Posts

Showing posts from October, 2024

থাক তবে আজ

থাক তবে আজ  দেবপ্রসাদ জানা থাক তবে আজ  কাল না হয় পরশু দেখা হবে পথে কিংবা গাছের তলায় স্কুলের মাঠে তুমি বলবে সংসার - সেটা তো আমি জানি  প্রতিদিনের প্রতিশ্রুতি প্রতিদিনের ক্ষোভ অপেক্ষায় অপেক্ষায় জীবন   চিরকাল এভাবেই কথার খেলাপ হোক ভারি মজা লাগে অপেক্ষায় থাকতে- ময়দানে বা গড়ের মাঠে। তুমি বলবে কাজে বড় ব্যস্ত সে তো জানি আমি, তবূ মনে হয় বারবার  মাটির মূর্তি নীরবে নিশ্চলভাবে  ওই পথের দিকে - জানো দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে  অপেক্ষা করতে করতে একদিন মোড়ের বট গাছটার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেল। ও শান্ত বাতাসে - শীতল ছায়ায় -  মন্দ লাগে না মোটেও আজ কাল অপেক্ষায় থাকি তোমার জন্য, তবে তোমার আসার পথ দেখি না শান্ত বাতাস আর শীতল ছায়া  আমাকে বসিয়ে রাখে একদিন বড় উতপ্ত দিনে পুড়ে যাওয়ার জোগাড়। হঠাৎ যেন বটের আহ্বানে বৃষ্টি, প্রাণ জুড়িয়ে দিলো। আমি অভিযোগ করছি না, বলছি - তোমার অবহেলার বিষ, আমাকে যখন দূর্বল করে চলে যাই বটের তলায় নয়তো স্কুল মাঠে  সবুজ ঘাসের ওপর শুয়ে আকাশ দেখি। বাতাস বইছে নির্মল শান্তির বাতাস আসলে কেউ বুঝতেই চায় না  অপেক্ষারও মুল্য কম নয়, তাই অপেক্ষায় থা...

অনুদান

বলতে পারো তোমরা কেন ভয়ের খাতায় নাম লেখো। প্রতিবাদের ঝড় তুলে পথের ধারে রঙ দেখো। বলতে পারো তোমরা কেন ভিক্ষের হাত বাড়িয়ে দাও মাসে মাসে এমন দয়া হাত পেতে কেন নাও। জানো না কি ওই দয়াতে ভোলায় সবার মন। দাসী হচ্ছে তাদের ঘরে তোমার আপন বোন। জানো না কি সন্ধ্যা হলে বেরোয় লোভী হায়না। হাজার টাকার মূল্য নিতে ধরবে তখন বায়না। পায়ের তলায় মরছে দেখো হাজার তিলোত্তমা। কোটি কোটির অনুদানে খুলছে বোনের জামা। বলতে পারো তোমরা কেন নিচ্ছো এমন দান। সব কিছু শোধ দিতে হবে নাইকো পরিত্রান। বছর বছর উৎসবেতে দিচ্ছে প্রচুর টাকা। বলতে পারো কোথায় ছিল এই টাকাটা রাখা। কোটি কোটি বাড়ছে ঋণ তোমার আমার ওপর। মাথা পিছু কোটি কোটি

আঁধারের বন

আঁধারের বন দেবপ্রসাদ তৈরি হও, তৈরি হও বিপদ সম্মুখে!  তুমিও ডুবছো, দেশ ডুবতে বসেছে।  তুমি ক্ষীণ শক্তিহীন, বিপদের মুখে! অবিছিন্ন বেদনার সাথি বসে আছে। কোন সংশয়ে এসব জায়গায় আছি। আমরা ঢুকে পড়েছি শেষের সীমায়।  এতো অভিযোগ আছে, তবু সব বাঁচি। তোমাকে ধরেছে রোগে, বলেছ আমায়। মরতে বসো না, ভাই, আত্মহত্যা পাপ। সহ্য করো ধৈর্য্য ধরো, সঠিক সময়ে- সূর্য উঠবে আবার,  কিসের সন্তাপ। যদি বেঁচে থাকো তবে, বাঁচো না অভয়ে। কবর খোঁড়ে কে বলো, এই আমরাই। অন্যায়ে, লুটিয়ে-পড়া মানুষের মন। হেরে যেতে যেতে করো, নিজের লড়াই।  তোমার চারপাশে যে আঁধারের বন।

