কবিতা কলমের চিৎকার

কবিতা কলমের চিৎকার।
দেবপ্রসাদ জানা

জানি না, আমার চিৎকার কেউ শুনছে কিনা?
তুমি যদি, না শুনতে পাও, আমার চিৎকার।
যদি উদাসীনতায় ফেরাও তোমার মুখ,
তোমাকে ডেকে বলতে হয় আমি চিৎকার করছি,
বোধে-আর্তিতে জাগাতে চেষ্টা করি, তোমাকে -
তবুও যদি আমার প্রতি তুমি নির্বিকার, 
স্থির হয়ে থাকো। তবে-
বসন্ত এলে, ডালে-গ্রন্হিতে যে শিহরন জাগে, 
আগুন লাগে পলাশ বনে, 
কাগজের ঠোঙায় মুখ লুকিয়ে-
থাকেনি বসন্ত, সে শুনেছে আমার চিৎকার 
আর শিহরন গুনছে আমার চিৎকারে।
আমি চিৎকার করলে -
চঞ্চলতা পেয়ে যায় মরাनদী,
বাউল গানের সুর বাজে ছোট ডিঙিতে,
যুবক বাতাস নৌকার পালে আলগোছে ঠেলা দেয়।
আমি চিৎকার করলে পাখিরা-
ডানায় ভর করে উড়ে যায়।
পৃথিবীর বুকে ছেড়ে অনন্তে মিলায়।
আমি চিৎকার করলে, আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠে,
সমুদ্রে ওঠে উত্তাল ঢেউ, বর্ষা আসে নেমে,
সোনালী রোদ্দুর ছড়ায় প্রাণে, 
আরোগ্যা হয় পৃথিবী।
আমি চিৎকার করে আন্দোলনের কথা বলছি।
বিপ্লবের প্রথম সোপান গড়ছি। 
আমার বুকে রক্তে, আমি ইতিহাস লিখেছি,
আমার কালো রুধির আঁচড়ে,
তুমি শোননি পৃথিবী শুনেছে, প্রকৃতি শুনেছে আমার নিনাদ।

Comments

Popular posts from this blog

দুঃখটাকে এবার

মহাঋষি শুক্রাচার্য্য

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