
"Mom- I will catch the moon for you
Daughter - Mom-, moon can't be caught.
"It's true that, physically you cannot capture and hold the moon. It's also true that, I would catch the moon _ Just for you.you are the solution to all of my problems .Just think moon is not too far from us "
যৌনাঙ্গ একটি স্বাভাবিক শব্দ হওয়া সত্ত্বেও এটাকে সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবারে ট্যাবু করে রাখা হয়েছে।একই মায়ের গর্ভ থেকে নারী ও পুরুষ উভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। শুধুমাত্র কিছু শারীরিক পার্থক্য ছাড়া উভয়েই একই মায়ের গর্ভে সৃষ্টি। তবুও যুগের পর যুগ এই স্বাভাবিক বিষয়গুলো মেনে নিতে পারেনি পুরুষ। নারীর যৌনাঙ্গ লুকানোর জন্য অতীতে নারীকে লোহার খাঁচা পর্যন্ত পরানো হয়েছে। শুধুমাত্র এই যৌনাঙ্গের জন্য নারীকে বাজারে বিক্রি করা হয় , নারীকে পণ্য বানানো হয় । অথচ যেই গর্ভ থেকে তুমি/ আমি আমরা সবাই জন্মেছি , তাই হচ্ছে নারীর যৌনাঙ্গ। এই শব্দটিকে অপবিত্র না ভেবে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে শিখুন।ভাবতে থাকুন, এখানেই আপনার জন্ম হয়েছে।
নারীর যৌনি নিয়ে পুরুষ সবসময় উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত থেকেছে।বায়োলজির ক্লাসে আমাদের নারীর যোনি আঁকতে হতো।ওসব আমাদের পড়ার একটা অংশ ছিলো। নারীদের যোনি নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় নারীরাও যেন বিব্রতবোধ করতো। অথচ, যোনি হচ্ছে নারীদের প্রজনন অঙ্গের একটি অংশ।এটা নিয়েই এই দেশের মানুষ অধ্যায়ন করা পাপ মনে করলেও লুকিয়ে পর্ন দেখা ওদের জন্য পাপ নয়! এই পাপ ও পূণ্য সব এই পৃথিবীতে পুরুষের সৃষ্টি ।।
আদিকালে নারীর যোনিকে উর্বরতা, সৃষ্টি ও জীবনের প্রতীক হিসেবে পূজা করা হতো। নারীর যোনি ছিল সৃষ্টির দেবী। সমাজে নারীর সম্মান সবচেয়ে বেশি ছিলো।মধ্যযুগে এসে ধর্ম চর্চার প্রভাবে নারীর যৌনিকে পাপ এবং লজ্জা হিসেবে দেখা শুরু হয়।যার ফলে দিন দিন নারীর প্রতি সমাজে একটি নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়।বিংশ শতাব্দীর পর থেকে যৌন শিক্ষা প্রসারের ফলে দিন দিন নারীর যোনিকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখা হচ্ছে। পুরুষের যেমন শিশ্ন আছে , নারীর আছে যোনি।এসব মানব জীবনের স্বাভাবিক অঙ্গকে আমরা যেন লজ্জা বা পাপ হিসেবে না দেখি।