আলোর বসন্ত

আলোর বসন্ত দেবপ্রসাদ ১ রাত্রির কাছে কি দিন পরাজিত ভূল। আছে আলোর বসন্ত, কুসুম রঙিন। আছে পদদলিতের ছিন্ন মুক্তি ফুল। বায়ু সেও মৃদু মৃদু বহে, রাত্রি দিন। যেথা লজ্জা-পুষ্পগন্ধ চুরি করে যায়। সরোবরে স্নান করে, যেথায় সুন্দরী। বসে বাতায়নোপরে, গ্রীষ্মের জ্বালায়। নীল আকাশের থেকে মন চুরি করি। মেঘবালিকারে ধরি, মুখো চুম্বি তার। অঞ্চল চঞ্চল করি, স্নিগ্ধ করি কায়।  আলোর পৃথিবী তবে মুক্ত করে ভার। এমন আঁধার তারে, কেমনে ভুলায়? বনে বনে কারা যেন, বাজায় বাঁশরী।  বাজে মোহন বাঁশীতে, সুরের লহরী। ২ উঃ ফুল গুলো যে সব কাঁটা হয়ে গেল।  কার গুণে, বৃন্দাবনে, বৃন্দাবনেশ্বরী। ওরে ছল করে জল, কে যে নিতে এলো। নিশীথ ফুলে উজল, কানন বল্লরী। কার মাঝে বাজিতেছ বংশী রূপ ধরি। কুয়াশার আড়ালে কে দাঁড়িয়েছ প্রিয়ে। কুটিল রাত্রিরা ঘোরে দিন রূপ ধরি। ফুলের শয্যায় কেন, রাত্রি আছে শুয়ে। বিশ্বস্ত বন্ধুর হাত, ঘাতকের হাত। রক্ত মাখা হাতে যার, গোলাপের কুঁড়ি। জড়িয়ে রয়েছে স্নেহে এক মুঠো ভাত। বিক্ষত বুকের টান, হাঁটে গুড়ি গুড়ি। আদরের স্পর্শ নিতে, এক মুঠো রাত। পাঁজরের পোড়া ছাই, হয়েছ বরাত।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কয়েক বছরের জন্য সন্ন্যাস জীবন যাপন করেছিলেন। সময়টা আনুমানিক ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দের প্রথমদিক। এই সময় তিনি হঠাৎ একদিন গৃহত্যাগ করেন। কেউ বলেন- তাঁর মায়ের আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি খুবই ভেঙে পড়েছিলেন। তাই বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি নিজের পিতার উপর অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।                কেউ কেউ এমনও মনে করেন- ভাগলপুরের রক্ষণশীল নেতারা শরৎচন্দ্রকে একটি বিশেষ কারণে সমাজচ্যুত করেছিল। ফলে তিনি সেই সময় মর্মান্তিক আহত হয়ে ভাগলপুর ত্যাগ করেন।               কারণ যাই থাক না কেন। তিনি যে বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন এবং সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন তার বহুবিধ প্রমাণ পাওয়া যায়। এই সময় তিনি সন্ন্যাসীর বেশে দেশে দেশে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। এমনকি নাগা সন্ন্যাসীদের দলে ভিড়ে গেলেন বেশ কিছু সময়ের জন্য। এইভাবে ঘুরতে ঘুরতে একদিন তিনি মজঃফরপুরে এলেন। প্রত্যক্ষদর্শী নরেন্দ্র দেব এ প্রসঙ্গে তার 'শরৎচন্দ্র' গ্রন্থে লিখছেন-          "তাঁর মজঃফরপুর আগমন সম্বন্ধে স্বর্গীয় প...

কলকাতা

আজও নানা রহস্যে ঘেরা জব চার্নকের আগের কলকাতার ইতিহাস! বাঙালি আজকের ২০২১ এ সারা পৃথিবীতে নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকলেও কলকাতার প্রতি সে আজও এক তীব্র আকর্ষণ অনুভব করে। কলকাতার প্রেমে সে বার বার হাবু ডুবু খায়। কলকাতার উৎপত্তিটাই নানা সময়ের কাল চক্রে নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা খুঁজে পাই। এই ২০২১ সালে দাঁড়িয়েও কলকাতা নগরীটার কোণে কোণে পাওয়া যায় অজানা নানা তথ্য। জব চার্নকের আগের কলকাতার কথাই ধরা যাক। দ্বাদশ শতাব্দীর আগে পোদ্ , জেলে, দুলে বাগদী এই আদিবাসী দের নিয়ে একটা জনবসতি অঞ্চল গড়ে উঠেছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল কালী ক্ষেত্র। বর্তমানের বেহালা থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যবর্তী জায়গাই কালীক্ষেত্র নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। বিশিষ্ট ঐতিহাসিক মার্টিন সাহেব দক্ষিণেশ্বরকে সেই সময়ে বাংলার রাজধানী হওয়ার উপযুক্ত মনে করতেন। আরও পিছনের দিকে ইতিহাসের পাতা থেকে জানা কিছু তথ্য। গুপ্ত আর হর্ষবর্ধনের সামাজ্যের পতনের পর তাঁর বংশের মানুষজন তাদের সঞ্চিত ধনরত্ন আর কুলদেবী সিংহবাহিনীকে নিয়ে বাংলার করখানি গ্রামে বসবাস শুরু করে। পরে সেই জায়গাই সপ্তগ্রামে প্রসিদ্ধ হয়। পুরনো জমিদারদের বাড়িকে কেন্দ্র করেই হাট বাজা...

হৃদ

যদি হৃদহারা হই। দেবপ্রসাদ জানা যদি এমন হয় - মরণ আসে তোমার আগে তুমি রাতভর নিদ্রায় দুঃস্বপ্নের অশান্ত  অন্ধকারে হৃদয়ালোক জ্বেলো। দুর্বোধ্য জোছনার চাদর বিছিয়ে দিয়ো পথে। প্রেমের নিয়ন আলো যদি নিভে যায় - আঁধার আকাশে যদি নিরুপায় হয়ে, কালো মেঘের আড়ালে চলে যায় জোছনা আঁধার চাঁদের গায়ে আলো মেখে দিয়ো- হাজার নক্ষত্রের। শীতাতপ বর্ষা ক্লেশে  হৃদয়ে লুকিয়ে রেখো সোহাগে। আলোর ভ্রূণ যদি মরে যায় অকালে হৃদহারা হই কোনোদিন- চাঁদের আলোর অপেক্ষায় রেখো নিথর নিদ্রায় যাওয়া এই দেহটি।

রাত

তুমি রাত নির্ভর নিদ্রায় দুঃস্বপ্নে অশান্ত অশ্বের লাগাম টেনে  আবেগের প্রফুল্লতায় আদি-অন্তের  দুর্বোধ্য ইতিহাসে কুয়াশার চাদর বিছিয়ে  হৃদয়ে জ্বালিয়ছ প্রেমের প্রদীপ।  মেঘলা আকাশে নিরুপায়  সূর্যের ন্যায় প্রেমালোক গুছিয়ে  নিশিথে চাঁদের গা ছোঁয়া আলো মেখে  হাজার নক্ষত্রকে সাক্ষী করেও  দুর্বোধ্য উত্তরে বোবা কাব্যের কান্না মাতৃগর্ভে লালিত এখনও আলোর ভ্রূণ  তাই নীড় হারা পাখির স্বজন  চাঁদের আলোর অপেক্ষায় নির্ঘুম সময় মরুপথ জুড়ে নিশ্ছিদ্র প্রহরায় আঁধারে আলো নিথর নিদ্রায় নিরুত্তর।

ত্রৈমাসিক দশ সম্পাদকীয়

ত্রৈমাসিক দশ স্থির অবস্থা থেকে যখন পরিবর্তনের দিকে সমাজ অগ্রসর হয় তখন পরিবর্তনকামী এবং পরিবর্তন- বিরোধী শক্তিসমূহের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয় এবং জন্ম নেয় দ্বন্দ্ব। আর এই দ্বন্দ্ব-সংঘাত যেকোনো সুস্থ বিতর্ক সমাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছে নতুন অনাবিষ্কৃত পথে কোনো প্রগতিশীল সূচনার অভিমুখে। তাই সব সমাজেই, সকল সময় বিবাদ দ্বন্দ্ব সংঘাত বিতর্ক, বাংলায় দ্বন্দ্ব কখনো প্রকট, কখনো প্রচ্ছন্ন, কখনো শান্ত। এই দ্বন্দ্ব-সংঘাত পুরাতনকে ফেলে রেখে নতুনের জয়গান। এবারের সংখ্যাটি সেই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে। সকল কবির কালপর্বে দ্বন্দ্বের ইতিহাস অনুসন্ধান করে  ত্রৈমাসিক দশ ( জুলাই - সেপ্টেম্বর২৪ ) সংখ্যার বিন্যাস। 

প্রেম

প্রেম দেবপ্রসাদ সব বুঝি একদিনে শেষ হয়ে গেল। প্রেম আবেগে আপ্লুত শত স্বপ্ন দেখা, প্রেম প্রীতি রঙচঙে নিপাট চিন্তায়। ফনি-তুণ্ড মুণ্ডে শঙ্কা মধুমক্ষিকায়। আনন্দে কাটানো দিন হৃদয় উথাল। আদর্শ বিশ্বাসে মাখা ভরা দুটি হাত। নিদারুণ সে বিয়োগ ব্যথা পরিণাম। অন্ধ চোখে পথ চলা তাহার চিন্তায়। প্রেম মন বড় শক্তি বহ্নি আবাহন। অবশ অচেত কায়া হাজার ভণিতা।   হৃদয় উজাড় করা ভালো ভালো কথা। অকারণ অশ্রু বৃষ্টি, ভঙ্গুর শরীর। নিশ্চিন্তে নির্ভরতায় চারু কলেবর। দৃশ্যমান দীনতায়, বাস নগ্নকায়।