সঙ্গমে দুটো মানুষের পূর্ণ তৃপ্তি তখনি আসে যখন ওরা একে অপরকে শারীরিক রতিক্রিয়ায় তৃপ্তি প্রদান করতে সক্ষম হয়।নারীর যোনিপথে যে আদ্রতা ধীরে ধীরে তৈলাক্ত বা পিচ্ছিল হয় তা যৌন উত্তেজনার কারণেই হয়। একই যৌন উত্তেজনার কারণে পুরুষের লিঙ্গ ঘর্ষিত হয়ে বীর্যপাত হয়ে নিষিক্ত হয় , এভাবেই সন্তানের জন্ম হয়। পুরুষ সন্তান জন্ম দেওয়ার ওয়াই ক্রোমোজম পুরুষের মাঝেই থাকে, নারীর মাঝে থাকে না।এর জন্য পুরুষ স্পেশাল আর নারী বহিরাগত বিষয়টি এমনও নয়। নারী গর্ভধারণ করতে পারে , যা অতীতে পুরুষের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। বর্তমান সময়ে আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে পুরুষ পর্যন্ত গর্ভধারণ করতে পারে।নারী ও পুরুষের মাঝে অঙ্গের কিছু ভিন্নতা ছাড়া তেমন কিছুই নেই। পুরুষকে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে নিজের যৌন সঙ্গীকে তৃপ্ত করতে হবে। এরজন্য চাই একের প্রতি অপরের বিশ্বাস , ভালোবাসা , শ্রদ্ধা ও সম্মান। দু'জনের শারীরিক তৃপ্তি, সম্পর্কের উষ্ণতা ও নিজেদের বোঝাপড়ার মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর স্বর্গীয় সুখ।
সঙ্গমের সময় নারী ও পুরুষ উভয়ের রাগমোচন জরুরি।
এই বিফ্রাক্টরি পিরিয়ডে নারী ও পুরুষ উভয়ের শরীর স্বর্গীয় সুখে কথা বলে উঠে।এই উপলদ্ধি বুঝতে পারলে সঙ্গমের পর কখনোই সঙ্গীনীকে বিরক্তিকর মনে হবে না। বরং বারবার করে তাকে আরও কাছে পাওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকবেন। কিন্তু বেশীরভাগ নারী ও পুরুষ এই সত্য সম্পর্কে উদাসীন।নিজের শরীরের সম্পর্কে জানা এবং নিজের পার্টনার সম্পর্কে এমন অনেক কিছুই জানা না থাকলেও সংসার জীবনটাও একটা নরক ছাড়া আর কিছুই নয়।
যৌন মিলনের সময় নারী ও পুরুষ উভয়ের শরীর থেকে প্রোলাকটিন নিঃসরণের ফলে উভয়ের শরীর নিস্তেজ হয়ে আসে।এতে মস্তিষ্কের লিম্বিক অঞ্চলে কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়ে শরীর ও মনে মানসিক প্রশান্তি আসে। শারীরিক উদ্দীপনা ছাড়াও মনস্তাত্ত্বিক উত্তেজনা থেকেও এমন অনুভুতি পাওয়া সম্ভব।এইসব মুলত মানব মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্ট্রেক্স এর মেটাবলিক এর খেলা। এখানে নারীকে কম সেক্সুয়াল ভাবার কোন অবকাশ নেই। নারীরা ও পুরুষের মত যৌনতাকে উপভোগ করে।এই যৌনতাকে উপভোগ করতে হলে যৌনতাকে অধ্যায়ন করুন। নিজের মগজকে খারাপ বা বাজে চিন্তায় না লাগিয়ে নিজের সঙ্গীকে সুখী করার চেষ্টা করুন।।
পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে বেশীরভাগ সময় পুরুষের প্লেজারকে প্রিভিলেজ করা হয়েছে।এর মাধ্যমে আমাদের দেশের পুরুষরা সবসময় নারী যৌনতা সম্পর্কে উদাসীন থেকেছে। নারীর শরীরের কোথায় যৌন অনুভুতি আর নারীর কল্পনার কোথায় সুখানুভূতি , এসব চিন্তা করার সময় এদের কখনোই হয়নি।যার ফলে এই দেশের বেশীরভাগ নারী ও পুরুষের ব্লোজব ইনকমপ্লিট। এসব কারণে পুরুষের কাছে নিজের অর্গাজম গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, নারীর অর্গাজম নিয়ে ভাবার সময় ওদের হয়নি।