অস্তিত্ব রক্ষায়

অস্তিত্ব রক্ষায় দেবপ্রসাদ বারম্বার মৃত্যুবার্তা দেয় যমদূত। হইনি যে অঙ্কে লীন; এবার মরবো ! গগনের-সূর্যদেব অস্তমিত আজ পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে বিচ্ছুরিয়া রশ্মি  নাশে অন্ধকার রাত, জাগ্রৎ করেছে  কোটি কোটি উপেক্ষিত ঘর নর-নারী,  মুছাইব নয়নের বারি! শ্রমিক-কৃষক সঙ্ঘ গড়িয়া তুলেছে বিশ্বে; ধনী নিঃস্বে- ঘুচাইব মিলনের সর্বাবিধ বাধা  ব্যবধান,বাড়াইবে আত্মার সম্মান,  জগৎ অপূর্ব ক্ষোভে একান্ত অধীর, বিচূর্ণিত করিয়াছে যত আভিজাত্য- গর্ব্বোন্নত শির! আজো অস্তিত্ব রক্ষায়। পুনঃরায়, বুভুক্ষিত রূক্ষ বিদলিত  বিশ্বমানবের, দুর্বল দেহ, সঞ্চারিয়া  সর্ব শিরায় শিরায়, তাজা উষ্ণ অতি  তীব্র ফুটন্ত রুধির! সেই নিপীড়িত  মানব যেথায়, সব সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে  আজি দাবি করে তারা সমতা রক্ষায় চির-আচরিত যত রাজ্য ও সমাজ- নীতি, ভারে ভারাক্রান্ত রহিত এ ক্ষিতি, আরুদ্ধ যে মানবাত্মা করিত ক্রন্দন।

how do love

প্রত্যয়ের মন দেবপ্রসাদ যে দিন স্মৃতিগুলো নতুন করে  মনের কোটরে বাসা বাঁধবে, অকারণে তোমার দেওয়া ভালোবাসার চিহ্ন গুলো ফুটে উঠবে আমার বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া শরীরের চর্মে। সেদিন দেখবে - কেমনে তোমায় আমি আরো ভালোবাসি। যেদিন চোখের মনিটায় অন্ধত্বের আস্তরণ পড়বে, কর্ণ কোটরে পৃথিবীর সব শব্দ এক সাথে বেজে উঠবে সেদিন দেখবে-  কতভাবে আমি তোমায় ভালোবাসি। আমি আমার বদ্ধ প্রেম পেটিকা খানা খুলে বসবো। দেখবো কত ভালোবাসার চুম্বন তুমি দিয়েছ এই ওষ্ঠ পরে। দাঁড়াও অপেক্ষা করো স্মৃতির প্রেমিকা আমাকে গণনা করতে দাও। আমি তোমাকে ভালোবাসি কত গভীরতায়,  প্রশস্ততায় কত উচ্চতায়? যখন শরীরের সমস্ত যন্ত্র গুলোয় জং ধরবে অস্থি মজ্জায়, রক্তের নালায় নোংরা জমবে মনের কোটরে, হৃদয় নামক দুষ্টু সেই পাখিটার  গা থেকে খসে পড়বে পালক, দেখবো আমার হৃদয় পৌঁছাতে পারে কিনা তোমার মনের শীর্ষে - যেখানে তোমার কঠিন হৃদয়খানা এখনো কপাট বন্ধ করে আছে। যদি পৌঁছতে পারে তবে একবার  'তোমায় ভালোবাসি' বলে দিয়ো, দেখবে - সেই অষ্টাশির বৃদ্ধ হৃদয় লাফিয়ে উঠবে  প্রতিদিনের অতি গোপন প্রয়োজনে।

মাতা

মাতা সুকোমল কর নিয়া, অঙ্গে বুলাইয়া, পুনঃ স্নিগ্ধ হৃদি-ভরো পীযূষ-ধারায়, মমতায় বিমোহিত, সু-বাক্য কহিয়া। হে জননী করো পুনঃ বালক আমায়। তব মন পরিহরি, সংসারে প্রবেশি। সদা মত্ত থেকে মা গো সংসারের রণে। তুমি কহেছিলে মোরে বড় ভালোবাসি। তব সেই মিষ্ট কথা কিছু নাই মনে। কেমনে বর্ণিব আমি, স্মৃতির বিহনে। ছাড়ো মিথ্যাচার দূর হ রে ব্যভিচার। দেবরূপে ছদ্মবেশী দানবী জীবনে। ওরে স্বার্থপর খল, করো অবিচার। কপট, কাঠিন্য, চাটু, কটু, কুবচনা। করি কুমন্ত্রণা দান, হরিয়াছ সব। মম শৈশবভূষণ, দেয় কোনজনা। সারল্য, সন্তোষ, প্রীতি, আর কলরব। কত সুখস্বপ্নকথা, অন্তরে জাগিছে। ধীরে ধীরে হর্ষ শোচ সংশয়ের সনে। যেন বা প্রবাস বাসে, দূর হয় পাছে। দেশ-প্রিয় গীত খণ্ড, সন্ধ্যাসমীরণে। বৃদ্ধকালে অন্বেষিয়া, স্মৃতি মিলাইয়া,  ছল স্বধাম সন্ধান কিশোর সন্ন্যাসী। জাতিস্মর হৃদে হেন, প্রেম প্রকাশিয়া। বিয়োগ-বিষণ্ণ মুখ পূর্বের-প্রেয়সী। তুল্য এবে এ সব সে শৈশবস্মৃতির। নিজ অঙ্গ অংশ দিয়া, তনু নিরমিয়া,  চিত্ত হ'তে দিয়া চিত্ত, করেছ অস্থির। জীব-দেহ, ব্রহ্মাণ্ডের সম তুলনীয়া। পরদেশ এ ধরায়, সম্বল সহায়,  আসি আত্মা, পেয়ে যাঁর আতিথ্য অপার,  পথ-ক্লান...

এসো ঘুম

এসো ঘুম স্বর্ণহংস তুমি পালঙ্কে শুয়ে থাকবে আমি রব শিয়রে। উল্টে পাল্টে যাবে তোমার বসণ আমি চেয়ে থাকবো সারাক্ষণ। তোমার নিঃশ্বাশ পড়বে বুকের ওপর আমি চেয়ে রব,  একবার বুকের পাঁজর খানা ওঠবে আর পড়বে। ওই দুটি উন্নত বুকের ওঠা নামায় আমি মোহিত হবো। কল্পনায় তোমাকে জড়িয়ে ধরবো ওই গরম নিঃশ্বাসের উষ্ণতায় স্বপ্ন আসবে আমাকে জড়িয়ে  তোমার আদর উপত্যকায়  আমি নিজেকে হারিয়ে দেবো। আমি নিজেকে হারিয়ে দেবো তোমার বক্ষ আলিঙ্গনে-

স্বদেশ

স্বদেশ লালসার আগুনে জ্বলেছে স্বরাজ   আমার স্বদেশভূমি, স্বার্থপর দস্যু ডাকাত কাটছে দেখো আমার জন্মভূমি। টলাতে পারেনি শতচেষ্টা প্রচেষ্টা সব পদানত , মৈত্রী বন্ধন ঐক্য চিতায় লালসা পুড়ে ভস্মীভূত । কখনো এসেছে ঝড়ের মতো কখনো সবার অগচরে , কখনো বাড়িয়ে সখার হাত কখনো আবার অত্যাচারে । পলে পলে পুড়েছে কত অঙ্গ শরীর মন হৃদি , নাড়ি বাড়ি রাত বিরেত ফুল সকাল নীদযতি।               

নালন্দা

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কে ধ্বং-স করেছিলো? ঐতিহাসিক বিচারে নির্মোহ সত্যান্বেষণ।।  নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়, গুপ্ত সাম্রাজ্য তথা ভারতীয় উপমহাদেশের এক সুপ্রাচীন নিদর্শন এবং প্রাচীন বিশ্বের জ্ঞানবিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয় ৪১৩ খ্রিস্টাব্দে। সেসময় এমন সুসজ্জিত ও পূর্ণাঙ্গ আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব ইতিহাস ঘেটে পাওয়া যায় না। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, সেসময় এই অঞ্চলে গুপ্তদের শাসনামল চলছিল। সেই অনুযায়ী, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সম্রাট কুমারগুপ্তকেই ধরে নেওয়া হয় যা পরবর্তীতে স্কন্ধগুপ্তের হাত ধরে আরও বিস্তৃত হয়। পরবর্তীতে পাল রাজাদের আমলে শিক্ষা-দীক্ষায় বেশ অগ্রগতি লাভ করে নালন্দা। ধর্মপালের সময়ে বিক্রমশীলা, সোমপুর ও ওদন্তপুরী প্রতিষ্ঠিত হলে তা নালন্দা মহাবিহারের জ্ঞানচর্চার গতিকে আরও ত্বরান্বিত করে৷ পাল রাজাদের আমলে বৌদ্ধ দর্শনের প্রভাবও বাড়তে থাকে। নালন্দা ধ্বংসের আদ্যোপান্ত: জ্ঞানবিজ্ঞানের পীঠস্থান নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বহি:শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে একাধিকবার তবে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ধ্বংসাত্মক আক্রমণ একবার-ই হয়েছে। ইত...