ব্লু বল বা যৌনতার অভাবে বেশীরভাগ পুরুষই নারীকে তৃপ্তি দিতে সক্ষম নয়। পুরুষ ও নারীর মধ্যে এই অর্গাজম গ্যাপের কারণ হচ্ছে নারী ও পুরুষের ফ্রাস্ট্রেশন। মেইনস্ট্রিম ম্যাগাজিন থেকে শুরু করে মিডিয়া সব জায়গায় পুরুষের সন্তুষ্টির বিষয় দেখানো হয়। ড্রুরেক্স কনডমের বিজ্ঞাপন হারাম না হয়ে নারীর ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপন তাদের কাছে অসহ্য মনে হয়।নারীর অর্গাজমকে অপশনাল ভাবার এখানে কোন অবকাশ নেই।এই দেশে তাই সেক্স এডুকেশনের দরকার আছে।কন্ডম লাগানো ও কনডম খোলার ইন্টারকোর্স ও ইজাক্যুলেশনের মাধ্যমে তাদের বিল্ট ইন সেইফ সেক্স লেসন শিক্ষা দেওয়া হোক।
সারারাত ঘুম হয়নি কোরিয়ান ড্রামার নৈস্বর্গিক ভালোবাসার দৃশ্য দেখতে দেখতে। প্রিয় মানুষটির সুখ কামনা করা, তাকে ভালো রাখার জন্য নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে দেওয়া , প্রিয় মানুষটির কাছে মিথ্যা না বলা, নিজের সুখ ও দুঃখ শেয়ার করা, প্রিয় মানুষটির যত্ন নেওয়া , এভাবেই মানুষের জীবন হয়ে উঠে স্বর্গীয় সুন্দর। জীবনের এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মত সেক্সুয়াল বিষয় নিয়েও নারী ও পুরুষের উভয়েরই সংকোচ ও দ্বিধাহীন খোলামেলা আলোচনা নিজেদের দৈহিক ও মানসিক শান্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কোনভাবেই জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশের অবহেলা নয়।
সেক্সুয়াল এসল্ট , এটেমটেড রেপ, কমপ্লিট রেপ সহ সমাজ ও পরিবারের বিভিন্ন বাজে উক্তি নারীদের সেক্সের প্রতি অনীহা সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে যে শুধু নারী অপরাধী নয় তা এই সমাজকে শিক্ষা দিতে হবে।সমাজে আরোপিত ম্যাসকুলিনিটির বিষাক্ত স্টান্ডার্ড পুরুষকে নিজের আবেগ সম্পর্কে আলোচনা করতে বাঁধা দেয়।এর থেকেই জন্ম নেয় সঙ্গীর প্রতি সন্দেহ ও অবিশ্বাস।
পুরুষালি এসব বৈশিষ্ট্য ছেড়ে তাকে নারীকে মানুষ হিসেবে দেখার মানসিকতা নিয়ে বড় করতে হবে। পৃথিবীতে আমরা সবাই মানুষ হয়ে জন্মেছি।নারী ও পুরুষ উভয়েই ভুল করতে পারে। নিজের জীবনের জন্য নিজেদের ভুল নিজেদের শুধরে নিতে হবে।নারীকে মানুষ হিসেবে ভাবা হোক পুরুষের সবচেয়ে বড় শিক্ষা। নিজের যৌন অনুভুতিকে মূল্য দেওয়ার পাশাপাশি নারীর অনুভুতিকে সম্মান করতে শিখুক পৃথিবীর সকল মানুষ। যৌনতা কোন পাপ নয় , এটা একটা শারীরিক অনুভুতির অনুশীলন মাত্র।। নারীর যৌনপথ শুধু ভালবা থেকে জরায়ু পর্যন্ত শিশ্নের অনুশীলন নয়। এই যৌনিতেই নারী গর্ভধারণ করে আমাদের সবার মা হয়।
নারীর যোনীকে ঘৃণা ও পাপের চোখে নয় , বরং সম্মানের চোখ দিয়ে দেখুন। তবেই দেখবেন নারী ও পুরুষের পৃথিবী হবে স্বর্গীয় সুন্দর।।
সত্য সবসময় সুন্দর।
লুসিড ড্রিম
Comments
Post a Comment