এই নারী কে

আমরা চেয়েছি দেবপ্রসাদ জানা আমরা তো অবলা চাইনি  আমরা চেয়েছি দ্রৌপদী চেয়েছি অহল্যা মন্দোদরী চেয়েছি সতী দময়ন্তী যার মুক্তকেশে অবৈধ হাত পড়লে,  তার বুক চিরে ফেলার ক্ষমতা রাখে যেই নারী- আমরা সেই নারী চাই।  একটা কটূক্তির বদলে হতে পারে কুরুক্ষেত্র। একটা মহাভারত। আমরা সেই নারী চেয়েছি ঘরে ঘরে। অবলা নয় সবলা- মহাশক্তি মহামায়া-কালী  ইন্দু কুন্দ বিনিন্দিত বিমল বরণ,  চরণারুণে চিত-শতদল আমরা চেয়েছি  গীতোচিত কণ্ঠলব্ধ কিঙ্করী- মহীয়সী মোহিনী চঞ্চলা পদ্মিনী সতী।

মেয়েটির পুতুল

ফ্রান্ৎস কাফকা কখনো বিয়ে করেননি এবং তাঁর কোনো সন্তানাদিও ছিল না। তাঁর বয়স যখন ৪০, তখন একদিন তিনি বার্লিনের পার্কে হাঁটছিলেন। এমন সময় তিনি একটি ছোট্ট মেয়েকে দেখলেন যে তার প্রিয় পুতুলটি হারিয়ে কাঁদছিল। সেই মেয়েটি এবং কাফকা, দু’জনে মিলে খুব খুঁজলেন হারিয়ে যাওয়া পুতুলটিকে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না তা। কাফকা মেয়েটিকে পরের দিন আবার সেখানে আসতে বললেন। উদ্দেশ্য, আবার তাঁরা দু’জনে মিলে হারিয়ে যাওয়া পুতুলটি খুঁজবেন সেখানে। কিন্তু পরের দিনও পুতুলটিকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তখন কাফকা ছোট্ট মেয়েটিকে একটি চিঠি দিলেন। আর বললেন, ‘এই চিঠিটি তোমার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের লেখা’। সে চিঠিতে লেখা ছিল, ‘দয়া করে তুমি কেঁদো না। আমি পৃথিবী দেখতে বেরিয়েছি। আমি আমার রোমাঞ্চকর ভ্রমণকাহিনী তোমাকে নিয়মিত লিখে জানাব।’ এভাবেই শুরু হয়েছিল একটি গল্পের, যা চলেছিল কাফকার মৃত্যু পর্যন্ত। ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে কাফকার নিয়মিত দেখা হতো। আর যখনই দেখা হতো তখনই কাফকা একটি চিঠি দিতেন মেয়েটিকে, বলতেন সেই একই কথা, ‘চিঠিটি তার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের লেখা’, এবং পড়ে শোনাতেন তার প্রিয় পুতুলের বিশ্ব-ভ্রমণের রোমাঞ্চকর সব বর্ণনা খুব যত্নের সা...

রাম

সূর্যবংশ সম্পাদনা ইক্ষ্বাকু ভিকুক্ষী (সাসাকা) পুরঞ্জয়া (কাকুৎস্থ) আনেনা (সুযোধন বা অনারণ্য) পৃথু বিস্ত্রাশ্ব ( লঙ্কার  রাবণের  সমসাময়িক ) বিশ্বগশ্ব (রাজা পুরুরবসের  সমসাময়িক যিনি চন্দ্রবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন) শ্রাবস্ত শ্রাবস্তী নগরী প্রতিষ্ঠা করেন। বৃহদাশ্ব কুবলয়শ্ব (দুন্ধুমারা) দ্রিধাশ্ব হরিয়াশ্ব অমিতাশ্ব কৃশাশ্ব প্রসেনজিৎ ছিলেন পরশুরামের পিতামহ যুবনাশ্ব (2) মান্ধাতা  (পরশুরামের সমসাময়িক, দ্রুহ্যু রাজা আরবধ এবং রাক্ষস রাজা মধু এবং  লাভনাসুর  ) দেবসুর যুদ্ধে  মুচুকুন্দ  যুদ্ধ করেছিলেন। সুতরাং, তার ছোট ভাই পুরুকুৎসা রাজা হন। (দ্রুহ্যু রাজা  গান্ধার  সমসাময়িক যিনি  গান্ধার রাজ্য  প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ) ত্রসাদাসিউ সম্ভুতা অনারণ্য  (২৫) রাবণের হাতে নিহত হন। (অনু রাজা জনমেজায়ার সমসাময়িক) প্রিষাদশ্ব সুমনস ত্রিধনওয়ান (আনু রাজা শিবির  সমসাময়িক যিনি  সিভি রাজ্য  প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ) ত্রয়রুণ্য ত্রিশঙ্কু  (সত্যব্রত) (অনু রাজাদের সমসাময়িক,  সিভি রাজ্যের  বৃষদর্ভ , সেতুকা,  ম...

রামের বংশ

বিষ্ণু পুরাণ  এবং  বাল্মীকি রামায়ণ  অনুসারে  রামায়ণের  নায়ক  রামের  পূর্বপুরুষদের বর্ণনা করা হয়েছে ।  বিষ্ণু পুরাণ  ,  বাল্মীকি রামায়ণ  , রামকথা রাসবাহিনী,  ভাগবত পুরাণ  এবং রঘুবংশ চরিত্রম অনুসারে  সূর্যবংশের  বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব হলেন  ইক্ষ্বাকু , বিকুশী, কাকুষ্ট ইত্যাদি।  হিন্দুধর্ম  অনুসারে , কোশল ও অযোধ্যা শহরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন (প্রজাপতি মঞ্জু)  ।  ) এবং তার পুত্র  ইক্ষ্বাকু  দ্বারা , যার বংশধর ছিলেন  রাম  ।  [  1  ] ব্রহ্মা মারিচি কাশ্যপ বিভাসবন  (সূর্য) শ্রাদ্ধদেব মনু পুন্ড্র, সুহমা এবং ওদ্রা রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন) কলমাশাপদ  (মিত্রসহ বা সৌদাসা বা বীরসহ) আসমাকা মুলাকা (পরশুরামের সমসাময়িক, পরশুরাম যখন ক্ষত্রিয়দের ধ্বংস করছিলেন তখন তিনি মহিলাদের মধ্যে লুকিয়ে নিজেকে রক্ষা করেছিলেন) বিশ্বসহ অনারণ্য(3) খাটভাঙ্গা দিলীপা  (দীর্ঘবাহু) রঘু আজা (চন্দ্রবংশী রাজা  ইয়াতীর  সমসাময়িক ) দশরথ (বিদেহ রাজা...

পিয়ন

একদিন একজন বৃদ্ধ ডাকপিয়ন একটি বাড়ির দরজায় টোকা দিয়ে বললেন, চিঠিটি নিয়ে যান। আওয়াজটা শুনতেই ভেতর থেকে একটা মেয়ের কন্ঠ ভেসে উঠলো... "আমি আসছি... অপেক্ষা করো।" কিন্তু পাঁচ মিনিটের জন্য কেউ না এলে ডাকপিয়ন আবার বলল, "আরে ভাই! কেউ আছেন? আপনার চিঠি নিন... আমাকে আরও অনেক জায়গায় যেতে হবে... আমি বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে পারব না..." মেয়েটির কন্ঠ আবার ভেসে এলো, "পোস্টম্যান চাচা, তাড়া থাকলে চিঠিটা দরজার নিচে রাখো, আমি আসছি, আর একটু সময় লাগবে।" "এখন বৃদ্ধ ডাকপিয়ন বিরক্ত হয়ে বললেন, "না, আমি এখানে আছি, এটি একটি রেজিষ্টার্ড চিঠি, এতে কারো স্বাক্ষরও প্রয়োজন।" প্রায় দশ মিনিট পর দরজা খুলল। পোস্টম্যান দেরির জন্য ইতিমধ্যেই খুব রেগে গিয়েছিল এবং মেয়েটির দিকে চিৎকার করতে যাচ্ছিল, কিন্তু দরজা খোলার সাথে সাথে সে হতবাক হয়ে গেল এবং তার চোখ মেলে রইল। তার সমস্ত রাগ মুহুর্তের মধ্যে উবে গেল। তার সামনে দাঁড়ালো এক প্রতিবন্ধী মেয়ে যার পা দুটি নেই। মেয়েটি খুব নিরীহভাবে পোস্টম্যানের দিকে হাত বাড়িয়ে বলল...আমার চিঠিটা দাও... ডাকপিয়ন নিঃশব্দে মেইলটি পৌঁছে দিয...

নারী

নারী  দেবপ্রসাদ তোমার আগুনে পুড়ে যায় আমাজন। তোমার আত্মায় ভর করে অশরীরী। সর্বজয়া তিলোত্তমা রবে আমরণ। তোমরা শুধুই স্রষ্টা, আলোর দিশারী। তোমাদের দেহ পরে অস্ত্রের আঘাত। কি অকল্পনীয় নয়? সংস্কার সংকটে। শুধু রক্তপাত আজ, চলে প্রতি রাত। প্রতিবাদে কি অধুনা ভয় হচ্ছে বটে। গৃহকোণে প্রয়োজন গার্হস্থ্য হিংসার। মহারণ মহা হত্যা,  উমার ত্রিকাল। প্রয়োজন বীরগর্ভ, ও পবিত্রতার। বিশ্বের ব্যভিচারে, সমাজ আকাল। দর্পণে দর্শনে বামা হও ঝাঁসিরানী? প্রতিবাদে রণসাজে, তুমি বিদ্রোহিনী?

বিচার পাক

বলছে কাঁসর বলছে ঢাক তিলোত্তমা বিচার পাক। বলছে আকাশ বলছে বাতাস উৎসবে সব মেতে থাক। আগুন আগুন চলছে খেলা বন্ধ হচ্ছে আমার শ্বাস। জ্বলছে পথে রঙিন আলো। ঝলমলে পোষাক ভালো। উড়ছে যত পথের ধুলো। প্রতিকণা বলছে হেঁকে তিলোত্তমা বিচার পাক। কালো ধোঁয়ার শরৎ এলো ভাদ্র আশ্বিনে ঢাকের বাজে বোল  কচি ধানের ক্ষেতে উঠে  ঢেউয়ের কত দোল ।  শিউলি ফুলে সুবাস ছড়ায়  কাশফুলের রাশি এসব দেখেও মানুষের মুখে   নেইকো কারো হাসি । চারিদিকে আর্তনাদ  মারছে তিলোত্তমা   দুর্গা মায়েরা জেগে উঠেছে  পাবেনা ওরা ক্ষমা।  দুর্গা দেবী জেগে ওঠো   ত্রিশূল নিয়ে হাতে  দস্যু দানব ঘুরে বেড়ায়  আজকে দিনে রাতে । মাগো তুমি ছেড়ে দাও  আগের মহিষাসুর  শয়তানদের বধ করো মা  যারা ,এই সমাজের অসুর।।

উৎসব

উৎসব  দেবপ্রসাদ প্যাণ্ডেলে কাটছে ফিতে মায়ের হচ্ছে বোধন। হাসপাতালে কাটাকুটি   হচ্ছে কার বোন? খবর পেয়ে মা বোনেরা যাও না ছুটে ঘরে। নতুন শাড়ি এনে দিয়ো ঢাকবো তার পরে। উৎসব আজ ঘরে ঘরে নতুন পোষাক মেলা। দেখছে মানুষ টিভি ঘরে কেমন চলছে খেলা। চড়াং চড়াং বাজিয়ে ঢাক এনেছি মহামায়া। শত আলোর সাজানো ঘরে কিসের কালো ছায়া?

মন্ত্র

*  যা  দেবী সর্বভূতেষু চেতনত্যভিধীয়তে । নমস্তসৈ ।। নমস্তসৈ । নমস্তসৈ নমো নমঃ  ।। যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সংস্থিতা । নমস্তসৈ ।। নমস্তসৈ  ।। নমস্তসৈ নমো নমঃ ।। যা দেবী সর্বভূতেষু নিদ্ররূপেণ  সংস্থিতা ।  নমস্তসৈ । । নমস্তসৈ । । নমস্তসৈ নমো নমঃ ।। যা  দেবী সর্বভূতেষু  ক্ষুধারূপেণ সংস্থিতা । নমস্তসৈ  ।। নমস্তসৈ ।। নমস্তসৈ নমো নমঃ ।।  যা  দেবী সর্বভূতেষু ছায়ারূপেণ সংস্থিতা । নমস্তসৈ  ।। নমস্তসৈ  ।। নমস্তসৈ নমো নমঃ ।। যা দেবী  সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ  সংস্থিতা । নমস্তসৈ  ।। নমস্তসৈ  ।। নমস্তসৈ নমো নমঃ ।।                                        *  ,*   *    *    *   *  "" ** হে  দেবী   !      তুমি সকল প্রাণীতে চেতনারূপে প্রসিদ্ধা, তোমাকে          বার বার  প্রনাম করি  ।  তুমি  সকল প্রাণী...